ছোট্টবেলায় আমরা বেশি বেশি বানান ভুল লিখি ও বলি। সেইজন্য সকলেই কম বেশি চপেটাঘাত, কানমলা খেয়েছি! দুলে দুলে একটিই শব্দ বার বার পড়েই বানান মুখস্থ করতে হত। তারপর হাত দিয়ে সেইসব শব্দগুলি চাপা দিয়ে, উপর দিকে চোখ করে অদ্ভূত ভঙ্গিতে চলত সেইসব বানান মনে করার পালা! যদি ভুল হত আবার দোলা শুরু, তারপর আবার হাত চাপা দেওয়া হত বেচারা শব্দগুলির উপর! এইভাবেই পুনরাবৃত্তি চলত! তাও বড়রা ধরতে এলে অনেক সময় আবার ভুল হয়ে যেত। তখন আবার শুরু হত পড়া!
ভুল বানান আমরা বিভিন্নভাবে
শিখি। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় -
ভুলে ভরা সামাজিক পরিবেশের কারণে : ভুল বানানে ভরা পোস্টার, বিজ্ঞাপন, প্রচারপত্র প্রভৃতিতে অনেক ভুল দেখা যায়। বতর্মানে সামাজিক মাধ্যমের ভুল বানান দেখে অল্প বয়সের শিক্ষার্থীরা সেইসব শিখছে।
পাঠ্যপুস্তকে ভুল মুদ্রণ : শিক্ষার্থীরা পাঠ্যপুস্তককে গভীর ভাবে অনুকরণ করে। এর ফলে ভুল বানান মুদ্রণ হলে ওরা সেটিই শেখে। বইতে ভুল থাকতে পারে - এ কথা শিক্ষার্থীরা মানতেই চায় না।
যেমন - ন নাকি ণ, ষ নাকি স।
Spelling Drill:
'হাতি' -র
শেষ বর্ণ পরিবর্তন করে লেখা যায়: হাওয়া, হাসি, হাট, হাড়, হার, হারিকেন, হাল, হাওর।
আবার, প্রথম বর্ণ পরিবর্তন করে লেখা যায় : অতি, ইতি, ঋতি, ক্ষতি, গতি, ছাতি,জাতি, দ্রুতি, ধুতি, নতি, পতি, প্রতি, মতি, লতি।
যেমন -
আনন্দবাজার : এখানে, আ ও র নিয়ে আর নতুন শব্দ তৈরি হল।
এরপর, ন ও ন্দ নিয়ে নন্দ তৈরি
হল।
এরপর, বা ও র নিয়ে বার তৈরি
হল।
এরপর, বা, জা ও ন নিয়ে বাজান তৈরি
হল।
এরপর, আ, বা ও র নিয়ে আবার তৈরি
হল।
এরপর, বা, জা ও র নিয়ে বাজার তৈরি
হল।
মাখন - এই শব্দের মধ্যের 'খ' পরিবর্তন করে কিছু নতুন শব্দ শিখতে পারলাম।
যথা - মাগন ( যাচনা
/ প্রার্থনা / ভিক্ষা)।
মাজন ( দাঁত
পরিষ্কার করার গুঁড়ো)।
মাতন।
যথা - কাউন ( চালের প্রকার )।
কাফন।
কাহন।
যেমন -
জাম তাল টগর পিকনিক
মন
লব রসায়ন কড়াই
নদী
বর
নখ
ইশারা
দীপ
রস খরচ
রাত
পাত সড়ক
চকচকে
তবলা
তল
কষা কেজি
লাভ
লতা
ষাট জিলিপি ভরত প্রভৃতি।
বি :দ্র : মনে রাখতে হবে যে, ছকে একই শব্দের দুই বার ব্যবহার হবে না।
এইভাবেই মজার ছলে ছোট্ট শিশুটি বানান শিখবে। সঠিকভাবে বানান শিখলে তবেই কোনো লেখা, ভাষা সঠিকভাবে বুঝতে পারবে। যা তার ভবিষ্যতের পথ সুগম করবে!
কলমে - সোমা লাই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন