সংগ্রামী প্রথমা ভারতীয় স্নাতকোত্তর নারী - চন্দ্রমুখী বসু

 



বিদ্বত্ত্বঞ্চ নৃপত্বঞ্চ নৈব তুল্যং কদাচন।

স্বদেশে পূজ্যতে রাজা বিদ্বান্ সর্বত্র পূজ্যতে।।

 

অর্থাৎ : বিদ্যাবত্তা এবং রাজপদ কখনোই সমান হয় না। রাজা কেবলমাত্র নিজ রাজ্যেই সম্মান পান, বিদ্বান (স্বদেশ-বিদেশ) সর্বত্র সম্মান পান।

ইতিহাস থেকে আমরা বিভিন্ন সময়ে নারীর বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারি। নারীরা কখনও ঘরে-বাইরে বিশেষ মর্যাদার অধিকারী ছিল, তো কখনও গৃহে বন্দী অবহেলার জীবন কাটাতে বাধ‍্য হত।  ঋকবৈদিক যুগে, কন‍্যা সন্তানকে কখনোই অবহেলা করা হত না। তারা 'বেদ পাঠ' 'উপনয়ন' - এর অধিকারী ছিল। 'পর্দাপ্রথা' সে যুগে প্রচলিত হয় নি। তারা বৈদিক মন্ত্র রচনা করত, অধ‍্যাপনা করত, প্রাকাশ‍্য সভায় তর্কযুদ্ধে অবতীর্ণ হত। যুদ্ধবিদ‍্যাতেও অনেকে দক্ষ ছিল। স্বামীর সহধর্মীনীরূপে বিবাহিত নারীরা 'যাগযজ্ঞ'তে অংশ নিত। অনেকে অবিবাহিত থেকে বিদ‍্যাচর্চা ও শাস্ত্র আলোচনা করত। 'সতীদাহ', 'বাল‍্যবিবাহ' সে যুগে ছিল না। সব মিলিয়ে বলা যায়, সে যুগে নারীরা বিশেষ সম্মানিত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে অবস্থার অবনতি হয়। অর্থাৎ 'পরবর্তী বৈদিক যুগ' এ বলা হয়, নারী হল, 'অসত‍্য' 'আপদ'। তারা উপনয়নের অধিকার হারায়। রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কাজে অধিকার হারায়। তবে এত খারাপের মধ‍্যেও উচ্চশিক্ষা ছিল। নারীদের শিক্ষার ভিত্তিতে দুভাগে ভাগ করা হয়েছিল। যথা - 


ব্রহ্মবাদিনী - যেসব নারীরা সারাজীবন দর্শন ও ধর্মতত্ত্ব চর্চা করতেন এবং অবিবাহিত থাকতেন। 

সদ‍্যোদ্বাহা - যেসব নারীরা বিয়ের পূর্ব পযর্ন্ত বিদ‍্যাচর্চা করত। 


গঙ্গা - সরস্বতী - যমুনা দিয়ে অনেক জল বয়ে যায়। কালস্রোতে বহু জাতির মানুষ এই দেশে আসে। বিভিন্ন ধর্ম মতের প্রচার ও প্রসার হয়। শুরু হয় ধর্ম নিয়ে হানাহানি। এইসবের মধ‍্যে মেয়েদের অবস্থা উন্নতর জায়গায় অবনত হতে থাকে। কিছু ব‍্যক্তি বা রাজা বিচ্ছিন্ন ভাবে মেয়েদের কথা ভাবলেও সামগ্রিক হাল খারাপ   ছিল। ধীরে ধীরে মেয়েরা পরাধীনতার নাগপাশে জড়িয়ে যেতে থাকে। মেয়েরা পড়াশোনা করবে? বাপ রে! সে এক মহা অন‍্যায় কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর আবারও ধীরে ধীরে অবস্থার পরিবর্তন হতে থাকে। তারা আবার হারানো সম্মান ফিরে পায়। হয়ে উঠে 'সর্বজয়া'

  

এমনই বিদ‍্যা শিক্ষার জন‍্য লড়াকারী এক মহিয়সী নারী হলেন, চন্দ্রমুখী বসুঅনেক অবহেলার পর পেয়েছিলেন সুবিচার। মৃত‍্যুর বেশ কয়েক বছর পর যুগ্ম ভাবে কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের সাথে পেলেন ভারতের প্রথম স্নাতকের সম্মান। 

     

জন্ম ও বংশ পরিচয় : ১৮৬০ সালে জন্ম গ্রহণ করেন।আদি বাসস্থান হুগলির মহানদে । 

পিতা - রেভারেন্ড ভুবনমোহন বসু। 

দুই বোন - বিধুমুখী বসু ও বিন্দুবাসী বসু। 

স্বামী - জমিদার কেশবানন্দ মমগায়েন(ভারতের প্রথম ফরেস্ট কনজারভেটর )।

মামা - রসরাজ অমৃতলাল বসুর সম্পর্কিত ভাগ্নি ছিলেন তিনি।


ত‍ৎকালীন হিন্দু সমাজের গোঁড়ামির জন‍্য অনেকেই অন‍্য ধর্ম গ্রহণ করতেন বা হিন্দু ধর্মকে প্রথাগত ভাবে না মেনে অন‍্যভাবে মেনে চলতেন (ব্রাহ্মধর্ম)। ভুবনমোহন বসু ছিলেন তেমনই একজন মানুষ। তিনি খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। সেই হিসেবে বলা যায়, চন্দ্রমুখী বসু ছিলেন খ্রিষ্টান পরিবারের কন‍্যা। 


শিক্ষা জীবন : চন্দ্রমুখী বসুর জন্মের কিছুকাল পর ভুবনমোহন বসু কর্মসূত্রে দেরাদুনে বদলি হয়ে যায়। সেইজন‍্য সকলে দেরাদুনে চলে যান। সেখানে মিশনারিদের তত্ত্বাবধানেই পড়াশোনা শুরু হয় তাঁর। 


১৮৭৬ সালে দেরাদুনের দেহরা বোর্ডিং স্কুল ফর নেটিভ ক্রিশ্চান গার্লস থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন চন্দ্রমুখী দেবী৷ কিন্তু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে রেজিস্টার্ড পরীক্ষার্থীর মর্যাদা দেয়নি৷ তিনি পাশ করলেও তাঁকে পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেটও দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ ১৮৭৯ সালে বেথুন স্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করেন কাদম্বিনী বসু (পরে গঙ্গোপাধ্যায়)৷ তিনি আরও পড়াশোনা করতে চাইলে শুধু তাঁর জন্যই ১৮৭৯ সালে তৈরি হয় বেথুন কলেজ৷ দীর্ঘ দু’টি শিক্ষাবর্ষ নষ্ট হওয়ার পর ওই কলেজেই ফের পড়াশোনার সুযোগ পান চন্দ্রমুখী বসু৷

চন্দ্রমুখী বসু ১৮৮৪ সালে এমএ পাশ করেন। মেয়েদের মধ্যে তিনিই প্রথম এমএ।

লড়াই! লড়াই! লড়াই!

বাঙালি খৃস্টান নারীর একাকী শিক্ষার জন‍্য লড়াই।

চন্দ্রমুখী দেরাদুনের‘দেহরা স্কুল ফর নেটিভ ক্রিশ্চান গার্লস’নামের একটা মিশনারি স্কুলে পড়াশোনা করতেন, এটা আমরা জেনেছি। এরপর, তিনি ঐ স্কুল থেকেই এন্ট্রান্স পাশ করেন, এটাও জেনেছি। এন্ট্রান্সের পড়া সমাপ্ত হবার পরে, ওখানেই সাধারণত মেয়েরা থেমে যেত। যেহেতু তাদের পরীক্ষা দেবার কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু, চন্দ্রমুখী অন্য ধাতুতে গড়া মেয়ে ছিলেন। তিনি উচ্চাশিক্ষার জন‍্য প্রস্তুত হন। আরও পরীক্ষা দেবার জন্য আবেদন করে বসলেন। স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল রেভারেন্ড ডেভিড হিরন পড়ে যান বিপদে। তাঁকে ঘুষ হিসাবে বেশ কিছু বই দিয়ে পরীক্ষা দেবার সংকল্প থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু, চন্দ্রমুখী অনড়। তিনি পরীক্ষা দেবেনই। ফলে বাধ্য হয়ে রেভারেন্ড হিরন কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন জানালেন চন্দ্রমুখীর পরীক্ষা নেবার জন্য।

১৮৭৬ সালের ২৫শে নভেম্বর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চন্দ্রমুখী বসুকে বেসরকারিভাবে পরীক্ষা দেবার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে সেখানেও নানা ধরনের শর্ত আরোপ করা হয়েছিল। পাশ করলেও অফিসিয়াল পাশ লিস্টে তাঁর নাম থাকবে না, এটাও বলে দেওয়া হয়। সহজ কথায় চন্দ্রমুখী দেবী এন্ট্রান্স পাশ, এটা অফিসিয়ালি কোথাও দাবী করতে পারবে  না।সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্তটা ছিল এরকম:


এই শর্তে চন্দ্রমুখীকে মুসৌরী শহরে পরীক্ষা দেবার অনুমতি দেওয়া হলো যে, তাঁকে নিয়মিত পরীক্ষার্থী বলে গণ্য করা হবে না এবং পরীক্ষকগণ তাঁর উত্তর পরীক্ষা করে পাশের যোগ্য নম্বর দিলেও উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের তালিকায় তাঁর নাম প্রকাশ হবে না।”



এরপর, কাদম্বিনী বসু এন্ট্রান্স পাশ করলেন। তারপরই মেয়েদের জন‍্য আলাদা কলেজ খোলার দাবী উঠতে থাকে। সেই দাবী মান‍্যতাও পায়। আলাদা কলেজ খোলাও হলো। এই  সময় আবার দৃশ্যপটে এসে হাজির হলেন চন্দ্রমুখী বসু! তিনিও কাদম্বিনীর বসুর সাথে কলেজে পড়ার আবেদন জানালেন। কিন্তু, তাঁকে যেহেতু সরকারীভাবে সনদ দেওয়া হয় নি, তাই তাঁর ভর্তি হওয়ার আবেদন নাকচ হয়ে যায়। শিক্ষা অনুরাগী চন্দ্রমুখীও ছাড়বার পাত্রী ছিলেন না। তিনি কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে দাবী জানালেন তাঁকে কলেজে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য, কারণ এন্ট্রান্স পরীক্ষায় তিনিও পাশ করেছিলেন। তাঁর এ দাবি সিনেটে উঠলো এবং সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো তাঁকেও কলেজে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হবে। অর্থাৎ, তাঁর এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফলাফল বেসরকারি থেকে সরকারী হয়ে গেলো।

১৮৮৩ সালে চন্দ্রমুখী বসু এবং কাদম্বিনী বসু দুজনেই কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বেথুন কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁরা দুজন শুধু ভারতবর্ষের নয়, সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রথম স্নাতক ডিগ্রিধারী মহিলা।


উপহার হিসেবে পেলেন :

১৮৮৪ সালে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় তাঁর ব‍্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা চার্লস ক্লাউডেন ক্লার্ক সম্পাদিত 'শেক্সপিয়র রচনাবলি' চন্দ্রমুখী বসুকে উপহার দেন। বইটির পাতার একেবারে নীচে ফুটনোটে লেখা সেই বইয়ের প্রকাশকের নাম, কাসেল’স ইলাস্ট্রেটেড শেক্সপিয়র: এডিটেড অ্যান্ড অ্যানোটেড বাই চার্লস অ্যান্ড মেরি কাউডেন ক্লার্ক৷[১]



কর্মজীবন : শিক্ষা শেষে বেথুন কলেজেই লেকচারার হিসাবে যোগ দেন তিনি। এই কলেজেই অধ্যক্ষা হিসাবে পেশাগত জীবন শেষ করেন। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তরের প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদের অধিকারিণীরূপে তিনিই প্রথম নারী।


বেথুন কলেজের প্রথম অধ্যক্ষা হওয়া সত্ত্বেও নানা সময় তাঁর সমালোচনা করেছে তত্‍কালীন সংবাদপত্র৷ ইন্ডিয়ান মিরর, ইন্ডিয়ান মেসেঞ্জারের মতো পত্রিকায় তাঁর সংস্কারমূলক কাজের সমালোচনা শোনা গিয়েছে৷ কলেজের মেয়েদের টেনিস, ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য বাড়তি পোশাক ও জুতো চেয়ে নির্দেশিকা জারি করায় সমাজকর্তাদের কটাক্ষও শুনতে হয়েছে তাঁকে৷ ১৮৯০ সালে ইন্ডিয়ান মিররে এমনই এক সমালোচনার কড়া জবাব দিয়েছিলেন চন্দ্রমুখী৷

১৮৮৬ সালে কলেজের সুপার পদে যোগ দেওয়ার পর থেকে কার্যত একা হাতে বেথুন কলেজকে গড়ে তুলেছেন চন্দ্রমুখী৷ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে চিঠিচাপাটি চালিয়ে কলেজের জন্য বাড়তি টাকা আদায় করেছেন৷ ভবানী দত্ত লেনের রাজ্য লেখ্যাগারে তাঁর সেই চিঠিপত্র আজও সংরক্ষিত৷  

চন্দ্রমুখীর নেতৃত্বাধীন বেথুন কলেজের মাঠে এক সময় ব্যাডমিন্টন খেলতে আসতেন ঠাকুরবাড়ির মেয়েরা৷ জ্ঞানদানন্দিনীদেবীর লেখায় রয়েছে বেথুন কলেজের সবুজ মাঠের উচ্চকিত প্রশংসা।

১৯০১ সালে মাত্র ৪১ বছর বয়সে চন্দ্রমুখী বেথুন কলেজ থেকে অবসর নিয়ে দেরাদুনে ফিরে যান৷ দেরাদুনে চলে যাওয়ার পর আরও তেতাল্লিশ বছর বেঁচেছিলেন চন্দ্রমুখী৷ 

 

শেষ জীবন ও বিবাহ : সতেরো বছর বয়সে কলকাতা এসেছিলেন দেরাদুন থেকে, একচল্লিশ বছর টানা পরিশ্রম করার পর আকস্মিক ভাবেই স্বেচ্ছাবসর নিয়ে দেরাদুনেই ফিরে যান চন্দ্রমুখী দেবী৷ কলেজ থেকে অবসর নিয়ে দেরাদুনে ফিরে যাওয়ার পর ১৯০৩ সালে ৪৩ বছর বয়সে কেশবানন্দকে বিবাহ করেন


দেরাদুনে নেটিভ খ্রিস্টানদের জন্য গড়া প্রেসবিটেরিয়ান চার্চের ফলকে এখনও লেখা চন্দ্রমুখীর বাবা ভুবনমোহন বসুর নাম। এই গির্জার সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন স্থানীয় জমিদার কেশবানন্দ মমগায়েন ছিলেন ভারতের প্রথম ফরেস্ট কনজারভেটর৷দেরাদুন থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে জিতগাঁওয়ে চন্দ্রমুখী বসুর উত্তরাধিকারীরা এখনও আছেন৷ দেরাদুন থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি মাত্র ‘ইসাই’ (খ্রিস্টান) পরিবার রয়েছে৷ সেইটিও হল চন্দ্রমুখী বসু মমগায়েনের পরিবার।  বাইরে থেকে বসার ঘরে এখনও দেওয়ালে টাঙানো চন্দ্রমুখী বসুর একটি ছবি৷ ওই ছবিটিই রয়েছে বেথুন কলেজের অধ্যক্ষার অফিসঘরে

১৯৪৪ সালে, ৩ রা ফেব্রুয়ারি মৃদুভাষী, লড়াকু, বিদ‍্যা প্রেমী মহিয়সী এই নারী ইহ জগৎ ত‍্যাগ করেন। 

বি: দ্র : ২০১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস পুরোনো নথিপত্র খতিয়ে দেখে চন্দ্রমুখীর এন্ট্রান্স পরীক্ষা পাশের সার্টিফিকেট তুলে দেন বেথুন কলেজের হাতে৷ এই জন‍্য বিশেষ কৃতিত্ত্ব প্রাপ্ত অধ‍্যক্ষা পুষ্পা মিশ্র এবং দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করা কলেজের অধ্যাপিকা সুনন্দা ঘোষের৷ তাঁর আরও দুই সহকর্মী, বেথুনেরই দুই প্রাক্তন অধ্যাপিকা শ্যামলী সরকার ও বাণীমঞ্জরী দাসও এই কাজে নিজেদের নিযুক্ত করেন 

 


কলমে  - সো মা  লা ই 

___________________


[১] সুত্রঃ দেরাদুনে চন্দ্রমুখী বসুর বাড়ি থেকে সম্প্রতি সেই বই এল বেথুন কলেজে -  শর্মিষ্ঠা রায়ের প্রতিবেদন।

 

( সমাপ্ত)

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন