থেমে যাবে নক্ষত্রের রাত;
নিশীথের বর্ণময়তার অভ্যন্তরে
কোনো এক অজ্ঞাত নিশ্চুপ সংলাপে।
ফিকে হবে রক্তাভ গোধূলি,
অসারিত হবে লালাভিত শিমুলের লাল রঙ।
উড়ে যাবে শূন্য আকাশের বুকে
নীড় হারা শত সহস্র বলাকার দল,
দিনের শেষে, হীমের দেশে,
ফিরে যাবে সবাই হয়ে সমবেত।
গাঙ-চিলেরাও বসবে এসে অশ্বথের ডালে,
পড়ন্ত গোধূলির অবসন্নতায় নির্লিপ্ত,
বর্ণময় কোনো এক নীরব নিঝুম সাঁঝে।
নীলাকাশে ভেসে যাবে ছোপহীন সুদৃশ্য কাদম্বিনী।
সমুদ্রের উচ্ছ্বসিত জলরাশি ধোয়াবে তার পা'টি;
সমুজ্জ্বল এ পৃথিবী মুখ ঢাকবে আঁধারে,
নিশাচরের অগোচরেই মৃদুমন্দে বয়ে যাবে
শেষ রাতের বিষন্ন বাতাস।
পূর্বহ্নিক আকাঙ্খায় বুক বেঁধে রবে
চাতকের মতো, চিকন চৌকশতাময় মৃদু ভাবাবেগ।
ক্ষুধার্ত পাষানের পাশে বসে
খেচরেরা পাহারা দেবে,
নীল কালো মানুষগুলোর
অমানবিকতায় ভরা মৃত বিবেকের।
তারা এক মুহূর্তের জন্যও
হয়তো জানবে না কোনো দিন,
না খেতে পাওয়ার কি অসীম যন্ত্রণা
এই ক্ষুধার্ত পৃথিবীর।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন