অপেক্ষায় থাকা শব্দেরা,
অপেক্ষা শেষে ভাঙতে থাকে নীরবে
তারপর –
তারপর, সেই শব্দতরঙ্গের
খেলায়
হারতে থাকে আত্মদর্শন,
সৃষ্টি হয় এক অগ্নি-বলয়ের,
যেখানে শুদ্ধ হয়
এলোমেলো হয়ে পড়া শব্দগুলো।
ঊর্ণাজালে আটকে পড়া পতঙ্গের মতো,
শব্দগুলো প্রতিবন্ধকতা কাটাতে,
একটু একটু করে গ্রাস করে
কবির হৃদয় ও মস্তিষ্কের
অনুভূতিকে।
সৃষ্টি হয় –
সৃষ্টি হয় কবির কলমে
শূণ্যতার মাঝে এক নতুন নব্যতা,
যার কলধ্বনি শোনা যাবে
আসমুদ্র হিমাচল।
যা হয়তো অনেক পাঠকের হৃদয়কে দুলিয়ে নিয়ে
ছুটে চলবে অজানা
কোনও আনন্দে,
আর সৃষ্টিকার –
ফ্লাশ লাইটের ঝলকানি আর
প্রচুর করতালির মাঝেও নির্বিকার,
হয়তো নিজেকে নতুন করে
চিনতে চেষ্টা করবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন