বাঙালির কাছে কালীপুজো, দীপাবলী বা দিওয়ালি সবই সমার্থক। দীপের আলোয় চতুর্দিক উদ্ভাসিত করার সাথেই চলতে থাকে ভোজনোৎসব। আর এই উৎসবের দিনে মিষ্টিমুখ না করলে চলে! সেই উপলক্ষ্যেই এখানে বিবৃত করা হলো মিষ্টির দু'খানি পদ।
চন্দ্রকলা
দীপাবলী বিশেষ মিষ্টিব্যঞ্জন এটি, অত্যন্ত সুস্বাদু। অন্যরকম এই মিষ্টিটি বানিয়ে বাড়ির লোকদের তাক লাগিয়ে দিন।
উপকরণঃ
- ৫০০ গ্রাম ময়দা
- ১ কেজি চিনি
- ৫০০ গ্রাম খোয়াক্ষীর
- পরিমাণ মতো দুধ
- নারকোল কোরা
- সামান্য কেশর
- এলাচগুঁড়ো
- ঘি
- সামান্য নুন
পদ্ধতিঃ
- প্রথমে ঘি ও নুন ময়ান দিয়ে অল্প অল্প জল যোগ করে ময়দা মেখে আধ ঘণ্টার জন্য সরিয়ে রাখুন।
- এখন পুর তৈরি করার পালা। অল্প ঈষদুষ্ণ দুধের মধ্যে সামান্য কেশর আগে থাকতে ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর খোয়াক্ষীর, নারকোল কোরা, এলাচগুঁড়ো ও কেশর ভেজানো দুধটা একসঙ্গে মিলিয়ে মাখতে থাকুন। আপনি চাইলে এই মিশ্রণটির মধ্যে চিনিও যোগ করতে পারেন। যেহেতু পরবর্তীতে চিনির রসে ফেলা হবে তাই পুর তৈরির সময় চিনি নাও দেওয়া যায়। হয়ে গেলো পুর তৈরি।
- এবার চিনির রস বানানোর সময়। চিনি ও তার পরিমাণের অর্ধেক পরিমাণ জল দিয়ে মাঝারি আঁচে রস তৈরি হতে দিন। মাঝে মাঝে দেখে নেবেন। রস খুব পাতলা হবে না, আঙ্গুল ঠেকালে যেন বেশ চিটচিটে মনে হয়। আবার খুব ঘনও বানাবেন না। রস তৈরি হয়ে গেলে এলাচগুঁড়ো যোগ করে গ্যাস বন্ধ করে দিন। চাইলে সামান্য পরিমাণে গোলাপ জলও যোগ করতে পারেন।
- ময়দা মেখে রাখা হয়েছে আধ ঘন্টা হয়ে গেছে। আরেকবার মেখে নিন। এবার সেখান থেকে লেচি কেটে তার মধ্যে পুর ভরে পুলির আকারে গড়ে তার ধারগুলো মুড়ে দিন। কড়াইতে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় নিয়ে পুলিগুলো ভেজে তুলে গরম গরম চিনির রসের মধ্যে ডুবিয়ে রাখুন, ১০-১৫ মিনিট পর তুলে নিন। বেশি ভালো হয়, মিষ্টিটি আগের দিন বানিয়ে রাখলে। এতে এটি পরের দিন খাওয়ার সময় আরও সুস্বাদু লাগবে এবং আপনারও একটা কাজ এগিয়ে থাকবে। উৎসবে অংশ নিন নিশ্চিন্তে।
বানাতে সহজ, খেতেও খাসা। দিতে পারেন বাড়ির খুদে সদস্যটিকেও।
উপকরণঃ
- দুই কাপ আপেল সেদ্ধ
- আধ কাপ সুজি
- ৫০০ গ্রাম ফুল ফ্যাট দুধ
- আধ কাপ খোয়াক্ষীর অথবা মিল্কমেড
- ১ চামচ কিশমিশ
- কাঠবাদাম ও পেস্তাবাদাম কুচি
- ৮-১০ টি চেরি ফল
- ৪ টি তেজপাতা
- ২ চামচ ঘি
- স্বাদ অনুযায়ী চিনি
- ৪-৫ ফোঁটা ভ্যানিলা এসেন্স
পদ্ধতিঃ
- আঁচ মাঝারি রেখে কড়াই বসান এবং ঘি দিন। এরপর সুজি যোগ করে নাড়ানাড়ি করুন। লালচে বর্ণ ধারণ করলে আপেল সেদ্ধ দিয়ে আরেকটু নাড়াচাড়া করুন। এবার দুধটা ঢালুন এবং এর মধ্যেই খোয়াক্ষীর যোগ করে ভালো করে মেশান। চিনি ও তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ফুটতে দিন।
- বেশ ঘন হয়ে এলে গ্যাস বন্ধ করে কড়াই নামিয়ে মিশ্রণটিকে ঠান্ডা করার জন্য অন্য একটি পাত্রে ঢালুন। ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর এর মধ্যে কিশমিশ, চেরি ফল ও ভ্যানিলা এসেন্স যোগ করুন এবং উপর থেকে কাঠবাদাম ও পেস্তাবাদাম কুচি ছড়িয়ে ফ্রিজের ভেতর রেখে দিন। বেশি ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
কলমে - শু ভ্রা ব্যা না র্জী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন