অবশেষে তুমি এলে...।
বন্যার জল যেমন বহুদূর থেকে প্রবল গর্জনে হুহু করে
আচমকা এসে প্লাবিত করে জনপদ,
ঘরবাড়ি গাছপালা গবাদি পশু ও মানুষ অসহায়ের মতো
পায়ের তলায় একটু অবলম্বনের খোঁজে
ফাৎনার মতো ডুবতে ডুবতে আবার ভেসে ওঠে;
কিংবা চিতার আগুন যেমন ধিকি ধিকি জ্বলতে জ্বলতে,
দপ্ করে জ্বলে ওঠা সর্বগ্রাসী লেলিহান
নৃত্যরত শিখার উষ্ণ আলিঙ্গনে আসে চির মুক্তি;
অথবা চৈত্র শেষের প্রখর তাপে চৌচীর মাটির
বুক চিরে উঠে আসা হা-হুতাশ ঘূর্ণির মতো কী ভীষণ
দুরন্ত বেগে অনল-পিঙ্গল বেশে এলে তুমি!
তোমার রথের ধুলোমেঘ-আঁধারে ঢাকলো নভোতল,
শতফণাধারী বাসুকীর মতো ধেয়ে এল প্রলয়-মত্ত কালবৈশাখী,
তোমার মাদলের মাতাল বোলে
দিগন্তে ধ্বনিত হলো মেঘমল্লার,
ধুলিধুসরিত তৃষিত ধরণীর শিরায় শিরায়
ধাবমান প্রাণদায়ী শীতল ধারা,
তোমার বাঁশির তানে কুসুমরঙা সূর্যের আলোয়
জেগে উঠলো এক অলৌকিক ভোর,
অতল হৃদয়ের শুক্তি-খোলস ছেড়ে রঙিন একঝাঁক
স্বপ্ন উড়ে গেল ডানা মেলে অসীম নীলে,
অপেক্ষাবসানে রিক্ত মনের আঙিনায়
চিরন্তন আলপনা এঁকে দিলো তোমার পদচিহ্ন।
অবশেষে তুমি এলে...।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন