হে মৈত্রেয়নাথ বুদ্ধ !
তুমি কি জানো কত তীর্থে তীর্থে উন্মাদের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি শুধু
তোমায় ছোঁবো বলে।
আমার দরবিগলিত অশ্রুরাশি দিয়ে
তোমার উপাসনা করেছি শুধু তোমায় পাবো বলে।
তুমিই সেই যে আমার জন্মজন্মান্তরের সঙ্গী।
আমার সকল বেদনার ভিতরেও তুমি;
আমার সকল আনন্দের ভিতরেও তুমি;
আমার জন্ম-মৃত্যু- হর্ষের- তপস্যায় তুমিই জলবিন্দু হয়ে ঝরে পড়েছ।
বহু সাধকের বহু সাধনার ধারা আমি অমৃত যন্ত্রনায় পান করেছি
শুধুমাত্র তোমায় ছোঁবো বলে।
আমি তোমার দাসের দাস, রেনুর রেনু ;
তুমি ব্রহ্ম হতে শক্তি , তুমিই তো বিরাট হতে স্বরাট।
যারা অজ্ঞান তারা বলে ঈশ্বর সেথায়-সেথায়,
যারা জ্ঞানী তারাই জানে ঈশ্বর হেথায়-হেথায়।
অন্ধকার এসে দাঁড়ালে;
আমি তোমার কাছে ফিরে যেতাম বারে বারে।
তখন তুমি আমায় শিখিয়ে ছিলে,
সূর্য হতে গেলে আগে নিজেকে জ্বালিয়ে দিতে।
তুমিই বলেছিলে যন্ত্রণা থেকে যে জ্যোতি প্রকাশ পায়
তা দিয়ে জগৎ কে আলো দিতে।
সবশেষে তুমি যখন অনাথের বেশে ভগবান সেজে
আমার পাশে দাঁড়ালে,
তোমার দুহাতে আমার জীবনব্যাপী নৈবেদ্য তুলে দিলাম,
তবুও তোমায় ছুঁতে আমি পারলাম না।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন