শেষপাতে ঢেঁড়সের অম্বল


 উৎসব মরশুমে প্রচুর চর্ব্যচুষ্য খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে এই খুব সাধারণ রেসিপিটা নিয়ে হাজির হলাম. এটি একটি শেষ পাতে খাওয়ার পদ.ঋতু পরিবর্তনকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব উপাদেয় ও সহজপাচ্য একটি টকজাতীয় খাবার. রান্নাটি একারনে মাঘ ফাল্গুন মাসে শীতল ষষ্ঠীর সময় করতে দেখা যায়. ছোটোবেলায় আমার পিসিদিদাকে এই চাটনিটা করতে দেখতাম. এটা ওঁনারই রেসিপি তবে মরশুমি অসুস্থতার সময় শরীর তরতাজা করতে বা মুুুুখে রুচি আনতে আমিও মাঝেমাঝে করে থাকি. আশাকরি, রেসিপিটা সক্কলের ভালো লাগবে.




ঢ্যাঁড়শের অম্বল

উপকরণ

  •    ঢ্যাঁড়শ –  ১০-১২ টা ছোটো ছোটো করে  কেঁটে রাখা টুকরো
  •    গোটা কালো সর্ষে
  •    গোটা শুকনো লঙ্কা
  •    গোটা পাঁচফোড়ন
  •    আমচুর পাউডার অথবা তেঁতুলের ক্কাথ
  •    চিনি
  •    নুন ( স্বাদমতন )
  •    সামান্য হলুদ
  •    ২-৩ চামচ সরিষার তেল    

        # প্রণালী

  • কড়াই গরম হলে টা গোটা শুকনো লঙ্কা আর অল্প পাঁচফোড়ন দিয়ে খোলায় ২-৩ মিনিট ভেজে নিতে হবে
  • এরপর মশলাগুলোর গন্ধ বের হলে একটা থালায় ঢেলে ঠান্ডা করতে হবে. এরপর mixer grinder বেঁটে নিতে হবে. ( একটু বেশী হয়ে গেলে ক্ষতি নেই, কোনো air tight container রাখলে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহার উপযোগি হয়ে থাকে).
  • কড়াইয়ে ২-৩ চামচ তেল দিতে হবে. তেল গরম হলে গোটা সর্ষেদানা ফোড়ন দিয়ে ঢ্যাঁড়শের টুকরোগুলো ছাড়তে হবে
  • ঢ্যাঁড়শগুলো গোটা অবস্থাতেই ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে শুকনো করে কাটতে হবে.
  • রান্নার আগে কখনোই নুন মাখিয়ে রাখা ঠিক হবে না. ভাজার সময় অল্প চিনি মিশিয়ে বেশী আঁচে ঢাকা ছাড়া সমানে নেড়ে নেড়ে ভাজা ভাজতে হবে। 
  • কিছুক্ষণ পর ঢ্যাঁড়শ ভাজা নরম হয়ে এলে অল্প অল্প জল, নুন ও হলুদ যোগ করতে হবে.
  • কিছুক্ষণ ঢাকা চাপা দিয়ে ঢ্যাঁড়শগুলোকে সিদ্ধ হতে দিতে হবে. এইসময় আমচুর পাউডার অথবা তেঁতুলের ক্কাথ দিয়ে দিতে হবে. ( সব সময় হাতের কাছে তেঁতুল না থাকলে আমচুর পাউডার চটজলদি কাজ দেয়)।
  • ঢ্যাঁড়শগুলো প্রায় সিদ্ধ হয়ে এলে অল্প চিনি দিতে হবে. এরপর আর কিছুক্ষন ফুটিয়ে নেওয়ার পর আগে থেকে তৈরি করা ভাজামশলা ছড়িয়ে দিতে হবে। 
  • এরপর কিছুক্ষন অল্প আঁচে রাখার পর নামিয়ে নিলেই তৈরি ঢ্যাঁড়শের অম্বল.পুরো টক টাই একটু পাতলা ঝোল মতন হবে। কাজেই সেই বুঝে জল দিতে হবে। 

 

এটি ঋতু পরিবর্তনকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে খুব উপাদেয় একটি পদ।রান্নাটি একারনে মাঘ ফাল্গুন মাসে শীতল ষষ্ঠীর সময় করতে দেখা যায়।ছোটোবেলায় আমার পিসিদিদাকে এই চাটনিটা করতে দেখতাম।এটা ওনারই রেসিপি তবে মরশুমি অসুস্থতার সময় আমিও মাঝেমাঝে করে থাকি। আশাকরি, রেসিপিটা সক্কলের ভালো লাগবে।

                                _____________________


 কলমে - সু ত পা   সে ন  ঘো ষ

 

 


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন