ব্রাত্যজনকথা - রঞ্জন চক্রবর্ত্তী


  

রোদ ঝলমলে দিন, অন্ধকার দীর্ঘ রাত, সবকিছু নিয়মমাফিক
ছিন্নমূল মানুষরা ভিনদেশে শরণার্থী,
ভাঙাচোরা স্বপ্নগুলো হারানো স্বজনের মুখ হয়ে আসে
ধূলি-ধূসরিত পথে হেঁটে যান সম্বুদ্ধ জাতক

 

এক দিন গোলাভরা ধান ছিল বলে জানি
খেতে ছিল সোনার ফসল
পাতাছাওয়া ঘরে পেটভরা ভাত এবং শান্তির ঘুম -
অশ্বমেধের ঘোড়া নিয়ে হঠাৎ হাজির যুগের বার্তাবাহক
অতএব জনশূন্য প্রান্তিক জনপদ, কে কোথায় গেল হিসেব রাখেনি কেউ -
আগুনে পুড়েছে ঘর-গেরস্থালী, পুড়েছে জীবন-যৌবন
আগুনে পুড়েছে ঐহিক সুখের বাসনা, পারত্রিক শান্তির কামনা
আমি একাকী অগ্নির স্তুতি করি . . .

 

কে বলে মরুভূমির মাঝে এক টুকরো মরুদ্যান নেই?
সামগানে মুখরিত অন্তরীক্ষ, জল আর স্থল
যুগসন্ধিক্ষণে শোনা যায় অধ্বর্যুর প্রার্থনাসঙ্গীত
যজ্ঞ শেষ হলে পুরোহিত কুশাগ্রে ছেটান শান্তিজল

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন