আমি সেই পুরুষ
যে রাত দশটায় কলকারখানা শপিংমল হতে
ক্লান্ত চোখে ফেরা মেয়েটিকে
চক্ষুশূলের নজরে দেখি
এক গাল কটু হাসি
বাণিজ্যের জন্য রেখে যাওয়া আর
মহাজনের দরজায় কড়া নাড়া
এবং যার কোমল ফুলের পাপড়ি গুলো
দুধে আলতায় সাদা কীটের বিষাক্ত ছোঁয়ায় নষ্ট হয়েছে
সেই নারীকে দেখে
সমালোচনাও করি
পেটের দায়ে বয়ঃসন্ধিকালের সাথে যুদ্ধ করে
যারা কচি কচি হাতে খাতা কলমের বদলে
চা পাতা গুলোর সাথে নিবিড় প্রেমের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছে
যারা রূপের অহংকারী ঋতুরাজের মোহে পড়ে
নিজের সময়কালীন অস্তিত্ব হারায় তাদের
যে সন্তানের মুখে দু'মুঠো অন্ন আর
পঙ্গু স্বামীর চিকিৎসার জন্য হাত পাতে
তাকে ভিক্ষা নয় প্রস্তাব দিই
সারাদিন কাজ কর্ম করে ক্লান্ত শরীরে
ছুটে যাই তার কাছে
রঙ্গ মঞ্চে যার মনোরঞ্জন কলার বাহবা দিই
রাস্তায় দশ হাত দূরে দাঁড়াই
আর বাড়িতে বৃদ্ধা মা প্রিয় সহধর্মিণী আমার
পথ চেয়ে বসে আছে জেনেও
কৃত্রিম আলোয় রামধনুর মিশ্রণে সোডার সাথে
ক্ষণিক প্রকৃতির সুখের আশায়
অথচ তথাকথিত ভদ্র সমাজের সিংহাসনে বসে
সেই আমিই তাকে নষ্টা বলে অভিহিত করি
বড্ড লজ্জা লাগে
আমার নাম আমি নিজেই জানি না
কারণ এই সমাজ
আমার মতো পুরুষের নামকরণ করেনি!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন