বালিকা বিদ্যালয়
সপ্তম
শ্রেণি
টিফিনের
সময়
সাল -
২০০৮
মফঃস্বল
এলাকা
পিউ :
আমার না শাওয়ারে স্নান করতে খুব ভালো লাগে জানিস! ঐ ঝিরিঝিরি জল পড়ে! খুব মজা
লাগে। ( পিউ অভিজাত পাড়াতে থাকে। )
শিপ্রা, রূপা, বিভা, সৌমা, টিঙ্কা, ঈশা -
এরা সবাই মন দিয়ে শুনছিল।
এই পিউ
এই দিকে একটু শোন, মৌলি ডাকল।
পিউ
মৌলির কাছে চলে যাওয়ার পর সৌমা বাদে বাকি সবাই বলছে, এ হে পিউয়ের কী ঢং দেখলি? অহংকার
দেখ! আমাদের নেই বলে বলতে এসেছে! হু!
সৌমা
বলতে চেষ্টা করে, ও ঐরকম করে হয় তো বলে নি। হয় তো এমনিই আনন্দে
বলছে।
বাকিরা
- তুই চুপ কর। তোর আবার বেশি!
সৌমা
চুপ করে যায়। ভাবে, ওদের নতুন বাড়ি হলে তখন শাওয়ার বসবে, তখন
দেখবে কেমন মজা লাগছে!
তিন বছর
পর ...
সৌমাদের নতুন বাড়ি হয়েছে। সুন্দর শাওয়ার
বসেছে। মনে পড়ে গেল পিউয়ের কথা! সত্যিই খুব ভালো লাগছে! কিন্তু কিছুদিন কেটে
যাওয়ার পর, আর তেমন উৎসাহ রইল না! মনে হল, আছে তো
কী হয়েছে! সে ভাবল, আচ্ছা এইরকম তো সব জিনিসের ক্ষেত্রেই হবে তাই
না? তখন কী
হবে?
কিছুদিন সৌমা এই নিয়ে খুব চিন্তা করল। তারপর
সে নিজের মতো করে বিষয়টির ব্যাখ্যা করল ও নিজের চিন্তা দূর করল।
ব্যাখ্যাটা ছিল - যখন মানুষের অনেক দিনের চাহিদা পূর্ণ হয় কিছুদিন পর সেই জিনিসের উপর আর সেই
টান থাকে না। মনে হয়, পেয়ে তো গেছি! এরপর আরও নতুন একটার প্রতি
ঐরকম টান হবে, তারপর পেয়ে গেলে কমে যাবে! এইরকম করে চক্রের আকারে চলতেই
থাকবে!
নীতিকথা
- নিজের ভালো লাগা,চহিদা, আশা অবশ্যই পুর্ণ করা উচিত। কিন্তু নিজের উপর
লাগাম টানাও উচিত। কারণ, আরও চাই, আরও চাই - করতে করতেই একসময় পৃথিবীর কোনো
বস্তু সেই চাহিদা আর পূর্ণ করতে পারে না। তখন মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
নিজের ক্ষতি করে, সাথে সমাজ ও পরিবারের। অ্যাংজাইটি (Anxiety ) চলে আসে।
কলমে - সোমা লাই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন