সাতটি বুনো ধানঃ নীবারসপ্তক

 


বই – নীবারসপ্তক

লেখক – কৌশিক মজুমদার

প্রচ্ছদ – কামিল দাস

অলংকরণ – রাহুল ঘোষ

প্রকাশকাল – আগস্ট ২০২১

পৃষ্ঠা – ১৯৯


কাহিনীর মূল চরিত্ররা – গণপতি, প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়, তারিণীচরণ এবং সাইগারসনের সঙ্গে প্রবলভাবে সাক্ষাৎ পাব তুর্বসু, অমিতাভ মুখার্জী, উর্ণা এবং ডালাণ্ডা হাউসে খুঁজে পাওয়া লখনের। সময় সারণীর পথ বেয়ে উল্লেখ পাওয়া যাবে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, অমৃতলাল বসু, হীরালাল সেন প্রমুখ ব্যক্তিত্বের।

 নীবারসপ্তকঃ সাতটি বুনো ধানঃ BHUT না ভগবান ??


 পুরনো কলকাতার চুঁচুড়া, চন্দননগরকে কেন্দ্র করে ১৮৯২ সালে যে রহস্য ঘনীভূত হয়েছিল, একশ বছর পরে আবার সেই একই স্থানকে কেন্দ্র করে প্রায় সমগোত্রীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে।সূর্যতামসীর এই রহস্য কি তবে “নীবারসপ্তক”-এ এসে ধরা দিল তুর্বসুর হাতে? তিনটি খণ্ডে বিভক্ত এই গ্রন্থে ঘটনার ঘনঘটা আরও অনেক বেশি জটিল ও গভীর। সেকাল ও একালের ঘটনার পরম্পরায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে এক আশ্চর্য সমীকরণ। আবার ঘটছে হত্যা – সেই একই নৃশংস পদ্ধতিতে। প্রিয়নাথের জার্নাল, ম্যাসনদের বর্গক্ষেত্র রমণপাষ্টি, কিছু অদ্ভুত বিজ্ঞাপন, ফটোগ্রাফির সাহায্যে তুর্বসু চেষ্টা করছে রহস্যের সমাধানে পৌঁছাতে। ঠিক এমনই এক ক্ষমতাশালী ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উত্থানকে রোধ করতে চেষ্টা করেছিলেন তারিণীচরণ, প্রিয়নাথ, গণপতি প্রমুখরাও। তাঁদের চেষ্টা কি সফল হয়েছিল? তাঁরা কি  পেরেছিলেন বা পারলেও কিভাবে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলেন এই ‘ভূত’কে!! হঠাৎ কি কারণে সেই ঘুমন্ত ক্ষমতাশালী জাগ্রত হল তার হদিশ পেতে ও তাকে আয়ত্ত্বে আনতে মরিয়া তুর্বসু – “টেমারলিনের” মলাটে খুঁজে পাচ্ছে কিছু অক্ষর – কিছুটা চেনা, কিছুটা অচেনা। যে সঙ্কেতের সমাধান হয়ত তাঁকে পৌঁছে দেবে রহস্যের পরিণতিতে।

সূর্যতামসীর থেকে কিঞ্চিৎ ক্ষীণকায় নীবারসপ্তক প্রথম থেকে শেষ অবধি পাঠককুলকে উত্তেজনার চরম আশ্বাস দেয়। হত্যারহস্যের সঙ্গে গুপ্ত সংঘ, তৎকালীন পতিতাপল্লীর অবস্থা, বৃহন্নলা সমাজ, বটতলার হারিয়ে যাওয়া নাটক, গণপতির দেশলাইয়ের গান প্রভৃতি যেন এক অন্য ইতিহাসের গল্প শোনায়।যথাযথ অলংকরণ ও অঙ্গসজ্জা কাহিনীকে চিত্তাকর্ষক করে তুলতে সাহায্য করে। সংশয়ের ঝড় তুলে লেখক ইতি ঘোষণা করেন –

“সেই মহাশ্মশানের গর্ভাঙ্কে ধূপের মত জ্বলে

জাগে নাকি হে জীবন – হে সাগর,

শকুন্ত ক্রান্তির কলরোলে। “

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন