"আসতে পারি।"
"কে? ওঃ বৌদি। আসুন আসুন। আপনাদের ঘর, কেন আসবেন না। আমি তো পেয়িং
গেস্ট মাত্র।" প্রমিত বিছানায় উঠে বসে।
"তা ঠিক। তবে এখন তো তোমার ঘর।
তাই বলে ঢুকলুম। তুমি বললুম কিছু মনে করো না, ভাই।" রোহিনী এগিয়ে এসে বিছানায় বসে। "তা
কেমন লাগছে! ঘর পছন্দ হয়েছে?"
"খুব। তবে আপনাকে বেশি।"
একটু কেঁপে উঠল যেন রোহিনী। মুখে লাল আভা।
প্রমিত বুঝল তার প্রথম তির নিশানায় লেগেছে। এবার সে খেলবে।
বরের নর্থবেঙ্গল পোস্টিং। মাসে একবার আসেন। বিধবা শাশুড়ি আর একটা কাজের
মেয়েকে নিয়ে রোহিনী বৌদির সংসার। বাড়ির নিচের তলায় পেয়িং গেস্ট রেখেছে।
প্রমিতের মা ছোটবলায় ক্যানসারে ভুগে মারা গেছে। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করতেই তার
জীবন হারেম হয়ে গেল । গ্রাজুয়েট পর্যন্ত দাঁতে দাঁত চেপে পড়েছিল। তারপর একটা
ওষুধ কোম্পানিতে সেলসে চাকরি পেয়ে সে বাড়ি ছেড়েছিল। মাইনে কম, পেয়িং গেস্ট পেমেন্ট করে হাতে
থাকে না বেশি। অথচ এই কলকাতা শহরে একটা ওয়ান রুমের ফ্ল্যাট অন্তত তার চাই।
নিঃসঙ্গ রোহিনীবৌদির চোখের ভাষা সে পড়ে নিয়েছে। এবার শিকার ফাঁদে পড়ার অপেক্ষা।
"তোমার এগ্রিমেন্ট পেপারের
জেরক্স কপি একটা রাখো।"
"ওঃ, হ্যাঁ। দিন "
প্রমিত রোহিনীর হাত স্পর্শ করে। গরম স্পর্শ সদ্য চল্লিশ পার হওয়া রোহিনীকে আকুল
করে । এবার প্রমিত তার খেলা শুরু করে।
"আপনি কী হট আর সেক্সী বৌদি
।"
তির অব্যর্থ নিশানায় লাগল।
খেলা শেষ হয়ে গেছে অনেকক্ষণ। রোহিনী বৌদি শাড়ি সামলে উঠে বসেছে।
"এ মাসের পেমেন্টটা…"
প্রমিত এগিয়ে আসে। হাতের মোবাইল অন করে বলে, "দেখুন তো, এই ভিডিওটা। এরপর পেমেন্ট চাইবেন !"
আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই। সুন্দর সংখ্যা হয়েছে।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন