(১)
হাল্কা সবুজ- হলুদ পর্দার ফাঁক দিয়ে নরম আলো আমার ঘরে
ঢুকছে। আলোর বিকিরণের ছড়াছড়ি। গায়ের চাদরটা সরে গেছিল। গলা অব্দি আর একটু টেনে
নিয়ে ওর ওম নিলাম। আজ শনিবার। স্কুল ছুটি। তবু একটু পরেই বিছানা ছাড়তে হবে।
প্রাতঃকালীন ভ্রমণে বের হব যে।
ভোরের গন্ধ আমার খুব ভালো লাগে। প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিই। নাহ্! আর শুয়ে থাকা যাবে
না। উঠে গায়ের চাদর, বালিশ সবকিছু গুছিয়ে রাখলাম। হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে
নিলাম। এলোমেলো হয়ে কোন জিনিস পড়ে থাকা আমার একদম
না-পসন্দ। আমার ঘরে কোন কিছু এদিক ওদিক হয়ে পড়ে থাকে না। সবকিছু পরিপাটি করে
সাজানো। শুধু জীবনটাই একটু আমার অগোছালো। যাইহোক্। আমার দু কামরার একটা ছোট্ট ফ্ল্যাট। একটা ছোট্ট শোবার ঘর, আর
একটাতে আমার ড্রইং ডাইনিং স্পেস ।পাশেই একটা ছোট
পুচকি রান্নাঘর। আর আছে একটা এক ফালি বারান্দা। সেটাকে আমি পরম যত্নে সাজিয়েছি। বেশ
কয়েকটা ছোট ছোট পাতা বাহারের টব বারান্দাটার শোভাবর্ধন করছে। ফুলের চেয়ে
পাতাবাহার-ই আমার বেশি পছন্দের। ফুলের তো ঝরে পড়ার ভয় আছে। পাতা বাহারের
পাতাগুলো বেশ শক্ত সমর্থ্য অবস্থায় অনেক দিন থাকে। আলতো করে পাতাগুলোয় হাত
বুলিয়ে দিলাম। ওদেরকে স্পর্শ করলে আমি যেন আমার তিন্নির ছোঁয়া পাই। মনে হয় তিন্নি আমার
কাছেই আছে । তিন্নি যখনই দিল্লি থেকে এই ফ্ল্যাটে আসে; তখন ওই এদের দেখভাল করে । নিয়ম করে
দু’বেলা জল দেওয়া ,যত্ন করা। তিন্নি চলে গেলে তখন আবার আমার দায়িত্ব-বর্তায়।
গাছগুলোকে জল দেওয়ার কাজ শেষ। সদর দরজাটা লক করে বেরিয়ে এলাম। আমার ফ্ল্যাটটা চার
তলায়। অত ঝাঁ চকচকে বিল্ডিং নয়। আমার মুখোমুখি মন্ডলদের ফ্ল্যাট। তাদের দুই ছেলেই কলকাতার বাইরে সংসার নিয়ে থাকে।কালেভদ্রে এদের সাক্ষাৎ
মেলে। মন্ডল দম্পতি খুবই কৌতূহলী। আমার গতিবিধির উপর তাদের স্বামী স্ত্রী দু’জনেরই ভীষণ নজর ।কোথায় যাই,
কখন ফিরছি, কার সাথে যাচ্ছি ,আমার ফ্ল্যাটে কে আসছে, কে যাচ্ছে সবকিছু তাদের জানা চাই। তবে আমার তা নিয়ে এখন আর
বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই। যা খুশি ভাবুক, আমি আমার পথে চলবো।
(২)
প্রাতঃ ভ্রমণ সেরে বাড়ি ফেরার পথে বাজার পড়ে। সব টাটকা
সবজি নিয়ে বসে। কয়েকজন আবার মাছ ও নিয়ে বসে। এ তল্লাটে সবাই আমাকে বড় দিদিমণি
হিসেবেই চেনে। সম্মান করে ।গতকালই পূর্ণিমা বলছিল ফ্রিজে কাঁচা তরকারি আর নেই। তাই
কিছু সবজি কিনে নিয়ে যাব। মনিরুলের শাকসবজিগুলো বেশ তাজা ।ওর দোকানের সামনে
এগিয়ে যেতেই একগাল হাসি।
---"কি নেবেন,বড় দিদিমণি?"
---“ওই একটু সবজি নেব। তুমি তো জানোই আমি কি নিই। সবইএকটু একটু করে
দিয়ে দাও।"
---"আচ্ছা দিদি।"
---"
মনিরুল, আরশিকে স্কুলে পাঠাচ্ছ না কেন?"
---"
ওর শরীরটা ভালো নেই দিদি। কিছুদিন ধরেই সর্দি জ্বরে ভুগছে।
আপনাকে ও খুব ভালোবাসে। অসুস্থ শরীরেই স্কুলে যাওয়ার জন্য অস্থির হয়ে
উঠেছে।"
মনিরুল একটা ব্যাগে সব সবজি গুছিয়ে দিল। ফেরার পথে
মনিরুলদের বাড়ি হয়ে যাব। অসুস্থ মেয়েটার জন্য কিছু ফল কিনে নিলাম। আমার জীবনে
বাঁচার রসদ আমার এই
ছাত্র-ছাত্রীরা ও তিন্নি ।তিন্নির মুখখানা যেন আমি ওদের মধ্যে খুঁজে পাই ।মনিরুলের
দোকান থেকে ওদের বাড়িটা হাঁটা পথে মিনিট পনেরো । দরজার কড়া
নাড়তেই মনিরুলের বউয়ের হাসি মাখা মুখ।
---"আরে বড়দি আপনি!ভেতরে আসুন।"
জীবনে কম ঘাত প্রতিঘাত তো আমায় জর্জরিত করেনি। কিন্তু এদের
ভালোবাসা আমায় আজ সব ভুলিয়ে দিয়েছে। আমার এলোমেলো জীবনটা আস্তে আস্তে আমি
অনেকটাই গুছিয়ে নিয়ে এসেছি।
(৩)
বাড়ি ফিরে দেখি ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে পূর্ণিমা
ফ্ল্যাটে ঢুকে রান্না বান্নার আয়োজন করছে। বড়ই বিশ্বাসী
লোক সে।
---"
কোথায় ছিলে এতক্ষন দিদি ?এত দেরি হল!"
---"
ওই স্কুলের একটা বাচ্চা জ্বরে ভুগছে। তাই তাকে দেখতে
গিয়েছিলাম। "
---"ও আচ্ছা।"
---"সবজি নিয়ে এসেছি। দেখে নাও।"
পূর্ণিমাকে সবকিছু বুঝিয়ে আমি এক কাপ কফি নিয়ে আমার এক
ফালি বারান্দায় এসে বসলাম। বড় প্রিয় আমার এই বারান্দাটা। আমার এক সময়ের
এলোমেলো জীবনের টুকরোগুলো আমি এখানে বসেই জোড়া লাগাতে থাকি। তিন্নি আর আমার ছোট্ট
সুখের সংসার ।কোন বৈভব নেই ।কিন্তু আছে সুখ । তিন্নি যদি আমার পাশে না থাকতো,
তাহলে হয়তো সেই এলোমেলো জীবন আমাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে
রাখতো।
খুব অল্প বয়সে আমার সাথে দীপক রায়ের বিয়ে হয়। বনেদি
পরিবার। তাই দেখেই আপ্লুত হয় আমার পরিবার ।সাত তাড়াতাড়ি আমার বিয়ে হয়ে যায়।
কিন্তু
বনেদি পরিবারের শিক্ষা দীক্ষা আমার শ্বশুর বাড়ির লোকেদের
মধ্যে মোটেও ছিল না। মেয়ে মাত্রেই পায়ের তলায় পিষতে হবে...এটাই ছিল ওনাদের
মূল মন্ত্র। পদার্থ বিজ্ঞানে এমএ পাস করেও আমার জায়গা হলো ঘরের কোণে। চাকরির
চেষ্টা করছি। এটা জানাজানি হওয়ার পর আমার বাড়ির বাইরে বেরোনো বন্ধ হয়ে গেল।
বিয়ের এক বছরের মাথায় তিন্নি আমার কোল আলো করে এলো ।তিন্নিকে বড় করে তোলার
ফাঁকে ফাঁকে আমার মনের মাঝে পুরনো, মরচে ধরা স্বপ্নগুলো আবার একটু একটু করে ডানা মেলতে চাইছিল।
কিন্তু আবারো আমার ডানা ছেটে দেওয়া হলো ।আমি দ্বিতীয়বার গর্ভবতী
হয়ে পড়লাম।
দীপক রায় মুচকি হেসে বললেন," খুব তো ওড়ার শখ। নাও আবারও পায়ে শেকল পরিয়ে দিলাম।"
আমার দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সময় অনেক জটিলতা দেখা দেয়।
অনেক কষ্টে আমার পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু সে ছিল ক্ষণিকের অতিথি। তিন্নিকে
খড়কুটোর মত আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছিলাম। কিন্তু আঘাতের পর
আঘাতে
আমি শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম ।দীপক রায়ের নিজস্ব জগত থেকে আমার
বহু দূরের অবস্থান। বহুবার চেষ্টা করেছি সেই পৃথিবীর কক্ষপথে প্রবেশ করতে। কিন্তু
পারিনি ।আমার জন্য তার কোনদিনই সময় ছিল না। চিরকাল আমি তার কাছে ব্রাত্যই হয়ে রইলাম। আমাকে সময় দেওয়া মানে
তার কাছে সময়ের অপব্যবহার। কিন্তু সময় না দিলেও সে কিন্তু তার পুরুষত্ব জাহির
করতে পিছপা হত না ।বছরের পর বছর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনগুলো সহ্য করে গেছি।
ক্ষীণ আশা ছিল হয়তো সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কিছুই ঠিক
হয়নি ।জীবন আমার একই খাতে বয়ে গেছে। বাইরের জগতে ব্যস্ত আমার স্বামী আর তার
অপেক্ষায় বসে থাকা আমি। আগ্নেয়গিরি সেদিন ভয়াল রূপ ধারন করল যেদিন দীপক রায় তিন্নির সামনে আমার
গায়ে হাত তুলল। আগে এগুলো বন্ধ দরজার পেছনে হওয়ায় তিন্নি সেগুলোর আচ্ পেত।
কিন্তু কখনো স্বচক্ষে দেখেনি। আগে কখনো প্রতিবাদ করিনি। বা
হয়তো প্রতিবাদের ভাষাটাই ভুলে গিয়েছিলাম । তিন্নি আমায় প্রতিবাদ করতে শেখালো।
তিন্নি তখন কলেজে পড়ছে নিজের স্কলারশিপের টাকায়। ওর হাত ধরে বাড়ির চৌকাঠ
পেরিয়ে এলাম। পেলাম বাবার আশ্রয় ।এখানে আমরা শুধু তিনজন
বাবা,
আমি ও তিন্নি। বাবার সাধ থাকলেও সাধ্য নেই। প্রচুর পরিশ্রমের পর
একটা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে আমার ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল। চাকরিটা আমার অবশেষে হল।
বাবার দেওয়া বিয়ের গয়নাগুলো বিক্রি করে আর কিছু টাকা জমিয়ে গড়ে তুললাম আমার
এই কুটির । কোনও কোনও দিন আধ পেটা
খেয়ে রয়েছি মা ও মেয়ে ।আজকে মেয়ে আমার সুপ্রতিষ্ঠিত। জীবন ওকে অফুরন্ত
দিয়েছে। লক্ষ্মী ও সরস্বতীর আশীর্বাদে পরিপূর্ণ ওর জীবন ।এর থেকে বড় ফ্ল্যাট
কিনে দিতে চেয়েছে। কিন্তু আমি বড় ফ্ল্যাটে যেতে চাইনি।
আমার কুটিরকে ছেড়ে আমি কোথায় যাব ?এ যে আমার বড় শান্তির জায়গা। আমার তিল তিল করে গড়ে ওঠা
রাজপ্রাসাদ। তিন্নি এখন দিল্লিতে চাকরি করে। ছুটি পেলে আমার কাছে কলকাতায় চলে
আসে। কয়েক বছর আগে বাবা পরলোক গমন করেছেন। প্রেসার কুকারের হুইসেলের শব্দে ঘোর
কাটলো ।চিন্তার সুতোগুলো কেটে গিয়ে আবার বাস্তব জগতে ফিরে এলাম।
(৪)
বেশ কয়েকটা বছর মাঝে কেটে গেছে। একাই জীবনের পথে হেঁটে চলেছি। বিবাহিত এক মেয়েমানুষ...
সিঁথিতে তার চিহ্ন নিয়ে ,একাকী এই সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচবে তা তো আর হয় না। টেনে
হিঁচড়ে তাকে নামাতেই হবে। আমার ক্ষেত্রেও তার
অন্যথা হয়নি। আত্মীয়-স্বজনের বক্রোত্তি ,চেনাশোনা লোকেদের আমারই চরিত্রে খুঁত বার করা। এগুলো
আমি নিত্যদিন দেখে এসেছি। জীবনের অধিকাংশ সময়টাই এভাবে অতিবাহিত হয়ে গিয়েছে।
এরই মাঝে একদিন আমার শ্বশুর বাড়ির উকিলমশাই হরেন চক্রবর্তী আমার এখানে এলেন।
ঠিকানা কিভাবে খুঁজে পেতে জোগাড় করলেন তা অজানাই রয়ে গেল। ওনার মুখে জানতে পারলুম আমার স্বামী আমায় একবারটি দেখতে চান। আমাকে উনি
উত্তর কলকাতার বাড়িতে যেতে বললেন। প্রথমে আমি খুব একটা আগ্রহ দেখালাম না।
কিন্তু পরে তিন্নির কথা ফেলতে পারলাম না। তিন্নি এখন আমার অভিভাবক। আমরা দুজন
বহুকাল পর বাগবাজারের বাড়িতে পা রাখলাম। বিয়ের পর দেখা
সেই বাড়ির আগেকার বৈভব আর অবশিষ্ট নেই। নোনা ধরা দেওয়াল
।ইট গুলো বিচ্ছিরিভাবে দাঁত বার করে হাসছে। পুরো বাড়িটায় অভাবের ছাপ সুস্পষ্ট।
যখন বাড়িটায় পা রাখলাম তখন বেলা প্রায় পড়ে এসেছে ।একতলার ঘরে টিমটিম করে আলো
জ্বলছে ।পুরনো আমলের বয়স্ক পরিচারক সজলকাকা আমায় আর তিন্নিকে দেখে বেশ অবাক হলেন। দাদা বাবুর
সঙ্গে দেখা করতে এসেছি শুনে একতলার যে ঘরে আলো জ্বলছিল সে ঘরে আমাদের নিয়ে গেলেন।
আমার স্বামী চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন। সজল কাকা ওনাকে ডেকে দিলেন ।বুঝলাম এ বাড়িতে উনিই
আমার স্বামীর দেখভাল করেন। আর কেউ এখানে বর্তমানে থাকেন না। একসময় যে বাড়িটা
গমগম করত আজ সেখানে শুধুই নীরবতা। বিশ্বাস করতেও কষ্ট হল। আমার স্বামী চোখ মেলে
চাইলেন ।কিছু বলার চেষ্টা করলেন ।কিন্তু পারলেন না। ডান হাতটা তুলে তিন্নিকে ডাকার
চেষ্টা করলেও হাতটা ওনার সঙ্গ দিল না। সজল কাকা জানালেন দু’বছর আগে পক্ষাঘাতের দরুন উনি শয্যাশায়ী। উনি বুঝতে পারছিলেন ওনার দিন অতি
দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তাই আমাকে ও তিন্নিকে একটিবারের জন্য দেখতে চাইছিলেন। নিজের
কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত। ওনার চোখের জলের ভাষাই সব প্রকাশ করছিল। বলতে আমিও অনেক
কিছু চাইছিলাম। কিন্তু গলায় একটা অজানা ব্যথা যেন দলা পাকিয়ে উঠলো।
একটা সময় যে চোখের জল শুকিয়ে গেছিল ,
আজ যেন সে বাঁধ ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছে ।সজল কাকা বলল, “অনেকদিন আগেই
দাদাবাবুর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছিল। একে একে বাড়ির বিভিন্ন অংশ বিক্রি হয়ে গেছে।
আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবেরাও আর এখন এ মুখোও হয় না।“
যাই হোক তিন্নি আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম উনার সঠিক চিকিৎসার
আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করব। ঠিক হলো পর দিন সকালে ওনাকে আমরা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করব। উনি হয়তো কথা বলতে
পারছিলেননা কিন্তু আমাদের সব কথা বুঝতে পারছিলেন ।
সজল কাকা অনেকটা দিন ওনার সাথে থাকার দরুন ওনার আকার ইঙ্গিতে কথা বলাগুলো বুঝতে পারছিলেন। সমস্ত
কিছু সজল কাকে বুঝিয়ে, ফোনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বাড়ি ফিরে এলাম।
পরের দিন কথামত সকাল দশটা নাগাদ বাগবাজারের বাড়িতে আমি আর তিন্নি আবারও পৌঁছে
গেলাম ।উকিল বাবু হরেন চক্রবর্তী মহাশয়কে এসময়ে এখানে দেখব আমি আশা করিনি। কেমন
যেন অজানা আশঙ্কায়
বুকটা ধড়াস করে উঠলো। আমাদের দেখতে পেয়ে সজল কাকা হাউ,
হাউ করে কেঁদে উঠলেন। হরেনবাবু বললেন,
"আপনাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম। বাড়ির
অনেকটাই তো বিক্রি হয়ে গেছিল আর কিছুটাই অবশিষ্ট আছে। যতটুকু আছে ততটা দীপক বাবু আপনাদের
নামে লিখে গিয়েছেন বেশ
কিছু মাস আগে। আপনার ঠিকানাটা বহু কষ্টে যোগাড় করে তবে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে
পেরেছিলাম। দীপকবাবু এই গয়নার বাক্সটা তিন্নি মাকে দিয়ে গেছেন।"
---"দিয়ে গেছেন মানে? কোথায় গেছেন?"
হরেন বাবু উত্তর দিতে কিছুটা সময় নিলেন ।
---"
গতকাল রাত সাড়ে এগারোটায় দীপক বাবু আমাদের ছেড়ে চলে
গেছেন। ওনার ম্যাসিভ্
অ্যাটাক হয়।"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন