চন্দন সেন একজন বড়ো মাপের অভিনেতা, কিন্তু তাঁর অভিনয় এই ছবিতে সব মাপকাঠিই ছাড়িয়ে গেছে। বোধের একটা পর্যায় না থাকলে যেন উপলব্ধি করা যাবে না এই মহাকাব্যিক ছবি। এ যেন এক জীবন্ত জীবনানন্দ। অদ্ভুত এক অনুভূতি এই ছবি। এই ছবির বিস্তৃতি বহুদূর, যা মনের মধ্যে রয়ে যাবে চিরস্থায়ী হয়ে। সমাজের এক অনবলোকিত বাস্তবকে ফুটিয়ে তুলেছেন লেখক ও পরিচালক অভিনন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রথম ছবির মাধ্যমে। যা দেখতে বা মেনে নিতে তথাকথিত সংস্কৃতিবান ও প্রগতিশীল সমাজের অসুবিধে হবে। শারীরিক চাহিদা, মানসিক চাহিদা, ভালোবাসা, কল্পনা, যৌনতা ও সাহচর্য্যর মতো অসীম ও অমেয় বিষয়গুলিকে একটা ছকে ফেলে দিয়ে সমাজ বিচার করে। এই বিচার অতিক্রম করেছেন মানিকবাবু তাঁর মেঘের হাত ধরে।
চলচ্চিত্রগ্রহণ অনবদ্য এই ছবিতে। অনুপ সিংকে কুর্নিশ তাঁর এই অসামান্য কাজের জন্য।চলচ্চিত্রের শুভজিৎ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গীত পরিচালনা যোগ্য সঙ্গত করেছে।
এই ছবি ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর এস্তোনিয়ায়, ২০২২ সালের ৮ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, ১৩ আগস্ট যুক্তরাজ্যে, ২৩ আগস্ট হংকং সহ বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়। ২০২৪ সালের ১২ই জুলাই ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চন্দন সেন রাশিয়ায় প্যাসিফিক মেরিডিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন