সুতপার দৈনন্দিন রূপচর্চা
ঝকঝকে সুন্দর ত্বক কে না চায়! কিন্তু যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত তাঁদের ব্রণর সমস্যা লেগেই রয়েছে। তবে এই সমস্যা থেকে আপনি অনায়াসেই মুক্তি পেতে পারেন, ঠিক যেমনটা সুতপা পেয়েছে।
সুতপা তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারিণী, তাহলেও ব্রণর সমস্যা তাকে জেরবার করে না। তার জন্য সুতপা সঠিকভাবে যত্ন নেয় তার ত্বকের। আসুন তারই কলমে জেনে নিই তার ত্বক পরিচর্যার দৈনন্দিন রুটিন, সঙ্গে থাকবে চুলের যত্নও।
নমস্কার। আমি সুতপা। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেবো আমার রূপ রুটিন। আমার ত্বক তৈলাক্ত হওয়ার কারণে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর নিম ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে আমার ত্বকের ঘুম ভাঙাই, তারপর ব্যবহার করি ক্রিম।
স্নানের পর প্রয়োগ করি গোলাপ জল। ক্রিমের ক্ষেত্রে জেল বেসড ক্রিম ব্যবহার করি। ত্বককে আর্দ্র রাখতে গরমকালের সঙ্গী অ্যালোভেরা জেল আর শীতকালের ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম। শেষে লাগিয়ে নিই এস পি এফ যুক্ত ফেস পাউডার।
রাতে ত্বকের জন্য রাখি একটি নাইট রিপেয়ার ক্রিম। এটি দূষণের কারণে ত্বকের রুক্ষতাকে প্রতিরোধ করে। রাতে শোওয়ার সময় আমার ঠোঁটের আর দেহের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম আর বডি লোশনের উপরই আমার ভরসা।
সপ্তাহে ১-২ বার আমার ত্বক পরিচর্যার রুটিনে নিম ফেস প্যাক, নিম স্ক্রাব আর ট্যান রিমুভাল প্যাক থাকা বাধ্যতামূলক। এগুলি ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করে আর ট্যান দূর করে। এছাড়া দৈনন্দিন ত্বকচর্চার ক্ষেত্রে সি টি এম (CTM) তো অনুসরণ করতেই হবে। আশা করি CTM এর অর্থ সকলেই বুঝতে পারছেন — ক্লিনসিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং।
মাসে ১ বার ত্বকের জন্য রাখি গোল্ড ফেসিয়াল। তবে তার আগে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিই।
চুলের দৈনন্দিন পরিচর্যার ক্ষেত্রে সপ্তাহে ৩ বার আমন্ড হেয়ার অয়েল ম্যাসাজ করে অ্যান্টি হেয়ারফল শ্যাম্পু ব্যবহার করি। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনিং-এর জন্য হেয়ার সিরাম তো থাকতেই হবে। প্রতি রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুলের গোড়ায় প্রয়োগ করি হেয়ার টনিক আর মাসে ১ বার চুলের মসৃণতার জন্য রুটিনে রাখি হেয়ার মাস্ক।
আমার মতে নিজেকে সুন্দর ও তরতাজা রাখার জন্য ভিতর থেকে শরীর ও মন সুস্হ রাখাটা খুব জরুরী। সেই কারণে স্বাস্থ্যকর ডায়েট, শরীরচর্চা, যথেষ্ট পরিমাণে ঘুম, যথাযথ লাইফস্টাইল মেনে চলা এবং নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখতে কিছু সুঅভ্যাস, নিজ নিজ শখ ও ভালোলাগার কাজগুলোকে চর্চায় রাখা, ইতিবাচক চিন্তা আর অবশ্যই দিনের কিছুটা সময় একান্তই নিজস্ব হিসেবে রাখা উচিত। প্রতিদিনের রোজনামচায় নিজেকে সুস্হ রুচিবোধ আর উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের জন্য গড়েপিটে নেওয়ার তাগিদকে জিইয়ে রাখলেই আশি বছরেও অষ্টাদশীর চমক ধরে রাখা সম্ভব।
কলমে - সুতপা সেন ঘোষ
চিত্রসৌজন্যঃ গুগল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন