পরীক্ষা - তপন তরফদার

 


সারা জীবনধরেই আমরা পরীক্ষা দিয়ে যাই কোনো  সময় জেনে আবার কোনো সময় অজান্তেই আমরা পরীক্ষা দিয়ে চলেছি  আবার কিছু  সময় পরীক্ষক কে অজানাই থেকে যায়কিন্তু  ফলাফল জীবনের প্রতিটি ধাপেই পেয়ে যায় সার্থক জনম আমার গানটা প্রায়শই গেয়ে থাকে সার্থক সার্থক কলেজের শ্রেষ্ঠা সুন্দরী রণিতাকে বিয়ে করতে পরেছে


সংসার জীবন ও  সুখের স্বর্ণ কলসে পরিপূর্ণ ছেলের নাম দিয়েছে জয় জয় প্রাইমারি স্কুলের সব পরীক্ষায় প্রথম হয়ে স্কুলের গণ্ডি পেরোলো রণিতাটিচার -ম্যামদের উপঢৌকন দিয়ে।রণিতার মনে গেঁথে যায় জীবনের সব পরীক্ষায় পাশ করার সর্টকাট পদ্ধতিটাই খুঁজে বার করাটাই আসল কাজ রণিতা ঔই পেশাদারী রাজনীতিতে না জড়িয়ে ও  সর্বঘটে কাঁঠালি কলা হয়ে গেল কারনে অকারণে   বাইরেই বেশি সময় কাটায়  সুন্দরীর মুখের জয় সর্বত্র রণিতা  বুঝে গেছে, “জীবন একটাই যতটা পার ভোগ করে নাও

সার্থকেরসুন্দরী জীবন সঙ্গী পেয়ে জীবন সার্থক হয়েছে মনে করে এখন  এই সুন্দরীর ভরন-পোষন চালাতে জান কয়লা করে দিন-রাত গাধার মতো  খাটতে হয়দুজনের কেউই জয়ের লেখাপড়াওর সঙ্গীদের প্রতি নজরদারি করেনিনবম শ্রেণীর  পরীক্ষার ফলাফলে রণিতার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে ছেলে অঙ্কে ফেল করেছে অন্যান্য বিষয়ে কোনো রকমে পাশ করেছেরণিতা কি ভাবে সমাজে মুখ দেখাবেএলোপাথাড়ি মারতে থাকেছেলেকে মোবাইল দেওয়াই কাল হয়েছে

জয়ের আশা ছিল  বাবা জয়ের হয়ে মাকে বুঝিয়ে বলবে সার্থক বাড়িতে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে মা নালিশ করতে থাকে বাবা বলে আমি সারাদিন ব্যস্ত থাকি তুমি সারাক্ষণ ঘুরে বেড়াও ছেলের এই পরিণতির জন্য তুমিই দায়ী দুজনের সারারাত ধরে  তুমুল ঝগড়া

সকালে উঠে দেখেজয় ওর ঘরের সিলিং ফ্যানে ঝুলছে হাতের মোবাইলে লেখা, “আমার জন্যে কোনো পরীক্ষাতেই তোমাদের আর মথা হেঁট হবেনা


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন