অতিমারী-আক্রান্ত শীতের শহরে সে দাঁড়িয়ে
এলো চুলে, খোলা পিঠে সবটুকু মড়া রোদ
শুষে নেয়, শত-শত ইমারত অক্লেশে ছাড়িয়ে !
তার রক্তস্নাত খড়্গ,
মেখে নেয় সমস্ত
শ্রবণীয় স্পর্শ।
সারা গায়ে তার,
উল্লসিত শহরের
মায়াবী নিয়ন-প্রতিফলন।
হতমান, বন্ধ্যা সময়ের কর্মহীন নাগরিক,
কোলাহল ভুলে বিস্ময়ে চেয়ে থাকে।
চেয়ে চেয়ে দেখে এক উলঙ্গ বিভীষিকা-কে।
তার পদতলে নীল পৌরুষ,
রূধির করতলে,
গাঢ় কৃষ্ণবর্ণ বক্ষে,
মুন্ডমালা
রক্ত-রঙে জ্বলে !
সে মেয়ের চাহনিতে কসমিক-রাগ,
সান্ধ্য শাঁখে জানায় যারা নম্র অনুরাগ,
তাদের প্রতি দৃষ্টিপাতে সেই কালো মেয়ের -
দু-চোখে গড়িয়ে আসে,
পুরাণ-মথিত জল।
তৃষিত মানুষ প্রসারিত করে,
বিপন্ন করতল।
আমার তখন...
বুকের মধ্যে আকাশ - বিয়োগ দলছুট মেঘ,
মাথার ভিতরে মাল্টিপ্লায়েড শত উদ্বেগ,
যোগেতে ভাগেতে প্রাপ্তির খাতা শূন্য যখন,
সাবস্টিটিউট লাভের হদিশে নেশাতুর মন !
সেই নারী তখন,
তার কালো, কঠোর দুই হাতে,
তৈরি করে প্রশস্ত এক ব্ল্যাক হোল,
আমি.. আমার শহর,
আমার মন-খারাপ,
লজ্জা-ভয়, সবটুকু নিয়ে সেই প্লাজমা-স্বরূপা
কবন্ধ অন্ধকারে প্রবেশ করি।
সেই মেয়ে, তখন খড়্গ আর কাটা মুন্ডু ফেলে,
প্রচন্ড হিপনোটিক উল্লাসে চার হাতে হাততালি দিলে,
সভ্যতার পঁয়ষট্টি ডেসিবেলের মেকি অভিমান
খান-খান হয়ে যায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন