শিশুদের ব্যবহারজনিত স্নায়বিক রোগ – ADHD



ইদানিংকালের শিশুরা প্রায় অল্পবিস্তর সকলেই দুরন্ত হয়ে থাকে। অনেক সময় দুরন্ত শিশুদের ভিড়ে কিছু শিশুর দুরন্তপনা ও অমনোযোগী মনোভাব সবার থেকে তাঁদের একটু আলাদা করে দেয়।শিশুর স্বাভাবিক দুরন্তপনা ও চঞ্চলতা যখন অস্বাভাবিক আকার ধারণ করে, যখন কোনও শিশুর কিছু স্বভাব দৃষ্টি আকর্ষণের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন অভিভাবকরা চিন্তান্বিত হতে বাধ্য হন। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চঞ্চলতা এক এক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তারা কোনো কাজই ঠিক ভাবে করতে পারেনা। লেখা বা আঁকা বা পড়া বা খেলা যে কোনো বিষয়েই অস্থিরতা চরম মাত্রায় পৌঁছায়, ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত চঞ্চলতার ফলে বারবার দুর্ঘটনার শিকার হতে থাকে। বিশেষত এই ধরণের শিশুরা এক স্থানে বেশিক্ষণ বসতে বা দাঁড়াতে পারেনা।এই শিশুরা শুধু শারীরিকভাবেই চঞ্চল নয়, তাদের মস্তিস্কও একইরকম কর্মব্যস্ত থাকে। তাদের চিন্তাধারার কোনো সুনির্দিষ্ট দিকে স্থির থাকে না- এই এখন এদিকে মন, পরক্ষণেই অন্য কিছু নিয়ে ভাবনা।তার প্রতিফলন তাদের প্রতিটি কাজে লক্ষ্য করা যায়।কিছুতেই এক জায়গায় স্থির না থাকা – বিশেষ করে একভাবে বেশিক্ষন এক জায়গায় না বসতে পারা, অন্য শিশুদের বিরক্ত করা, অনবরত অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা,অল্পেতেই উত্তেজিত হওয়া, ছোট ভাই-বোন বা নিজের থেকে ছোট বয়সীদের প্রতি অতিরিক্ত হিংসাত্মক ব্যবহার বা ঈর্ষা, অতিরিক্ত জেদ করা, সমবয়সীদের সাথে সঠিকভাবে মেলামেশা না করতে পারা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে সব দিক থেকে স্বাভাবিক মনে হওয়া শিশুর মধ্যেও অনেক সময় ব্যবহারগত অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা যায়। আপাতদৃষ্টিতে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক বোধ – বুদ্ধি সমন্বিত শিশুও যখন কোনও সঠিক কারণ ছাড়াই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে খারাপ ফল করতে থাকে তখন তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয় হয়ে ওঠে।

 

এই ধরনের ব্যবহারিক ত্রুটিকে চিকিৎসকরা’অ্যাটেনশন ডেফিসিট হাইপার অ্যাক্টিভিটি ডিজঅর্ডার’( ADHD - Attention Deficit Hyperactivity Disorder) বা মনোযোগ ঘাটতির ব্যাধি বলে চিহ্নিত করে থাকেন।

 

ADHD কী?

ADHD একটি স্নায়বিক রোগ, যাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এক প্রকারের নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅর্ডার বলা হয়ে থাকে। ADHD-তে আক্রান্ত হলে শিশুরা খুবই অমনোযোগী, ক্ষিপ্ত, আক্রমণকারী ও অতিমাত্রায় চঞ্চল হয়ে ওঠে।সাধারণত মনঃসংযোগের ঘাটতি থাকার জন্য পড়াশোনা করতে চায় না বা পারে না এবং নিজের ইচ্ছামতো চলতে ভালবাসে।

  ADHD-তে আক্রান্ত মস্তিষ্ক; চিত্র সৌজন্যঃ  elitehometutoring.com

ADHD সাধারণ মানসিক ব্যাধির অন্যতম একটি। এটি মস্তিষ্কের মনোযোগ-সংক্রান্ত এক অসুস্থতা। Attention Deficit মানে মনোযোগের অভাব, আর hyperactivity মানে অতি চাঞ্চল্য। ADHD মূলত শিশুদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়, তবে শিশুদের ছাড়াও অনেক প্রাপ্তবয়স্কের এই ব্যাধি প্রভাবিত করে।

 


ইংরেজ চিকিৎসাবিদ স্যার জর্জ স্টিল ১৯০২ সালে সর্বপ্রথম এ রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা প্রদান করেন। তিনি এই রোগকে শিশুর নৈতিক বিচারজনিত বিকার হিসেবে অভিহিত করেন এবং এই রোগের নাম’হাইপারকাইনেটিক ইম্পালস ডিজঅর্ডার’রূপে পরিচিত হয়১৯৮০ সালে অ্যামেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন এই রোগকে’অ্যাটেনশন ডেফিসিট ডিজঅর্ডারনামে অভিহিত করে। ১৯৮৭ সালে বিজ্ঞানীরা এ রোগটির নামের সাথে’হাইপার অ্যাক্টিভিটিশব্দদ্বয় যুক্ত করেন এবং তিন ধরনের উপসর্গের কথা উল্লেখ করেন। ২০০০ সালে রোগটির তিনটি প্রকরণ আবিষ্কৃত হয়

 

শ্রেণীকরণ

সাধারণত শিশুদের তিন ধরনের ADHD হয়ে থাকে।

 

(১) আবেগপ্রবণ ADHD (impulsive/hyperactive type)ঃ চিন্তা ছাড়াই দ্রুত ঘটে এমন কাজ করা। ধৈর্যের অভাব। অন্যকে অকারণে বিরক্ত করা। হঠাৎ হঠাৎ করে যে কোনও কাজ করে ফেলা।


(
২) অমনোযোগী ADHD ( inattentive and distractible type)ঃ মনযোগ রাখতে সক্ষম নয় এমন।ভুলে যাওয়া বা জিনিস হারিয়ে ফেলার প্রবণতা, একটি কাজ সম্পূর্ণ করতে অসুবিধা, নির্দেশ অনুসরণ করতে অসুবিধা,একাধিক নির্দেশ মেনে চলে কাজ সম্পূর্ণ না করতে পারা, সহজে মনসংযোগে ঘাটতি হওয়া, দৈনিক কাজ মনে রাখতে অসুবিধা।


(
৩) মিশ্র ADHD ( combined type)ঃ প্রয়োজনের তুলনায় অতি-সক্রিয়। একটানা স্থির ভাবে বসে থাকতে বা কোনো কাজ করতে অসুবিধা, দুর্ঘটনা প্রবণ, দ্রুত অস্থির আচরণ, একটানা কথা বলে যাওয়া, অন্যের মনযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা, অন্যকে সুযোগ না দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করার প্রবণতা।

কারণসমুহঃ

অতীতে ADHD-র সঙ্গে জিনগত সম্পর্কের কথা বলা হলেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালের’মলিকিউলার সাইকিয়াট্রি’বিভাগের অধ্যাপক রয় পেরলিসের গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় মানসিক রোগের ওষুধ সেবন বাচ্চার ADHD হওয়ার পেছনে বহুলাংশে দায়ী। ADHD -র কারণ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এর নির্দিষ্ট কারণ নির্ণয় এখনো সম্ভব হয়নি। তবে আপাতদৃষ্টিতে গবেষকেরা কয়েকটি কারণকে চিহ্নিত করেছেন। 

  • বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে যে, ৮০ শতাংশ রোগীর এই সমস্যা জিনগত কারণ থেকে উৎপন্ন হয়েছে।
  • শরীরে জিংকের ঘাটতি ও শিশু খাদ্যের সঙ্গে মেশানো কৃত্রিম রং ADHD জন্ম দিতে পারে।
  • অপুষ্টিজনিত কারণে এবং বংশগত কারণে শিশুর মধ্যে এই রোগ দেখা দিতে পারে।
  • আবার গর্ভাবস্থায় ধূমপান, কোনো প্রকার মাদক সেবন বা অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ওষুধ সেবন থেকেও শিশুর মধ্যে ADHD দেখা দিতে পারে।
  • নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো অপরিণত ও কম ওজন বিশিষ্ট শিশুরা এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
  • গর্ভাবস্থায় কোনও দুর্ঘটনার ফলে মস্তিস্কে আঘাত লাগলে এই রোগ হতে পারে।  
  • দীর্ঘদিন ধরে শিশু কোনো কারণে অযত্নের সম্মুখীন হতে বাধ্য হলে, তার মধ্যে ADHD সমস্যা উৎপন্ন হয়।

 

উপসর্গঃ

 

মূলত তিন প্রকারের উপসর্গ দেখা যায়।

 

১. অমনোযোগিতা

  • গভীর মনোযোগ না দেওয়ায় প্রায়ই ভুল করা বা বিস্তৃত বিষয় বুঝতে অসমর্থ হওয়া। চারপাশে ঘটা ঘটনা ভুলে যাওয়া।
  • ধারাবাহিক নির্দেশনা বা কার্যক্রম (multiple commands) অনুসরণ করতে না পারা।বারবার একটি জিনিস পড়েও লেখা বা বলার সময় ভুল করা।
  • সামান্য শব্দ বা গোলমালেই মনোযোগ ভিন্ন দিকে আকৃষ্ট হওয়া।অধিক মনোযোগ প্রয়োজন এমন কাজ এড়িয়ে যাওয়া।
  • গাণিতিক সমস্যা ধাপে ধাপে করতে না পারা।বুঝতে অসুবিধা হওয়া বা অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হওয়া।
  • জিনিসপত্র হারিয়ে ফেলা।ক্লাসে মনোযোগ ধরে রাখতে না পেরে পাঠদানকালে সহপাঠীর সাথে কথা বলা বা অন্যদের বিরক্ত করা।
  • অন্যের মনোযোগ আকর্ষণের জন্য অনবরত চেষ্টা করা।

২. অতিচাঞ্চল্য

  •  নির্দিষ্ট জায়গায় একটানা দীর্ঘক্ষন বসে থাকতে অস্বস্তিবোধ।অনবরত স্থান পরিবর্তন করা।
  • বিরক্ত করা।
  • পরিণামের কথা চিন্তা না করেই কাজ করে ফেলা।পরিণাম সম্পর্কে সঠিকভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা না থাকা।
  • একই ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি করা। খারাপ অভিজ্ঞতা বা ভুল থেকে শিক্ষালাভ না করা।
  • নীরবতা বজায় রাখা প্রয়োজন এমন পরিবেশেও প্রচুর চিৎকার-চেঁচামেচি করে সবাইকে
  • কোনো কাজ সম্পূর্ণ করার ক্ষেত্রে নিয়মকানুন জানার বা বোঝার জন্য প্রয়োজনীয় সময় না দিয়েই অংশগ্রহণের জন্য তাড়াহুড়া করা।

৩. বেগপ্রবণতা

  • নিজের কথা বুঝিয়ে বলতে না পারার অক্ষমতা।
  • প্রশ্ন শেষ হওয়ার আগেই উত্তর দেয়া।
  • ঝোঁকের বশবর্তী হয়ে কাজ করা। কোনো কিছু করার কথা ভাবলেই তা করতে ঝাঁপিয়ে পড়া।
  • একটি কাজ সম্পূর্ণ না করেই অন্য কাজ শুরু করে দেয়া।
  • খেলাধুলায় ব্যস্ত অন্য শিশুদের মাঝে জোর করে ঢুকে পড়া, অথচ সেখানে সে হয়ত কাঙ্খিত নয়।
  • অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ এবং সংবেদনশীল হওয়ার জন্য যখন তখন কেঁদে ফেলা।
  • ধৈর্য্যের অভাবে তড়িঘড়ি করে কোনো কিছু করতে গিয়ে ভুল করে ফেলা।
  • অন্যের কথার মাঝে ঢুকে পড়া।অন্যকে কথা বলতে না দেওয়া।

রোগনির্ধারণঃ

কোনো শিশু ADHD আক্রান্ত কি না, সে ব্যাপারে একমাত্র মনোরোগ বিশেষজ্ঞরাই বিভিন্ন লক্ষণ দেখে বলতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগের মূল্যায়ন করে থাকেন। এমনকি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা এটাও দেখে নেন যে শিশুটি অন্য কোনো রোগ বা বিকারে আক্রান্ত কি না। এক্ষেত্রে কিছু পরীক্ষা হলো-

১) কনার্সপ্যারেন্ট রেটিং স্কেল
২) ডেনভার ডেভেলপমেন্ট স্ক্রিনিং টেস্ট
৩) চাইল্ড বিহেভিয়ার চেকলিস্ট

 প্রতিকারসমূহঃ 

  • মনে রাখতে হবে যে ADHD-তে আক্রান্ত শিশুদের জন্য নিজের আবেগ ও আচরণ দমন করা বেশ কঠিন। অর্থাৎ, কোনো কাজ করার আগে তারা পরিস্থিতি বা কাজের ফলাফল বিবেচনা করতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ADHD আক্রান্ত শিশুকে স্বাভাবিক জীবন-যাপনে অভ্যস্ত করতে হলে, পারিবারিক সহযোগিতা একান্ত জরুরি।
  • কোনো শিশুর মধ্যে এমন আচরণগত সমস্যা যদি ছয় মাসের বেশি স্থায়ী হয়, তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • বয়স অনুযায়ী শিশুর খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে শিশুর যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিত করতে হবে।সাধারণত বলা হয় শিশুর পেট যেন সবসময় ভর্তি থাকে। কারণ এদের ক্ষিদের বোধ থাকেনা। কিন্তু খিদে পেলে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। 
  • দিনের পরিকল্পনা করা বিশেষ জরুরি; যেন শিশু বুঝতে পারে তার কাছে কী আশা করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে কী ধরনের আচরণ আশা করা হচ্ছে তা নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। ইতিবাচক আচরণকে তাৎক্ষণিক পুরস্কার বা প্রশংসার মাধ্যমে স্বীকৃতি দিতে হবে। 
  • বিভ্রান্ত না করে সুস্পষ্টভাবে শিশুকে নির্দেশনা দিতে হবে।একসাথে অনেক কাজ নির্দেশ না করে ছোট ছোট করে নির্দেশ করতে হবে। মনে রাখার বিষয় হল এই বিশেষ শিশুরা একসাথে একাধিক নির্দেশ ( Multiple Instructions) পালন করতে অপারগ হয়। তাই একবারে একটি নির্দেশ দেওয়াই উচিত। এবং কাজ সম্পূর্ণ করতে সময় দিতে হবে। প্রয়োজনে সাহায্য করতে হবে।
  • শিশুকে পরিবারের বাইরেও মেলামেশার সুযোগ দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন শিশু আত্মনিয়ন্ত্রণ হারিয়ে না ফেলে। সে ক্ষেত্রে শিশুর খেলা বা মেশার সময়কে সংক্ষিপ্ত রাখতে হবে।
  • পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য শিশুকে শারীরিক ব্যায়ামে অভ্যস্ত করতে হবে।হালকা প্রাণায়াম বা ধ্যান খুব উপকারী হয় এক্ষেত্রে। তাছাড়া এমন কিছু খেলা যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, সাঁতার, স্কোয়াশ প্রভৃতি খেলতে দিতে হবে যার ফলে প্রচুর পরিমানে শক্তিক্ষয় হয়। ক্লান্তি এলে আস্তে আস্তে শিশু শান্ত হবে ও মনঃসংযোগ বাড়বে। 
  • বাড়ির পরিবেশ শান্ত হতে হবে। বারবার বাসস্থান বা বিদ্যালয় বদল এদের ক্ষেত্রে খুব ক্ষতিকর হয়। তাই একই পরিবেশে থাকতে দিতে হবে। 
  • গান, বাজনা বা আঁকার দিকে উৎসাহ দিতে হবে। এতে ধীরে ধীরে মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাবে। এনার্জি চ্যানেলাইজ করা দরকার
  • নিজেদের ব্যবহার শান্ত রাখুন। শিশুর চঞ্চলতায় বিরক্ত প্রকাশ বা শাসন করা উচিত হবে না।
  • যে ADHD শিশুটি বসতেই চায়না এবং চাঞ্চল্য কখনোই থামেনা, তাকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে তার Energy Release এর পদ্ধতি বের করুন, যাতে সে স্বীয় চাঞ্চল্যসহ বসে থেকে অন্য কাউকে বিরক্ত না করে। এ ক্ষেত্রে তাকে তার হাতে স্ট্রেস বল বা অন্য কোনো কিছু ধরিয়ে এক জায়গায় বসিয়ে রাখতে পারেন, যাতে সে সেটি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। চিউয়িং গামও এ ক্ষেত্রে অনেক সময় ভালো কাজে দেয় এক্ষেত্রে ক্লে মডেলিং খুব কাজে দেয়। ডাক্তাররাও ক্লে মডেলিং এর সাহায্য নিতে উপদেশ দেন।
  • পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। অন্তত দিনে ৮-১০ ঘণ্টা নিরুপদ্রব ঘুম দরকার শিশুর। মস্তিস্ক যত বিশ্রাম পাবে তত উপকার হবে।
  • শিশুর মতামতকে গুরুত্ব দিন। তার যে কোনো কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। অনুভব করাতে হবে যে সেও পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য।
  • এছাড়া ADHD আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা থেরাপি, কাউন্সেলিং, বিহেভিয়ার এবং রেমিডিয়াল ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
কলমে - আবীর সেনগুপ্ত 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন