ঘন সরের মত নিশি রাত
এই চাঁদ জোছনার নির্জন ক্ষরণ...স্তব্ধতা ,
প্রতিটি শিশির বিন্দু কতটা ম্রিয়মাণ
গাছ জানে পাহাড়ের নিদ্রাতুর রাত জাগা ।
নিশি কেটে গেলে আলোর আতসে
মেঘে মেঘে জমাট বাঁধে পালকের ডানা ,
দূর থেকে দেখি আকা বাঁকা পথে
সবুজের সৌষ্ঠব --
উচু..আরো উচু ...
যেখানে বরফ পেতেছে সফেন চাদর
সাদা থানের মত বিস্তীর্ণ উঠান ,
পাহাড়ের প্রতিটি চূড়ায় তুষারের শুভ্রতা
যেনো একটি বিশাল সম্পূর্ণ হৃদয়
শুধু জেগে আছে ,
আর সব কিছু ম্লান .....শোকগাথা... ক্লেদ...
শুধু জেগে আছে জীবনের শেষ পাওয়া --
উথলানো প্রাণ কানায় কানায় ।
যে ভৈরব শিবালয় থেকে তুষারের মদিরা
বয়ে আনে , হয়ে উঠে নেশাতুর --
প্রমথ বিভঙ্গে পাহাড়ি ঝোরা নেমে আসে
নিমগ্ন নিম্নতার ঢালে , অবশেষে নদী হয় ।
যেমন কোনো এক বাসব পূর্ণিমা রাতে
পৃথিবীর যামিনী যাপন --
আরণ্যক ভবঘুরে তারাদের সাথে
গ্রাম ছেড়ে চঞ্চল শহরের বুকে
স্রোতে স্রোতে অতীতের সব রঙ ধুয়ে ফেলে ।
সব দেনা পাওয়া শেষ হলে খোলসের ঘুম
নেমে আসে বিটপে পাতায় আর শাখে ,
শুধু দুটি প্রাণ চুপি চুপি অভিসারে
খুঁজে ফেরে নিরালা বসিবার ঠাই
পৃথিবীর এক কোনে --
অপলক....মুখ চেয়ে.... হাতে হাত রেখে
অলীক দিনপাত ... নিশি ভোর .....
যেখানে দ্রাঘিমার অলক্ষ্য রেখায়
সূর্যের আপাত গতি সিঁদুরের অমোঘ ভাসান
ছায়া ফেলে সন্ধ্যার ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন