পরিচালক – ডেভিড মুর, নিমার রাশিদ
শ্রেষ্ঠাংশে – মিশেল কিগান, ডাইনো ফেশার, রিচার্ড আর্মিটেজ, জোয়েনা লামলি, আদিল আখতার, এমেট জে. স্কালান
মনকে শক্ত রেখে প্রতিটা মুহূর্ত কাটাচ্ছে সদ্য স্বামীহারা মায়া। তার সাজানো সংসার নিমেষের মধ্যে ছত্রখান হয়ে গেল। সামান্য এক চুরির ঘটনা থেকে হঠাৎই দুষ্কৃতীদের গুলি লাগলো স্বামীর শরীরে। তারপরেই সব শেষ। ছোট্ট মেয়ে লিলিকে নিয়ে মায়া এখন অকূল পাথারে। ন্যানির কাছে মেয়েকে রেখে কাজে বেরোতে হয় তাকে। মেয়ের ঘরে মায়া ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছে, যাতে শারীরিকভাবে সবসময় উপস্থিত থাকতে না পারলেও লিলি অন্ততপক্ষে তার চোখের সামনেই থাকবে। কিন্তু নিজের এই চোখকেই মায়া একদিন বিশ্বাস করে উঠতে পারে না যখন সে ক্যামেরায় তার মৃত স্বামীকে চাক্ষুষ করে। হ্যাঁ, তার স্বামীই তো! ওইতো তাদের ছোট্ট লিলিকে আদর করছে। কিন্তু তা এখন কীভাবে সম্ভব?
যত দ্রুত পারা যায় বাড়ি ফিরে আসে মায়া। মেয়ের ন্যানিকে ক্যামেরায় রেকর্ড করা ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্যাপারটা সে জানতে চায়। সত্যিই কি তাহলে তার স্বামী বেঁচে আছে! কিন্তু মায়া যে তার মৃতদেহ দেখেছিল! তাহলে? প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আগেই ন্যানি মায়ার চোখে পেপার স্প্রে করে ভিডিও নিয়ে চম্পট দেয়। মায়া আঁচ করে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে এর পেছনে। পুলিশি তদন্তের সমান্তরালে মায়া নিজের গোপন তদন্ত চালিয়ে যেতে থাকে। প্রকাশ পেতে থাকে তার অতীব ধনী শ্বশুরবাড়ির বিভিন্ন অদ্ভুত ঘটনা। একাধিক মানুষের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানতে পারে সে। সর্বোপরি কয়েকমাস আগেই ঘটে যাওয়া মায়ার আপন দিদির রহস্যজনক খুনের সঙ্গে মায়ার স্বামীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যুর আশ্চর্য্য মিল পাওয়া যায়। সত্য উদঘাটনে মরিয়া মায়া নিজের সর্বশক্তি দিয়ে সব সীমা অতিক্রম করে যায়। কিন্তু প্রকৃত সত্য প্রকাশ পায় কি?
এভাবেই পরতে পরতে টান টান উত্তেজনা আর রহস্য দিয়ে মোড়া ব্রিটিশ সিরিজ Fool Me Once। গত ১লা জানুয়ারি ২০২৪-এ নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছিল। ২০১৬ সালে হার্লান কোবেন রচিত Fool Me Once উপন্যাসের অনুসরণে সিরিজটি বানানো। মুখ্য ভূমিকায় মিশেল কীগান। অভিনেতা অভিনেত্রীদের কাজ নিয়ে আলাদা করে কিছু বলার নেই, প্রত্যেকে নিজ নিজ চরিত্রে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন। তবে সিরিজের কাহিনীতে কাকতালীয় ঘটনার বাহুলতা একটু বেশিই চোখে লাগে। এছাড়াও কোনো কোনো সময় সিরিজটিকে অপ্রয়োজনীয় ভাবে বেশি দীর্ঘ এবং গতিহীন বলে মনে হয়। মোটের উপর Fool Me Once-কে খুব খারাপ বলা চলে না। একবার অন্তত দেখে ফেলা যেতেই পারে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন