গোলাপকাঁটা - তাপস রায়



।। ১।। 

- “বুঝলেন, ওই সাড়ে আট লাখই পড়ল। হ্যাঁ, একদম নিজির।”

- “আপনাকে আগে তেমন একটা দেখিনি তো এ-রুটে!”

- “দ্যাখপেন কি, এই তো গত সোমবার থে চালাতিছি। সুন্দরবন, বারাসতের পারমিটের গাড়ি এই রুটে সেই কবের থে রাজ করতিছিল ! নতুন কমিটি আসে তারে ভাঙে দিল বলেই না ঢুকতি পারিছি।”

- “সুন্দরবন থেকে গাড়ি এসে এখানে চলে!”

- “গাড়ি লয়। হোথাকার পারমিট নে রুবি - গড়িয়াহাট রুটে চালাত।”

বেশ মেজাজে আছে যুবক ছেলেটি। মিষ্টি দেখতে।বালিগঞ্জ রেলবাজার থেকে বাজার নিয়ে পোস্ট অফিস মোড় থেকে অটোয় উঠে ত্রিবর্ণ যেতে হয়। স্নেহাংশুর পছন্দ ড্রাইভারের পাশের সিট। বারবার ভারি ব্যাগ নিয়ে ওঠানামার হ্যাপা এড়াতে এই বাছাই। আর অটোতে উঠে অভ্যাস মতো দশ টাকা ভাড়া ধরিয়ে দিয়ে গল্প করা তার নেশা।

সে ছেলে তালবাগানের সিগ্‌নালে থেমে এবার বলল, “অটোর দাম তো দুইলাখ, আর বাকি সাড়ে ছয় লাখ তো গেল পারমিট বার করতি।”

- “এত! এত লাগে!”

স্নেহাংশুই ন্যাকামির মাত্রাটা বাড়িয়ে দেয়। খানিক অন্য, মানে মজার কথা শোনার আশায় হামেশাই বোকার ভান করে স্নেহাংশু। সে বলে ওঠে, “কিন্তু আমাদের ফ্ল্যাটে গুপ্তবাবু তো নতুন চার চাকা কিনলেন। সব কাগজপত্র নিয়ে তা ওই সাড়ে তিন লাখ-এ।”

- “কি যে কন দাদা, নিজির গাড়ি আর ব্যবসার গাড়ি সমান হল!”

- “ও! তা হয় না বুঝি!”

- “নাহ্‌! আপনাগের ফ্ল্যাটের গাড়ি হলোগে শখের। টবের চাষের মতন। আর আমাগে মাঠে হাল-গরু নিয়ে নামে পড়তি হয়। ফসল ফলাতি হয়, বেচতি হয়। নালে প্যাট চলবে নানে।”

ত্রিবর্ণ এসে পড়ায় নেমে পড়তে হল। কিন্তু স্নেহাংশু দুই হাতে বাজারের থলি নিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে অটোর চলে যাওয়া লক্ষ্য করছে। সে রাস্তা ক্রস করতে পারছে না। তার মাথার ভেতর কেবলি ঝমঝম করে বাজছে ছেলেটির কথা, "আমাগে হাল-গরু নিয়ে মাঠে নামে পড়তি হয়। নালে প্যাট চলবে নানে।"

স্নেহাংশুর অনেকদিনের ইচ্ছে একটু চাষের জমি কেনে। সস্তায় নিজের একটুকু মাটি হবে। তারপর সেখানে চাষ করবে সিজনের ফসল। কখনও ঝিঙে ফলাবে, কখনও পটল। শীতের সময় আলু আর পেঁয়াজ। রুইদাস দেখা হলেই তাগাদা দিচ্ছিল। স্নেহাংশু অটোয় যেতে যেতে কবে একদিন মুখ ফুটে বলে ফেলেছিল, চাষের জমি কিনবে।

- “এসে একদিন দ্যাকপেন তো! দালালেরা হই হই করে ঘুরে মরতিছে। জমি আজ আছে, কাল নাই। ঝপ্‌ করে একটিবার ঘুরি যান তো! আর খানিক মাল ঢেলে বুক করি রাখেন।”

স্নেহাংশু ভীতু মানুষ। দূরে সুভাষগ্রামে যাতায়াত করাও তো একটা ধকল। খানিক চাষের জমি হয়ত কিনে ফেলা যায়। কিন্তু যা দিনকাল, তার কাগজপত্র করতে করতেই তো দম ফুরিয়ে যাবে! তারপর কি আর চাষের জন্য মনে তাগদ থাকবে! সে ঠিক করতে পারে না। কেবলই চান ঘরে ঢুকে গান করে, “এমন মানবজমিন রইল পতিত,/ আবাদ করলে ফলত সোনা।”

গিন্নি অফিসের ভাত বেড়ে টেবিলে সাজাতে সাজাতে বলে, “কি দিয়ে কি করে সরকারি চাকরিটা পেয়ে গেছিলে তাই রক্ষে! অফিসে গিয়ে তো সই মারলেই সারাদিনের মতো হয়ে গেল। আর এদিকে সংসার সামলাতে আমাকে গাধার মতো খাটতে হয়। ওই চাষবাসের ভূত মাথা থেকে বের করো তো! যা আলসে, ধনেপাতা ফলাতেও পারবে না!”

কথাটা যে মিথ্যে বলেনি, তা জানে। কিন্তু অফিসের সমর পাল, যে সারাদিন চেয়ারে বসে ঝিমোত, সেও বছরখানেক হলো কেমন চনমন করে উঠেছে। সে নাকি বাংলায় নতুন শক্তিধর দলের হয়ে কাজ করছে। সে বলে রিটায়ারমেন্টের পর চুটিয়ে রাজনীতি করবে। হ্যাঁ তা-ও তো একটা করা। স্নেহাংশুর হাতে তো কিছুই নেই। যেদিন চাকরি যাবে পুরো বেকার। বেকার মানুষকে কে কোথায় পাত্তা দিয়েছে! ঘরে বাইরে সে তখন একজন বাতিল মানুষ।

স্নেহাংশু ভাবল, আচ্ছা রেডিবিল্ট ফ্ল্যাট যেমন সে কিনেছে, তেমন কি রেডিবিল্ট ক্ষেতি-জমি কেনা যায় না!। মানে এক ক্ষেত ঝিঙে সহ একটা জমি কেনা গেল। মাঠে ফসলের গায়ে গায়ে ঘুরে আনন্দ নেয়া যেমন যাবে, তেমনি চটপট সে ফসল বিক্রিও হবে। আমবাগান কেনার মতো।


।।২।।


“যার যেথা মজে মন/ কিবা হাঁড়ি কিবা ডোম!”

সিঙ্গুরের পঙ্কজদা শ্লোক ফেলে মিটিমিটি হাসে। তারপর কাঁধে হাত রেখে বলে, “পারবে তো সামলাতে? শহরের লোক। তোলাজল, তোলাউনুনের অভ্যেস তোমাদের।” দাঁতে বিড়ি চেপে একটা বিড়ি হাফহাতা সাদা জামার পকেট থেকে বের করে দেয় স্নেহাংশুকে।

পঙ্কজ চক্রবর্তীর সমস্ত শরীরেই একটা শুভ্রতার ছোঁয়া। সাদা ধবধবে কদমছাট মাথা। গায়ে সাদা জামা আর সবচেয়ে সাদা তার হাসি। শিশুদের মতো সে হাসিতে দুনিয়ার কোনো গ্লানি যেন লাগেনি।

জমির মালিক নিধুবাবুর ভালো লেগেছে স্নেহাংশুকে। সে সমর্থন দেয়। বলে, “পারবে না কেন, পারবে। ভালোলাগা থাকলে মানুষ সব কাজ পারে।”

চায়ের দোকানে বেশ ভিড়। পঙ্কজদা এমনি এমনি এখানে টেনে আনেনি। এই রাসুর চায়ের দোকান হলোগে এ-তল্লাটের সাধনক্ষেত্র। এখানে বসেই সব কথা চালাচালি হয়। চাষের কথা, রাজনীতির কথা। জমিজিরেতের কথা।




হাতে চায়ের গ্লাস ধরিয়ে রাসু বলল, “তা মহাশয়ের এখানে জমি কেনার কথা মনে এলো কেন! সে রামও কিন্তুক নাই আর অযোধ্যাও নাই।”

- “না না, জমি কিনবে না। ও একটু তাজা ফসলের ঘ্রাণ নিতে, মাটির ঘ্রাণ নিতে আর খানিক মনের কথা কইতে হেথা এয়েচে।”

পঙ্কজ চক্রবর্তী জানে রাসু হলোগে সাত সেয়ানার এক সেয়ানা। সব তালে থাকে। এর কথা ওকে দিয়ে খানিক হিরো হয়। মাঝে মাঝে দালালির জন্য নগদও জোটে। পঙ্কজ এই বাঘের খপ্পর থেকে বাঁচানোর জন্য ঝপ্‌ করে নিজেই তাই কথা টেনে নিয়েছে।

তবে রাসুও পেটের কথা মোচর মেরে বার করতে ওস্তাদ। সে মাঝে মধ্যেই ছ’ফিটের কালো শরীর টান করে, বায়ান্ন ইঞ্চি সিনার উপর চায়ের জলে ভেজা হাতের ইয়া পাঞ্জা ঠুকে বলে, “এই বেড়াবেড়ির মোড়ের দোকান তো আজকের লয়, তিন পুরুষের। বাঘ চলত যখন, তখন থিক্যে। সিঙ্গুরের ডাকাত কালিবাড়িতে নরবলি দিয়ে রঘু ডাকাতের দল এপথ দিয়েই যেত। এই দোকানে চা খেত।”

রাসু এরকম গল্পের গরু গাছে চরিয়ে লোকজনকে বশ করে। আর তারা গল্পের তালে এক গ্লাসের জায়গায় দু’গ্লাস চা খায়। তো সেই রাসু চায়ের গ্লাসে চিনি গোলার ঠনঠন আওয়াজ তুলে বলল, “হ্যাঁ, তা ফিস্টি করতি এখানে অনেকে আসে। এখানে তো একশ ক্যারট শুদ্ধ হাওয়া। বুক ভরে ঘন্টা খানেক নিলে বছরভর তা শহরে গিয়ে খচ্চা হবে না। কী বলো হে পঙ্কজ ভাই!”


।।৩।।

পঙ্কজ চক্রবর্তী বুঝতে পারে গুঁতোচ্ছে। ওর মুখে দুটো খড়ের আঁটি ধরতে হবে। সে বলে, “রাসুদা, এবার বেশ ক’টা দল শীতে এখানে পিকনিক করতে আসতে চায় গো। তোমারে কিন্তু ওদের খাওয়ান-দাওয়ানের পাটটা চুকোতে হবে। ওরা আইটেম বলে দেবে। তুমি তোমার মতো তারপর চালাবে।”

পঙ্কজ চক্রবর্তী এবার বাঁশের বেঞ্চ থেকে উঠে পড়ল। “চলো হে নিধুবাবু, তোমার আলুগাছের ক্ষেতি একবার ভায়াকে দেখিয়ে নিয়ে যাই।”

নিধুরাম আদক হাত ধরে বড় রাস্তার উপর থেকে নিজের ক্ষেতের ভেতর নামিয়ে আনল স্নেহাংশুকে। স্নেহাংশু নিধুবাবুর হাত ছাড়িয়ে একেবারে সামনের আলুর পিলির উপরে থাকা গাছটিকে হাঁটুমুড়ে বসে জড়িয়ে ধরল। তার গায়ের চাদর খসে পড়েছে মাটিতে। সে বিড়বিড় করে, “এই তো বাবা, আমি এসেছি। আয় আমার বুকের ভেতর আয়।”

নিধুরাম কেন পঙ্কজ চক্রবর্তীও বমকে গেছে। এরকম পাগলামি সে নিজে করে। নিজেদের আমের গাছ জড়িয়ে গ্রীষ্মকালে কাঁদে। সে কান্না গাছের কাণ্ড দিয়ে ডালপালা বেয়ে পাতা আর বোউলে চলে যায়। গাছ প্রচুর আম দেয়। প্রত্যেকবার। কিন্তু এই স্নেহাংশু একটু নরম-সরম মানুষ হলেও এমন আলুগাছ জড়িয়ে ধরবে, পঙ্কজ চক্রবর্তী ভাবেনি।

খুব ভালো লাগছে পঙ্কজের। গাছের আত্মার সাথে নিজের আত্মা একবার জুড়ে দিতে পারলেই আর যে পেছন ফিরে তাকাতে হবে না। গাছ ভরিয়ে দেবে। একগাছ কানাকানি করে অন্যগাছকে বলবে, তারপর সে অন্যকে। গোটা মাঠ জানাজানি হয়ে যাবে। এই মাঠ স্নেহাংশুকে সোনায় মুড়ে দেবে।

তবে নিধুরাম তো এমনি এমনি এক ক্ষেত আলুগাছ বেচে দিচ্ছে না! সে দেখেছে ধরিত্রিমাতার বুকের ভেতরে কত ঘা এখনও শুকোয়নি। তিন চার সালের আগে জমি তেমন করে সরেস হবে না। সিঙ্গুরের মাটি সিঙ্গুরের মাটি হবে না। এখন শুধু চাষ দিয়ে যেতে হবে। এদ্দিন তো কিচ্ছুটি করতে পারেনি। কোদাল মারলেই ঠন্‌ শব্দ। গরু চালালে গরু চলতে চায় না। যতই ল্যাজ মোচড়াও সে শ্বাস ফেলতে ফেলতে এগোতে পারে না। যেন যম পেছন দিকে টান দিচ্ছে। শেষে এবছর পে-লোডার ভাড়া করে এনে জমির ভেতরে থেকে টেনে টেনে তুলে ফেলেছে কংক্রিট। তাই কিছুটাতে চাষ হয়েছে। আট বিঘের ভেতর দুই বিঘে।

- “এই রে, ওই যে ইতরের পো ইতর আসতিছে ইদিকপানে। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যে নামে।”

নিধু আদকের কথা শেষ হতে না হতেই লজ্ঝরে স্কুটার ঘ্যাঁচ করে শব্দ তুলে গায়ের কাছে এসে ভিড়ল। সুকুমার গিরি হলোগে ওই চন্দনপুর আলুব্যাবসায়ী সমিতির খোচর। তার কাজই হল, কার জমিতে কেমন আলুগাছ হয়েছে, তা মেপে মহাদেব সামন্তকে গিয়ে খবর করা। মহাদেব সমিতির সেক্রেটারি। তার হেফাজতে আলু তুলে দিতে হয়। সে যা দর হাঁকবে, তাতেই মাল ঢালতে হবে কাটায়। তারপর প্লাস্টিকের জালি বস্তায় তা যাবে ‘অন্নপূর্ণা ঠান্ডা ঘর’-এ।

- “কি গো নিধুকাকা, এবার তো দেখি আলুর চাষ দেছ। তা কি ঠাওরাও?কেমন হবেনে?”

নিধু আদক কিছু বলে না। সুকুমার গুড়াকুমাখা রাঙাদাঁত নতুন মূলোর মতো বের করে বলতে থাকে, “ তা আর তো মাত্র কতক দিন। গাছ দু’মাসের হয়ে গেল। আর আধা মাসের ভেতর তুলে ফেলতে পারবা।”

- “ভাই সুকুমার, এখন পথ ছাড়ো। আমাদের ট্রেন ধরাতে হবে এই বাবুকে।”

সুকুমার স্কুটারে ঘড়ঘড় শব্দ তুলে খাসেরভেড়ির দিকে চলে গেলে নিধুরাম আদক মুখ খোলে, “ওটা একেবারে জাত কেউটে। খবর কেনে বেচে। এখন খবর নিচ্ছে কতজন চাষী আলুর চাষ করছে এই বাজেমেলিয়া, বেড়াবেড়ি, গোপালনগর, জয়মোল্লা, খাসেরভেড়ি, সিংহেরভেড়িতে। ওর সামনে মুখ খোলাই বিপদের।”


।।৪।।

বিকেলের ম্লান আলো মুখের উপর নিয়ে স্নেহাংশু রাস্তার দু’পাশে চোখ মেলে যেতে যেতে দেখল, এক একটা মাঠ যেন পোড়োবাড়ির মতো গিলে ফেলতে আসছে। ঝোপঝাড় মাথা তুলেছে। দু’একটা মাঠে আবার আলুর সবুজ আস্ফালন। জলের পিলেতে সেচের জল চলছে কলকল করে। খুব কলকল করছিল দেবারতি। এমনিতে বাড়ির বাইরে কতদিন যে বের হয়নি! স্নেহাংশুর মনেও ফসলের আনন্দ। আলুর ক্ষেতের সামনে দু’খানা মাদুর পেতে রাখা আছে। পিকনিক বললে পিকনিক, তা নাহ’লে চাষের মাঠে চাষী-বঊ-য়ের হাতে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া। দেবারতি ঘর থেকে লুচি-মাংস নিয়ে এসেছে। স্নেহাংশু মাঠের ভেতর নেমে যায়। তারপর সেই প্রথম দিনের মতো আলুগাছের গোড়ায় মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করে। উবু হয়ে বসে। গাছ বুকে জড়িয়ে কাঁদতে থাকে।

পঙ্কজ চক্রবর্তী চোখে চোখে রেখেছিল। স্নেহাংশু আলুগাছ বুকে জড়িয়ে বসে আছে অনেকক্ষণ। সে মাঠের ভেতর নেমে স্নেহাংশুকে ধরে রাস্তার উপরে নিয়ে আসে। বলে, “জানি তো খুব কষ্ট হবে তোমার। এই গাছ উপড়ে ফেলে যে আলু তোলা হবে, তা তোমার সহ্য হবে না। তোমার বুকের ভেতরে যে এদের বাস। চোখের সামনে তুমি সহ্য করতে পারবে না এই মারণযজ্ঞ। আমি নিধুকে বলেছি তোমার সামনে যেন আলু না তোলে।”

আমের ব্যাপারীরা যেমন কিনে রাখা বাগান ভাঙে, তেমন আলু ভাঙার জন্য লোকজন আসবে আজ। মন অন্য হয়ে আছে। স্নেহাংশু বাড়ির ব্যালকণিতে টবের গোলাপ গাছে হাত বুলোতে বুলোতে কাঁটার খোঁচায় উঃ করে চমকে উঠল। কত কত প্রাণ আজ উৎখাত হচ্ছে দূরে,সিঙ্গুরে। তার ব্যথা হাওয়ায় ভেসে শহরেও যেন চলে এসেছে। গোলাপকাঁটার খোঁচায় আঙুলে এক ফোঁটা রক্ত বেরিয়েছে। স্নেহাংশু বিড়বিড় করল, “আচ্ছা বেরোক”।







Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন