শুষ্ক নদীতে যে বার এসেছিল বান
সে সময় চেয়েছিলাম তোমার সঙ্গ
কিন্তু তুমি ছিলে নদীর ওপারে
ভাঙা ব্রিজের নীচে
বাঁচাতে ব্যস্ত নিজের মাচান।
ম্লান মুখে তিরতির করে কাঁপছে ওষ্ঠযুগল,
আমরাও কী সেদিন ভেঙেছিলাম
সংসারের আগল?
পুজোর মধ্যে
তপন মাইতি
দিচ্ছো মায়ের পায়ে রামনবমীর অঞ্জলির ফুল
মুগ্ধতায় গাঢ় মনের নদী ছাপালো দুকূল।
দেখা হল পুজোর প্যাণ্ডল মেলায় ঘুরছ একা
হৃদয়ে খুশি পুজোর গান গোলাপী ফুল দেখা।
শিউলি ফুল হালকা শাড়ি মানিয়েছে ভালো
পাক্কা হলুদ প্রথম আভায় ছড়িয়েছ আলো।
এই আছো এই যে নেই মায়াবী হরিণের মতো
সমভূমিতে মরীচিকা দেখছি যে কত....
খামখেয়ালি আবহাওয়া তোমার মত যেন
এই যে তুমি হাসছ মিলিয়ে যাচ্ছোই বা কেন?
যেই না চোখে চোখ রেখেছি নীলাঞ্জন পরস্পর
বুকের ভেতর উঠল বুঝি তুমুল সুনামী ঝড়।
ভদ্র মেয়ের মত হলে ফাঁকায় দণ্ডায়মান
নিজেকে মনে হল নেই কোন ব্যাক্তিত্ববান।
হৃদয়ের অন্তরা যেই না বাজল নির্জনে অন্তর
ভীষণ চাইল তোমাকে মন হ্যাঁ বললে ছুঁমন্তর।
মনোবাঞ্ছা উদয় হল গোলাপ ফুল অপর্ণে
বেকার জীবন ভেতর দগ্ধায় উৎসব কী দর্পণে?ব্যর্থতার আত্মশ্লাঘায় হলাম ভীষণ লজ্জিত
ইষৎ ম্লান হেসে এগিয়ে এলে সুসজ্জিত।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন