আমি এখন দাঁড়িয়ে রয়েছি জলপ্রপাতের একদম তীরে। প্রকৃতির অন্তরঙ্গ এবং বহিরঙ্গ দৃশ্য দেখবার আমি উৎফুল্ল। আমি দু-হাত তুলে প্রকৃতি গর্ভে আমি নিজেকে বিলিয়ে দিলাম। আহা!
কী আনন্দ, কী মধুর দৃশ্য!
আমি ভাবুক হয়ে একদৃষ্টে জলপ্রপাতের দিকে চেয়ে রয়েছি। আমি এখন সমতল থেকে প্রায় ৭,৭৫০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে রয়েছি। নীচে গভীর খাদ। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। জলপ্রপাতের কী মধুর শব্দ! কর্ণে বড় আরাম লাগে। প্রকৃতির শৃঙ্খলিত রূপ দেখে আমি মুগ্ধ! কী অপরূপ সৌন্দর্য প্রকৃতির! আচমকা চোখটা গেল নীচের দিকে। বুকটা মৃদু কেঁপে উঠল। হৃদপিণ্ড ধুকপুক করে উঠল। মাথাটা হালকা ঘুরে উঠল। মেঘে ঢাকা দিগন্ত...অর্থাৎ খাদ। আচমকা পা-টা পিছলে গেল, সোজা পড়ে গেলাম ৭, ৭৫০ ফুট গভীর খাদে। অভিকর্ষের টানে আমি খাদের গভীরে জবানবন্দি। সারা শরীরে টুকরো টুকরো ক্ষত।
আগামীতে এই পৃথিবীতে সমস্ত কিছুই থাকবে। এই
জলপ্রপাত, এত সুন্দর প্রকৃতির
শৃঙ্খলিত রূপ। কিন্তু আমি হয়ত আগামীকাল থেকে আর পৃথিবীতে থাকব না...।
বেশ ভালো লাগল। প্রকৃতির মোহময়ী এমন রূপের মাঝে এমন কত মানুষ হারিয়ে যায় তার খবর নিয়ে কে আর মাথা ঘামাই!
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন