আত্মপ্রকাশ - তমাল কৃষ্ণ মৃধা




 

আর কতকাল চার দেয়ালে বন্দী হয়েই থাকবে?

বন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে কবে আর তুমি বাঁচবে?

পাছে লোকে তব হিংসা করে কত কথাই না বলে-

সকলে তোমায় দমাতে চাইবে ছলে, বলে, কৌশলে।

অনেকে তোমায় শোনাবে কথা যতই করো ভালো;

তোমার পথে আঁধার রাতে জ্বালবে না কেউ আলো।

জীবন পথে সময় রথে একলা চলবে তুমি;

পায়ের তলার মাটিকে তাই আজ বানাও আপন ভূমি।

জীবনে যদি সফলতা পাও, জেনে রেখো তুমি তবে;

ব্যর্থ হলে সে সবের দায় কেউ নেবে না ভবে।

যতই তুমি ভালো করো আজ, ভেবে সমাজের দরকার;

সে সমাজই হায় কথা শোনাবে ভুলে অতীতের উপকার!

কেন তবে তুমি সমাজের ভয়ে পড়ে আছো এক কোণে;

অযথা ভাবনা, অপরের কথা ঠাঁই দিও না মনে।

কী বা পাবে তুমি মিথ্যা সমাজে আজীবন ক্ষয়ে ক্ষয়ে;

লাঞ্ছনা আর অপমান নিয়ে সময় গেল যে বয়ে।

অন্যের ভয়ে নিজেকে যে আজ ভুলতে বসেছি সবে;

দ্বিধা দ্বন্দ্বের ইতি টেনে কবে আত্মপ্রকাশ হবে?

নিজেকে তো আজ চিনতে শেখো, করো নিজ নিজ কর্ম;

সকলে তোমরা জানিয়া রাখো যে কর্মই হলো ধর্ম।

পরিণতি তার কি যে হবে আর, সময়ই বলবে কথা;

তবে কেন আজ পরিণতি নিয়ে সকলের মাথাব্যথা।

নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে,বেগে আজ বয়ে যাও;

সময়ই তার প্রতিদান দিবে যাহা কিছু তুমি চাও।

সমাজের ভয়ে যদি আজ তুমি ভুলে যাও নিজ সত্ত্বা;

সমাজের এই যাঁতাকলে ফেঁসে হবে বারে বার হত্যা।

নিজের ভিতরে সুপ্ত প্রতিভা যদি না চিনতে পারো;

দিনে দিনে তবে ডুবে যাবে তুমি হতাশার ভিড়ে আরো।

নীলনদ তীরে, সকলের তরে সাক্ষী রাখিয়া আকাশ;

কবে বলো তুমি চিনবে নিজেকে ঘটাবে আত্মপ্রকাশ।

অনেক হলো তো অপরের ভয়ে মুখ ঢেকে পড়ে থাকা;

ভয়ের পর্দা ভেদ করে হোক প্রতিবাদী ছবি আঁকা।

নিজেকে নিজেই দাম দাও আগে নেই তাতে অবকাশ;

আত্মার ভাষা বুঝলেই হবে প্রকৃত আত্মপ্রকাশ।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন