বুঝি না যখন নিজের
ভাঙাচোরা টুকরোগুলো
এলোমেলো হয়ে ছিটিয়ে পড়ে
কেন তার কোলে মুখ গুঁজি?
সেই কোমল ঘরসর্বস্ব প্রাণীটার
কোঁচড়ে কি এমন শক্তির অধিষ্ঠান?
তার হাত বোলানোয় ভারাক্রান্ত
বেদনাগুলো
আরাম পায় কিভাবে?
কোন যাদু বলে হেরে যাওয়া ক্লান্ত
শরীরটাকে
গুছিয়ে মাথা তুলে উঠতে পারি?
গভীরতর স্রোতের সামনে বুক চিতিয়ে
ফের দাঁড়ানোর মন হয়?
বুঝি না যখন বিসর্জনের ভিড়ে
জ্যামে আটকা বাস থেকে
ঝগড়ুটি তর্কবাজ মেয়েটার ফোন না
পেয়ে
বাড়ি উথাল পাতাল করে -
কেন তার চিরখুনসুটির পরমশত্রু আমি,
সাইকেল চালিয়েও দুই মাইল নিমেষে পার করি?
রাখির বা ফোঁটার ছেলেখেলার প্রতিজ্ঞা
তখন চোখের কোনে চলকে ওঠে কেন?
কাল্পনিক হায়নার আশঙ্কায়,
সব লজিকের শ্বাসরোধ করে
বুক কেঁপে ওঠে কেন?
বুঝি না যখন কড়া কড়া ব্যালেন্স
শিটের
হিসেবে অনভ্যস্ত বোধহীন বউটা -
কোন্ যাদুবলে মশলার কৌটো থেকে
যত্নে বাঁচিয়ে রাখা কোঁচকানো
নোটগুলো
বের করে তাক লাগিয়ে দেয়,
আমার তিন পুরুষের ব্যবসায়ী মাথা
সঞ্চয়ের ব্যালেন্স শিটে পা হড়কে
অবাক আছাড় খেয়ে মরে কেন?
আবেগ আর লেনদেনের দাঁড়িপাল্লার
ভারি দিকটা ডুকরে কাঁদতে চায় যখন -
মনে খুশির এক পশলা ঢেউ দুলে ওঠে কেন?
বুঝি না যখন অভিমানী একরত্তি সাইজের
মেয়েটা কারণে অকারণে ক্লাসে,
কোচিংয়ে
পায়ে পা লাগিয়ে ডুয়েল লড়তে আসে
সব অসহিষ্ণুতারা ফিকে হয়ে আসে কেন?
তাকে মাথা খুঁড়ে নিজের ন্যায্যতা
বোঝাতে
ব্যাকুল হয়ে উঠি কেন?
প্রতিরূপে প্রতিক্ষণে সে আমায়
কোন আমোঘ শিকড়ে মাটির গভীর অতলে
গেঁথে রেখেছে?
এটাই কি পুরুষের প্রকৃতি দর্শন?
নারীর সাথে নাড়ির টান?
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন