আর কতকাল চার দেয়ালে বন্দী হয়েই থাকবে?
বন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে কবে আর তুমি বাঁচবে?
পাছে লোকে তব হিংসা করে কত কথাই না বলে-
সকলে তোমায় দমাতে চাইবে ছলে, বলে, কৌশলে।
অনেকে তোমায় শোনাবে কথা যতই করো ভালো;
তোমার পথে আঁধার রাতে জ্বালবে না কেউ আলো।
জীবন পথে সময় রথে একলা চলবে তুমি;
পায়ের তলার মাটিকে তাই আজ বানাও আপন ভূমি।
জীবনে যদি সফলতা পাও, জেনে রেখো তুমি তবে;
ব্যর্থ হলে সে সবের দায় কেউ নেবে না ভবে।
যতই তুমি ভালো করো আজ, ভেবে সমাজের দরকার;
সে সমাজই হায় কথা শোনাবে ভুলে অতীতের উপকার!
কেন তবে তুমি সমাজের ভয়ে পড়ে আছো এক কোণে;
অযথা ভাবনা, অপরের কথা ঠাঁই দিও না মনে।
কী বা পাবে তুমি মিথ্যা সমাজে আজীবন ক্ষয়ে ক্ষয়ে;
লাঞ্ছনা আর অপমান নিয়ে সময় গেল যে বয়ে।
অন্যের ভয়ে নিজেকে যে আজ ভুলতে বসেছি সবে;
দ্বিধা দ্বন্দ্বের ইতি টেনে কবে আত্মপ্রকাশ হবে?
নিজেকে তো আজ চিনতে শেখো, করো নিজ নিজ কর্ম;
সকলে তোমরা জানিয়া রাখো যে কর্মই হলো ধর্ম।
পরিণতি তার কি যে হবে আর, সময়ই বলবে কথা;
তবে কেন আজ পরিণতি নিয়ে সকলের মাথাব্যথা।
নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে,বেগে আজ বয়ে যাও;
সময়ই তার প্রতিদান দিবে যাহা কিছু তুমি চাও।
সমাজের ভয়ে যদি আজ তুমি ভুলে যাও নিজ সত্ত্বা;
সমাজের এই যাঁতাকলে ফেঁসে হবে বারে বার হত্যা।
নিজের ভিতরে সুপ্ত প্রতিভা যদি না চিনতে পারো;
দিনে দিনে তবে ডুবে যাবে তুমি হতাশার ভিড়ে আরো।
নীলনদ তীরে, সকলের তরে সাক্ষী রাখিয়া আকাশ;
কবে বলো তুমি চিনবে নিজেকে ঘটাবে আত্মপ্রকাশ।
অনেক হলো তো অপরের ভয়ে মুখ ঢেকে পড়ে থাকা;
ভয়ের পর্দা ভেদ করে হোক প্রতিবাদী ছবি আঁকা।
নিজেকে নিজেই দাম দাও আগে নেই তাতে অবকাশ;
আত্মার ভাষা বুঝলেই হবে প্রকৃত আত্মপ্রকাশ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন