প্রেগন্যান্সি বা গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায় অনেক রকম জটিলতার আবির্ভাব ঘটে।
মূলত বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে গর্ভপাত বা মিসক্যারেজের মতো ঘটনা আজ আর বিরল নয়
একেবারেই। কিন্তু বহুক্ষেত্রে আমরা গর্ভপাতের আসল কারণটাই জেনে উঠতে পারি না।
অনেকসময় গর্ভবতী মা তার সোনোগ্রাফি করার সময় জানতে পারেন যে তার সন্তানের
হৃদস্পন্দন পাওয়া যাচ্ছে না অথবা অন্য কোনো কারণে সন্তান সুনির্দিষ্ট সময়ের
পরে ভূমিষ্ট হওয়ার পরিবর্তে, অনেক আগেই তার মৃত্যু ঘটে।
বলাই বাহুল্য, গর্ভপাতের হাজার একটা কারণ
রয়েছে এবং বহু আলোচিত এই সমস্ত কারণগুলো সম্পর্কে আমরা কম বেশি সকলেই ওয়াকিবহাল। তাই আজ খুবই কম
চর্চিত একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক যা শুধুমাত্র গর্ভপাতই নয়, অনেক সময় গর্ভবতী মায়ের জীবনের ঝুঁকিকেও বাড়িয়ে দেয়। গর্ভাবস্থার এই জটিলতার
নাম ‘মোলার প্রেগন্যান্সি’।
প্রেগন্যান্সি যখন বিভীষিকা
খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে, মোলার প্রেগন্যান্সি হলো
প্রেগন্যান্সির এমন একটি অস্বাভাবিক অবস্থা যেখানে প্রেগন্যান্সির শুরুতেই শুক্রাণু
এবং ডিম্বাণুর বিভিন্ন জটিলতার কারণে ভ্রূণ তৈরী হতে
পারে না অথবা আংশিক ভাবে তৈরী হয়। ফলতঃ মা নিজেকে গর্ভবতী মনে করলেও তার গর্ভস্থ ভ্রূণে আসলে প্রাণের সঞ্চার ঘটে না। কিন্তু এই হৃদয় বিদারক ঘটনার নেপথ্যে থাকা
আসল কারণটা ঠিক কী? আমরা সকলেই হয়তো জানি যে একটি
শুক্রাণু এবং ডিম্বাণুর মিলনের ফলে তৈরী হয় ভ্রূণ বা ফিটাস।
ডিম্বাণুটি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত বা ফার্টিলাইজড হওয়ার
পরেই দুটো অংশে তা বিভক্ত হয়ে পরে। একটি অংশ তৈরী করে প্লাসেন্টা যা জরায়ু বা
ইউটেরাসের আস্তরণ (লাইনিং) বরাবর বেড়ে ওঠে এবং অন্য অংশটি তৈরী করে এম্ব্রায়ো যা
পরবর্তী কালে ভ্রূণে রূপান্তরিত হয়। প্লাসেন্টা মূলত সমস্ত
প্রয়োজনীয় উপাদান এবং অক্সিজেন মায়ের শরীর থেকে ভ্রূণে এবং
দূষিত, বর্জ্র পদার্থ ও কার্বন ডাই
অক্সাইড ভ্রূণ থেকে মায়ের শরীরে পৌঁছে দেয় আম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে।
মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে এই প্লাসেন্টা ঠিক মতো স্বাভাবিক ভাবে তৈরী হতে
পারে না। ফলে প্লাসেন্টাটি তরল পদার্থ পূর্ণ একটি থলিতে পরিণত হয় যার প্রভাবে জরায়ুতে
তৈরী হয় টিউমার বা সিস্ট। যেহেতু এক্ষেত্রে প্লাসেন্টাটি কোনো প্রয়োজনীয় পুষ্টি
এম্ব্রায়োকে সরবরাহ করতে পারে না তাই ভ্রুন জন্ম নিতে পারে না এবং গর্ভাবস্থাও
বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
মোলার প্রেগন্যান্সির রকমফের
মোলার প্রেগন্যান্সির মতো অস্বাভাবিকতা প্রায় ১০০০টা প্রেগন্যান্সির মধ্যে একটি ক্ষেত্রে হতেই পারে। অর্থাৎ খুব সাধারণ ঘটনা না হলেও প্রায় ০.১ শতাংশ আশঙ্কা থেকেই যায় এই রোগের। এই জটিলতা যা চিকিৎসকদের ভাষায় হায়ডাটিডিফর্ম মোল (hydatidiform mole) বা জেস্টেশানাল ট্রফোব্লাস্টিক ডিসিজ (gestational trophoblastic disease) নামে পরিচিত তার সাথে কিন্তু ভবিষ্যতে সেই নারীর পুনরায় গর্ভবতী হওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেবে কি না তা সম্পর্কিত নয় কোনোভাবেই । অর্থাৎ কোনো মহিলা পূর্বে স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরেও এই মোলার প্রেগন্যান্সির শিকার হতে পারেন এবং এই জটিলতার পরেও পুনরায় স্বাভাবিক ভাবে অন্য সন্তানও জন্ম দিতে পারবেন।
এবার আসা যাক এই অস্বাভাবিকতার বিভিন্ন ধরণের কথায়। সাধারণত দুরকম মোলার
প্রেগন্যান্সি দেখা যায়, কমপ্লিট মোলার প্রেগন্যান্সি
এবং পার্শিয়াল মোলার প্রেগন্যান্সি। নাম শুনেই বোঝা যায় যে প্রথম ক্ষেত্রে
প্লাসেন্টার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে ভ্রূণ সম্পূর্ণ
ভাবে অনুপস্থিত থাকে এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে আংশিক ভাবে ভ্রূণের
জন্ম হলেও তাতে প্রাণের সঞ্চার ঘটে না। অর্থাৎ যে কোনো রকমের মোলার প্রেগন্যান্সিই
হোক না কেন তার ফলশ্রুতিতে গর্ভপাত নিশ্চিত। দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে এই রোগের
নিয়ন্ত্রণ যেহেতু কোনোভাবেই আমাদের হাতে নেই তাই তার জন্য সচেতনতা অবলম্বন করেও
কোনো লাভ হয় না। ধর্ম বর্ণ স্থান কাল নির্বিশেষে যে কোনো মহিলারা এই রোগের শিকার
হতে পারেন, যদিও ১৫ বছরের নিচে এবং ৪২
বছরের বেশি বয়সের মহিলাদের ক্ষেত্রে এই রোগের ঝুঁকি অপেক্ষাকৃত ভাবে বেশী থাকে।
তবে আশার কথা এই যে, মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে
যে সিস্ট বা টিউমর তৈরী হয় তা সাধারণত বিনাইন অথবা নন-ম্যালিগন্যান্ট হয়ে থাকে।
প্রুফ রিডিং-এ
ছোট্ট ভুল এবং জিনের অসমবন্টন
জেনেটিক বা ডিএনএ লেভেলে অস্বাভাবিকতা মূলত মোলার প্রেগন্যান্সির অন্যতম একটি
কারণ। কোনো নারী তার রিপ্রোডাক্টিভ টাইম স্প্যানে অর্থাৎ যে সময় কালে সে সন্তানের
জন্ম দিতে সক্ষম থাকে,সেই সময়ের মধ্যে ডিম্বাশয় বা
ওভারি প্রায় কয়েক লক্ষ বা তারও বেশি ডিম্বাণু উৎপাদন করে। বলাই বাহুল্য, এদের মধ্যে বেশ কিছু ডিম্বাণু সঠিক ভাবে উৎপাদিত হতে পারে না। স্বভাবতই আমাদের
দেহের নিজস্ব প্রতিরোধ ক্ষমতায় এই ত্রুটি পূর্ণ ডিম্বাণুগুলি ভ্রূণ জন্ম দেওয়া থেকে বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু এ তো গেলো স্বাভাবিক অবস্থার
কথা। কিন্তু যদি নারী দেহের এই প্রুফ রিডিং ক্ষমতা কোনোভাবে ব্যাহত হয়? ভুলবশত যদি এমন একটি ত্রুটিযুক্ত ডিম্বাণু এর সাথে মিলন ঘটে একটি সুস্থ
স্বাভাবিক শুক্রাণুর অথবা এমনই এক বা একাধিক শুক্রাণুর? সেই সব ক্ষেত্রেই জন্ম নেয় মোলার প্রেগন্যান্সি।
স্বাভাবিক অবস্থায় যখন একটি ভ্রূণের জন্ম হয় তখন তার মধ্যে মায়ের ডিম্বাণু থেকে ২৩টা এবং বাবার শুক্রাণু থেকে ২৩টা ক্রোমোজোমের সম্মেলনে ৪৬টা ক্রোমোজোমের আবির্ভাব ঘটে। কিন্তু যদি কোনোকারণে এমন একটি ত্রুটিযুক্ত ডিম্বাণুর সাথে শুক্রাণুর মিলন ঘটে যার মধ্যে কোনো ক্রোমোজোমই উপস্থিত নেই তাহলে সেক্ষেত্রে এম্ব্রায়োতে বাবার থেকে আসা ২৩টা ক্রোমোজোমই কেবল উপস্থিত থাকবে। বলাই বাহুল্য এ ক্ষত্রে কোনো জীবিত ভ্রূণ জন্ম নেবে না এবং কমপ্লিট মোলার প্রেগন্যান্সি সৃষ্টি হবে। যদি ডিম্বাণুটি সুস্থ থাকে কিন্তু তা অপর একটি অসমম্পূর্ণ শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয় সেক্ষেত্রেও এই একই পরিস্থিতির জন্ম হবে। অন্যদিকে অনেকসময় একটি ডিম্বাণুর সাথেই দুটি স্পার্ম বা শুক্রাণুর একইসাথে মিলন ঘটে। ফলে যে ভ্রূণটির জন্ম হয় তার মধ্যে মায়ের দিক থেকে ২৩টি ক্রোমোজোম তো আসেই তার সাথে সাথে বাবার দিক থেকে ২সেট অর্থাৎ ৪৬টি ক্রোমোজোম চলে আসে। সুতরাং ৬৯টি ক্রোমোজোম নিয়ে তৈরী হয় নতুন ভ্রূণটি যা স্বাভাবিকভাবেই বেঁচে থাকতে পারে না। এই হলো পার্শিয়াল মোলার প্রেগন্যান্সির গল্প যেখানে ভ্রূণ আংশিক ভাবে জন্ম নিলেও তার বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব হয় না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে টুইন প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে একটি স্বাভাবিক সন্তান এবং তার সাথে মোলার প্রেগন্যান্সির সহাবস্থানের অতি বিরল কিছু ঘটনাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মায়ের জীবনের ঝুঁকি এবং অন্যান্য শারীরবৃত্তীয় জটিলতা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রায় অনেক গুন বেশি। এমআরআই এবং আলট্রা সাউন্ড টেকনোলজির মতো বিভিন্ন প্রযুক্তির সাহায্যে গর্ভাবস্থার ১৪ সপ্তাহের মধ্যে মোলার প্রেগন্যান্সি এবং তার সাথে অন্য কোনো জীবিত ভ্রূণের সহাবস্থান আছে কি না তা সহজেই নির্ধারণ করা সম্ভব।
আগেই বলেছি যে মোলার প্রেগন্যান্সির নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকে না। তবে বহুক্ষেত্রে কিছু কিছু রিস্ক ফ্যাক্টরের সাথে এই জটিলতার কিছুটা হলেও সম্পর্ক আছে বলে অনুমান করা হয়।
বয়স: মোলার
প্রেগন্যান্সি যে কোনো বয়সের নারীদেরকে সমান ভাবে আক্রমণ করলেও, ১৫ বছরের নিচে এবং ৪০/৪২ বছরের বেশি বয়স্ক মহিলার ক্ষেত্রে এই অবস্থা সৃষ্টি
হওয়ার ঝুকিঁ থাকে অনেকটাই বেশি। এছাড়া বিভিন্ন কোরিলেশন স্টাডিতে দেখা গেছে যে
এশিয়া মহাদেশে বসবাসকারী মহিলাদের মোলার প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনা বেশি থাকে।
রোগের ইতিহাস: আগে একবার মোলার প্রেগন্যান্সির মতো অবস্থা সৃষ্টি হলে দ্বিতীয়বার গর্ভধারণের
সময় এই জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবে এ কথাও সঠিক যে মোলার
প্রেগন্যান্সির পরে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ভাবে গর্ভধারণ করা এবং সুস্থ সন্তানের জন্ম
দেওয়াও সম্ভব।
উপসর্গের বৈচিত্র্য
প্রাথমিক ভাবে মোলার প্রেগন্যান্সির সাথে স্বাভাবিক প্রেগন্যান্সির কিন্তু আপাত কোনো পার্থক্য থাকে না। কিন্তু ক্রমে বিভিন্ন উপসর্গ প্রকট হতে শুরু করলে চিকিৎসকেরা নানান পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ নিশ্চিত করেন।
১. এই রোগের প্রধান উপসর্গ হিসাবে প্রথম তিন মাস (ট্রাইমেস্টার) অর্থাৎ ১৩ সপ্তাহ যথেষ্ট ব্লিডিং হয়ে থাকে এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রক্তের বর্ণ হয় গাঢ় লাল বা কালচে বাদামি। এই উপসর্গটি আরো তীব্র হয় কমপ্লিট মোলার প্রেগন্যান্সি এর ক্ষেত্রে। অনেকসময় মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে যে সিস্ট (grape like cysts) তৈরী হয় তা ব্লাড ক্লটের মাধ্যমে দেহ থেকে নির্গত হয়ে যায়।
২. গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা এইচসিজি (হিউমান কোরিওনিক গোনাডোট্রপিন) নামে একটি হরমোন নির্গত করে। মূলত এই কারণেই গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব এবং বমি করার মতো উপসর্গ গুলি প্রকাশ পায়। মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে প্লাসেন্টার অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে এই হরমোনের মাত্রাতিরিক্ত নিঃসরণ এই উপসর্গগুলোকেই কয়েক গুন বাড়িয়ে দেয়।
৩. মোলার প্রেগন্যান্সির ক্ষেত্রে প্লাসেন্টাল টিস্যুর বৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় এতটাই বেশি এবং দ্রুত গতিতে হয় যে পেটের অর্থাৎ পেলভিক রিজিয়নের আকার এবং আয়তন দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারেই অনেকখানি বেড়ে যায়। ফলে গর্ভাবস্থার শুরু থেকেই পেলভিক রিজিওনে অসম্ভব চাপ পরে এবং ব্যথার উদ্রেক ঘটে।
এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, এনিমিয়া, হাইপোথাইরোয়েডিজম, ওভারিয়ান সিস্টের মতো বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে মোলার প্রেগন্যান্সির কারণে।
চিকিৎসা
- পেলভিস আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা মোলার প্রেগন্যান্সি সম্পর্কে ধারণা করেন। এর পরেও নিশ্চিত হওয়ার জন্য অন্যান্য স্ক্যান যেমন এমআরআই, সিটি স্ক্যান ইত্যাদির সাহায্য নেওয়া হয়। এছাড়া রক্তে এইচসিজি হরমোনের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতিও মোলার প্রেগন্যান্সির সম্ভাবনাকেই নির্দেশ করে। তবে সব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রক্তে এই হরমোনের মাত্রা দেখে এই রোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।
- বেশির ভাগ সময়ই মোলার প্রেগন্যান্সিতে মেডিক্যাল ভ্যাকিউম পদ্ধতিতে ক্ষতিকারক টিস্যুকে সার্জারির মাধ্যমে শরীর থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে জরায়ুর মুখ প্রসারিত করে অপারেশন করা হয় বলে একে dilation & curettage পদ্ধতি বলা হয়ে থাকে।
- মোলার প্রেগন্যান্সি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বিনাইন হলেও তা ম্যালিগনেন্সিতে রূপান্তরিত হওয়ার ১০০ শতাংশ ক্ষমতা রাখে। আর সেই কারণেই যদি সার্জারির পরেও রক্তে এইচসিজি হরমোনের মাত্রা না কমে তাহলে কেমোথেরাপি এবং রেডিয়েশনের সাহায্য নেওয়া হয়। এছাড়া যদি ভবিষ্যতে পুনরায় গর্ভধারণ করার ইচ্ছে না থাকে তাহলে অতিরিক্ত সচেতনতা বশত চিকিৎসকেরা হিস্টেরেক্টমি বা সম্পূর্ণ জরায়ু অপেরাশনের মাধ্যমে বাদ দিয়ে দেন।
শেষের কথা
সবশেষে একটাই কথা বলা যায় যে মোলার প্রেগন্যান্সি খুব সাধারণ রোগ না হলেও, সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য একটি জটিলতা যা ভবিষ্যতে পরিবার পরিকল্পনার ক্ষেত্রেও কোনোরকম বাধার সৃষ্টি করে না। এই রোগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র এটুকুই নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন যে সার্জারির পর ক্ষতিকারক ভ্রুন এবং প্লাসেন্টার সামান্যতমও অবশিষ্ট নেই। বিরল থেকে বিরলতম ক্ষেত্রে এই সিস্ট ক্যান্সারাস হতে পারে। তাই অহেতুক দুশ্চিন্তা না করে গর্ভধারণের প্রথম দিন থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত এবং প্রতিটি উপসর্গকে মনোযোগ সহকারে বিবেচনা করা প্রয়োজনীয়।
কলমে - ডঃ শ্রীময়ী চক্রবর্তী
তথ্যসূত্রঃ
www.healthline.com/health
amp-nine-com-au.cdn.ampproject.org
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন