“ তোমার মেয়ে? কুড়িয়ে পাওয়া ওই মেয়েটাকে নিয়ে তুমি আমাদের বাড়ির বউ হবে ভাবলে কি করে?”
পাঁচ বছরের
প্রেমের পর মিথিলাদের বাড়িতে বিয়ের পাকাকথা বলতে আসা রাজীবের মায়ের তীক্ষ্ণ বাক্যে
ঘরভর্তি সবাই চমকে উঠল।
“কিন্তু আমি
তো আগেই জানিয়েছিলাম যে আমি তিন্নিকে ছাড়া থাকব না।“ মিথিলা অপলকে নীরব রাজীবের
দিকে তাকিয়ে স্পষ্টভাবে নিজের কথা জানায়।
“কিন্তু তাই
বলে বিয়ের পরে ওর পরিচয় কি দেব আমরা? কি সম্পর্ক তোমার সাথে? লোকে কি বলবে? কার না
কার রক্ত ! তোমায় যে কোনো একজনকে বেছে নিতে হবে। হয় রাজীবের
সাথে বিয়ে, নয়ত ওই রাস্তার মেয়েটা।" সরব রাজীবের
মা।
“যেদিন তিন্নিকে
রাস্তায় আবর্জনার স্তূপে ব্যাগের মধ্যে পেয়েছিলাম সেদিন থেকেই ও আমার মেয়ে। এটাই আমাদের সম্পর্ক। রক্তের নয় আত্মার সম্পর্ক। লোকের কথা
ভেবে মা হয়ে আমি তো আমার মেয়েকে ত্যাগ করতে পারি না। দরকারে বিয়ে না করলেও চলবে আমার।“ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ
মিথিলা সম্পর্কের সমাপ্তি ঘোষণা করতে দ্বিধা বোধ করে না। মিথিলার হাত জড়িয়ে ধরে দু’বছরের তিন্নি
তখন অনাবিল সারল্যে হাসছে।
কে
বলে জন্মদাত্রীই শুধু মা হন? পালন করেন যিনি তিনিই তো প্রকৃত মা। রক্তের
থেকে আত্মিক সম্পর্কের বন্ধন যে অনেক বেশী মজবুত।
চিত্রঃ সংগৃহীত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন