দুর্গাপুজোর
সময় তো ঘরে বাইরে খাওয়াদাওয়া লেগেই থাকে। নিরামিষ আমিষ সবরকমেই রান্নার বাহার।
পোলাও, লুচি, আলুরদম, পনির, মাছ, চিকেন, মাটন, বিরিয়ানি, পায়েস, চাটনি
— কী নেই সেখানে! আমিষ রান্নার সাথে তাই দরকার নিরামিষ
রান্নাও।
বাঙালি
মায়েদের তো ষষ্ঠী এবং অষ্টমী নিরামিষ দিন। তাঁরাই বা পুজো-স্পেশাল খাবার থেকে বাদ
যাবেন কেন! হোক না নিরামিষ, স্বাদ কিন্তু তোফা। লুচি বা পোলাও এর সঙ্গে
চমৎকার মানানসই হয়ে যাবে পনির রেজালা। চাইলে অন্যান্য দিনে পেঁয়াজ রসুন সহযোগেও
বানিয়ে নেওয়া
যেতে পারে। এই রান্নায় সামান্য পরিমাণে মিঠা আতর এবং কেওড়া জল যোগ
করা হয়ে থাকে। ঘরে না থাকলে বা পছন্দ না হলে এমনিও বানানো যায়, স্বাদে
কোনো তফাৎ হবে না। ঘিয়ের গন্ধেই আমোদিত হয়ে যাবে।
উপকরণ:
·
২০০ গ্রাম পনির, কিউব
করে কাটা
·
১ টা ক্যাপসিকাম ডুমো ডুমো
করে কাটা
·
২টো শুকনো লঙ্কা
·
গোটা গরম মশলা
·
২ টেবিল চামচ পোস্ত
·
৫-৬ টা কাজু
·
৩-৪টি কাঁচালঙ্কা
·
১/২ চামচ বিরিয়ানি মশলা
·
১ চামচ ঘি
·
২ চামচ টক দই
·
সাদা তেল
·
১/২ চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
·
১ ফোঁটা আতর
·
১/৪ চা চামচ কেওড়া জল
·
স্বাদমতো নুন
·
সামান্য চিনি
কাজু আর পোস্ত একসাথে বেশ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখার পর পেস্ট বানিয়ে রাখবেন। ননস্টিক প্যানে অল্প তেল দিয়ে আগে ক্যাপসিকামগুলোকে হালকা ভেজে তুলে রাখুন। ওই তেলে পনিরগুলো হালকা বাদামি করে ভেজে নিন। একটি বাটিতে কিছুটা উষ্ণ গরম জল ও নুন দিয়ে এর মধ্যে ভাজা পনিরগুলো রাখুন, এতে পনিরগুলো নরম থাকবে।
এবার ওই তেলে শুকনো লঙ্কা এবং গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়ে তার মধ্যে দিয়ে দিন কাজুপোস্তবাটা। ২-৩ মিনিট কষিয়ে নিতে হবে। একটি ছোটো বাটিতে দইটা ফেটিয়ে নিয়ে তার মধ্যে বিরিয়ানি মশলা ভালো করে মিশিয়ে নিন আর সামান্য জল যোগ করুন। মশলা দিয়ে দই ফেটিয়ে নিলে গরম তেলে দেওয়ার পর টক দই ফেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আঁচ কমিয়ে দিয়ে দইএর মিশ্রণটা ঢেলে দিন আর অনবরত নাড়তে থাকুন। তেল ভেসে উঠলে পনির আর ক্যাপসিকামগুলো যোগ করুন, স্বাদমতো নুন ও চিনি এবং পরিমাণ মতো জল দিন। পাত্রটি চাপা দিয়ে মিনিটপাঁচেক কম আঁচে ফোটান। তারপর ঘি, গরম মশলা গুঁড়ো, কেওড়া জল ও আতর যোগ করে একমিনিট মতো ফুটিয়ে বন্ধ করে দিন। সুস্বাদু পনির রেজালা তৈরী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন