নৈরাশ্যের তিমিরে অপরিমিত ব্যথার সিঁধ কেটে
একফালি চাঁদ মিটিমিটি হাসে দ্বারে।
বিষাদের দমবন্ধ করা এঁদো শহরে
শশাঙ্কের উদার রশ্মি নেমে আসে নিবিড়তায়।
কলঙ্কিত প্রেম আঁধারের সন্ধানে গুমরে মরছে।
বিরহ ছ্যাঁকায় ফোসকা পড়ে হৃদয়ের পুরু স্তরে,
নিস্তেজ কলমে গুঞ্জন ওঠে না সুখস্বপ্নের।
ভাঙা সাঁকো পেরিয়ে নিঃস্ব বাতাস সঙ্গী করে ওড়ায়
প্রশ্ন-গাছের গোনা-গুনতি ঝরে পড়া পাতাকে।
কিংশুকের রক্তিম পাপড়ি লুটিয়ে অবহেলায়—
ফুল ভালোবাসা কারো ফিরে দেখার অভাব;
ছেঁড়া পাঁপড়ির প্রতি মমত্ববোধ জাগে না কখনো।
তবু হাসে চাঁদ আপন চালে; কখনো সম্মুখে দাঁড়ায়,
কখনো বা ব্যথাতুর মন আগলে লুকায় আড়ালে।
তমসাময় রাতে একটা চাঁদের আশায় সকলে
আকাশ পানে জিজ্ঞাসা ভরা ঝাপসা দৃষ্টিতে তাকায়!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন