'সিন্ধু' নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই!সিন্ধু অর্থাৎ সমুদ্র, সিন্ধু অন্য অর্থে বিশালতাও। তার গভীরতা, বিশালতা দেখে বিশ্বচরাচর অবাক হয়। তার বিশাল দেহে কত প্রাণির বাস! 'সিন্ধুতাই'ও যেন তাঁর নামটিকে সার্থক করেছিলেন। নামের মতোই তাঁর কাজের গভীরতা আমরা দেখতে পাই। তাঁর স্নেহতলেও বহু মানুষ আশ্রয় পেয়েছিল, শান্তি খুঁজে পেয়েছিল। সিন্ধুতাই সাপকাল ছিলেন একজন ভারতীয় সমাজকর্মী। যিনি বিশেষ করে ভারতে অনাথ শিশুদের লালন-পালনের জন্য তার কাজের জন্য পরিচিতি লাভ করেছিলেন। এই কারণে তিনি সকলের কাছে স্মরণীয়ও বটে। একজন; দুজনের নন, তিনি হাজার হাজার সন্তানের জননী৷ তিনি ভারতের অনাথদের মা৷ তিনি সিন্ধুতাই সপকাল৷ সত্তরোর্ধ্ব বয়সেও বাড়িয়ে দেন স্নেহের হাত৷ কোলে তুলে নেন তাদের যারা মায়ের কোল থেকে আস্তাকুঁড়েতে জায়গা পায়৷ যারা এই জগতে নিজেদের জন্মদাতা-দাত্রীদের কাছেই অবাঞ্ছিত, সেইসব অনাথ শিশুদের পরম আদরে কোলে তুলে নেন সিন্ধুতাই৷ আজ তাঁর সেই পালিত পুত্র কন্যারা অনেকেই সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত৷ অনেকেই তাঁর পথ অনুসরণ করছেন৷ পেয়েছেন অসংখ্য সম্মান ও পুরস্কার৷ সেইসঙ্গে 'ভারতের অনাথ-জননী' হিসাবে পেয়েছেন খ্যাতি৷
গ্রাম - পিম্পরি মেঘে ( “Pimpri Meghe” )
জন্ম
সময় : ১৪ ই নভেম্বর ১৯৪৮।
পিতা : অভিমানজি সাঠে। তিনি একজন গোপালক ছিলেন।
মাতা : একজন
গৃহবধূ।
স্বামী
: শ্রীহরি সপকাল।
শ্বশুরবাড়িঃ ওয়ার্ধার সেলুর নাওয়ারগাঁও ( Nawargaon village, Seloo in Wardha )।
শিক্ষা
জীবনঃ
সিন্ধুতাই
পড়তে ভালো বাসতেন। পড়াশোনাতে মন্দ ছিলেন না। এই ব্যপারে তাঁর পিতা তাঁকে সাহায্য
করতেন। তিনি চেয়েছিলেন মেয়ে শিক্ষা অর্জন করুক। কিন্তু সিন্ধুতাইয়ের মা ছিলেন পড়াশোনার প্রবল বিরোধী। তাও পিতা মেয়েকে চতুর্থ শ্রেণি
পযর্ন্ত পড়তে সাহায্য করেন। কিন্তু তাঁর মায়ের প্রবল
বিরোধীতা, খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থা, গৃহস্থালির
দায়িত্বের জন্য তাঁর শিক্ষাজীবন রুদ্ধ হয়। তারসাথে বিয়ের জন্যও তোড়জোড়
চলছিল।
ব্যক্তিগত জীবনঃ
মেয়ে
হয়ে জন্মেছিলেন বলে তাঁকে অবাঞ্ছিত মনে করা হত। তাঁকে "চিন্ধি" বলে ডাকা
হত, যার
মারাঠি অর্থ হল,' কাপড়ের ছেঁড়া টুকরো '।
মাত্র দশ বছরেই সিন্ধুতাই-এর বিয়ে হয় ৩০ বছর বয়সী শ্রীহরি
সপকালের সাথে।৷ ওই বয়সে বিবাহ সম্পর্কে কোনও ধারণাই ছিল না তাঁর৷ ২০ বছর বয়সে পা দেওয়ার
আগেই তিনি জন্ম দেন তিন পুত্র সন্তানের। এই সময় ঘটলো জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক
মর্মান্তিক এক দূর্ঘটনা। ১৯৭৩ সালের ১৪ অক্টোবর। যৌতুকের পণ দিতে না পারায় তিনি
স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত হলেন, কুড়োতে হল দুশ্চরিত্রা বদনামও। সেই সময় নয়
মাসের সন্তানসম্ভবা সিন্ধুতাই তাঁর স্বামীর নির্মম প্রহারের
আঘাত সহ্য করতে না পেরে মূর্ছা গেলে স্বামী মৃত ভেবে
সিন্ধুতাইকে ফেলে রেখে আসেন এক গোয়ালঘরে, বন্ধনহীন অনেক গরুর
মাঝে, যাতে গরুর পায়ের আঘাতে মৃত্যু হয় তাঁর। সেই গোয়ালঘরেই তিনি জন্ম
দেন এক কন্যাসন্তানের। ছুঁড়ি-কাঁচির মতো কোনো কিছু না পেয়ে গোয়ালঘরে পড়ে থাকা একটি
পাথর দিয়ে নাড়ী কাটেন তিনি।
স্বামীর ঘর থেকে বিতাড়িত হলেন। পিতৃগৃহেও আশ্রয় মিললো না। দুশ্চরিত্রা অপবাদে সমাজেও ঠাঁই হলো
না। নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে প্রথমে আশ্রয় নিলেন শ্মশানে। আবর্জনার স্তুপে পড়ে থাকা
খাবার খেয়েই ক্ষুন্নিবৃত্তি করতে হতো। শেষে একদিন খিদের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে
বেছে নেন আত্মহননের পথও। সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকন্যাকে নিয়ে নিকটবর্তী রেল স্টেশনে
যান তিনি। আত্মহত্যা করার জন্য রেললাইনে শুয়েও থাকলেন। এমন সময় শোনেন প্রচণ্ড
কান্নার শব্দ। কী মনে করে মাথা তুলে দেখেন গাছের নীচে বসে একটা শিশু কাঁদছে। তিনি
দেখেন গাছের একটি ডাল কোনো রকমে ভেঙে পড়তে পড়তে গাছের সাথে লেগে আছে। সেই ভাঙ্গা
ডালেই আবার পাতা হয়েছে। ফুল ফুটেছে। সেই ভাঙ্গা ডালের ছায়ায় বসে ছেলেটি কাঁদছে।
তিনি ভাবলেন ভেঙ্গে যেতে যেতে টিকে থাকা গাছে যদি পাতা গজায়, ফুল ফোটে,
সেই ভাঙ্গা গাছের ডাল আবার ছায়া দিয়ে মানুষকে আশ্রয় দেয়, তবে তার এই জীবনটা কি শুধুই অর্থহীন! এক হাতে ছেলে আরেক হাতে মেয়েকে নিয়ে তিনি
রেলস্টেশনে আসলেন। ভাগাড় থেকে খাবার খুঁজে খাওয়ালেন। কাজ খুঁজে কাজ পেলেন না।
স্টেশনে গান গেয়ে ভিক্ষা করা শুরু করলেন। যত টাকা আয় হতো সেগুলো দিয়ে খাবার কিনে
রাতে রান্না করেন। শিশুদুটোকে নিয়ে খান। রেলস্টেশনে ঘুমিয়ে থাকা অন্যান্য শিশুদের
নিয়ে এসেও খাওয়ান, ঘুম পাড়ান, স্নান করান।
পিতামাতাহীন ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিশুগুলোও যেন মাকে খুঁজে পায়।
‘মাই’ হয়ে ওঠার কাহিনীঃ
এর মাঝে ঘটে আরেক ঘটনা। প্ল্যাটফর্মে পড়ে
থাকা একটি ব্রিফকেস খুঁজে পেয়ে স্টেশনমাস্টারের অফিসে জমা দেন সিন্ধুতাই। কয়েক
সপ্তাহ পর ব্রিফকেস ফেরত পেয়ে ভদ্রলোক দেখা করতে এসে তাঁকে উপহার দিতে চান। সিন্ধুতাই বলেন, কোনো উপহার চাইনা, শুধু আমার শিশুদের নিয়ে থাকার জন্য একটা ঘর বেঁধে দিন। এইভাবেই শুরু হলো তার
জীবনের আরেকটি অধ্যায়। অনাথ শিশুদের নিয়ে থাকার একটা ঘর পেলেন। বাচ্চাদের স্কুলে
ভর্তি করে দিলেন। শিশুদের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা দেখে অন্যান্য মানুষেরাও এগিয়ে
আসলো। ঘর বড় হলো। যাদের পৃথিবীতে আর কেউ নেই এসব শিশুরা তাঁর কাছে আশ্রয় পেল। অনাথ
শিশুরাও নতুন এক মা খুঁজে পেল।
সিন্ধুতাই ও তাঁর কন্যা মমতা সপকাল
তার ছত্রছায়ায় বড় হয়ে ওঠা বাচ্চাদের যাতে
কোনও দিন এটা মনে না হয় যে সিন্ধুতাই বাকিদের থেকে নিজের মেয়ে মমতাকে বেশি
ভালবাসেন,
তাই ছোট থাকতে থাকতেই মেয়েকে পুনার এক ট্রাস্টে দিয়ে দেন। ট্রাস্টটির নাম ছিল,'ট্রাস্ট শ্রীমন্ত দাগড়ু শেঠ হালওয়াই, পুনে' (trust Shrimant Dagdu Sheth Halwai, Pune)। সেই মেয়ে এখন বড় হয়ে মায়ের মতো নিজেও অনাথ
আশ্রম চালাচ্ছেন।
প্রায় হাজার অনাথের ঠিকানা হলো তাঁর কাছে আর
সমাজসেবাকেই জীবনের একমাত্র ব্রত হিসাবে বেছে নেন৷ নিজের দুঃখের গল্প সবাইকে বলেন
তিনি৷ অনাথ শিশুরা তাঁর মতোই কষ্ট পায়- এই বোধ থেকেই তিনি কোনও অনাথ শিশুকে ফেলে
দিতে পারেননা কোনওদিন৷ তাঁর নীতি ‘বাঁচো ও বাঁচতে দাও’৷ আজ গোটা মহারাষ্ট্র জুড়ে আজ তাঁর অনেক অনাথ আশ্রম আছে৷ সরকারি অনাথালয়ে ১৮
বছরের পর আর কোনও বাচ্চাকে রাখা হয় না৷ কিন্তু সিন্ধুতাই তা করেন না৷ তাঁর কথায়, ১৮ বছরেই সন্তাদের বেশি করে তাদের পরিবারকে দরকার পড়ে, এই বয়সে বড় হয়ে যায় না কেউ৷ তাই তিনি তাঁর বাচ্চাদের একেবারে নিজের পায়ে
দাঁড়ানো পর্যন্ত পাশে থাকেন৷
সপকালের
সংগ্রামের বিশদ বিবরণ ১৮ ই মে ২০১৬ সালে সাপ্তাহিক অপটিমিস্ট সিটিজেন-এ দেওয়া
হয়েছিল। 'বেঁচে থাকার এই ধ্রুবক লড়াইয়ের মধ্যে, তিনি
নিজেকে মহারাষ্ট্রের অমরাবতী জেলায় অবস্থিত চিখালদারায় খুঁজে পান। এখানে, একটি
বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের কারণে, ৮৪টি আদিবাসী গ্রাম উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বিভ্রান্তির
জন্য, একজন
প্রকল্প কর্মকর্তা আদিবাসী গ্রামবাসীদের ১৩২টি গরু বাজেয়াপ্ত করেন এবং একটি গরু
মারা যায়। সপকাল অসহায় আদিবাসী গ্রামবাসীদের যথাযথ পুনর্বাসনের জন্য লড়াই করার
সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর প্রচেষ্টা বনমন্ত্রী কর্তৃক স্বীকৃত হয় এবং তিনি বিকল্প স্থানান্তরের
জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করেন। '
অনাথ
এবং পরিত্যক্ত আদিবাসী শিশুদের দুর্দশার কথা জানানোর পর, সিন্ধুতাই স্বল্প পরিমাণে খাবারের বিনিময়ে শিশুদের যত্ন নেন।
এর অল্প সময়ের মধ্যেই, এটি তার জীবনের মিশন হয়ে ওঠে।
এইভাবেই
তিনি সিন্ধুতাই থেকে 'মাই' বা মা হয়ে
ওঠেন!
অনাথ
আশ্রম ( Orphanages )ঃ
সিন্ধুতাই নিজেকে অনাথদের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছিলেন। সেইজন্যই,তাঁকে
স্নেহের সাথে "মাই" বলা হত, যার অর্থ "মা"। তিনি ১,৫০০ এরও
বেশি অনাথ শিশুকে লালন-পালন করেছেন। তাদের মধ্যে ৩৮২জন জামাই এবং ৪৯ জন পুত্রবধূর
একটি বিশাল পরিবার ছিল।
তিনি তাঁর কাজের জন্য ৭০০ টিরও বেশি পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। তিনি তাঁর পুরস্কারের অর্থ মানব সেবার কাজে ব্যয় করেছেন।
সিন্ধুতাই
পুরস্কারের অর্থ দিয়ে একটি জমি কিনেছিলেন, সেখানে অনাথ শিশুদের জন্য বাড়ি তৈরি
করেছিলেন।
বিবিসির
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "বড় চিকিৎসক, বড় প্রযুক্তিবিদ হওয়া অবশ্যই ভালো। কিন্তু এসব না হলে যে মানুষের সেবা করা যায়
না তা ঠিক নয়। চারপাশ থেকে যা পেলাম তা শুধু নিজের করেই নিলাম এরকম মানুষ যতবড়
বিত্তশালী হোক না কেন তাতে সমাজের কোনো লাভ হয় না। মানুষের সেবা করার জন্য সুন্দর
একটা ত্যাগের মন থাকাটাই যথেষ্ঠ।"
সংস্থাগুলি :
মাদার
গ্লোবাল ফাউন্ডেশন পুনে।
সনমতি
বাল নিকেতন, ভেলহেকর বস্তি, মঞ্জরি, হাদপসার, পুনে।
মমতা
বাল সদন, সাসওয়াদের
কাছে কুম্ভরভালান, পুরন্দর তালুকা (১৯৯৪ সালে শুরু হয়েছিল)।
সাবিত্রীবাই
ফুলে মুলিঞ্চে ভাসাতিগৃহ (গার্লস হোস্টেল) চিখালদারা, অমরাবতী।
অভিমান
বাল ভবন, ওয়ার্ধা।
গঙ্গাধরবাবা
ছাত্রালয়, গুহ শিরডি।
সপ্তসিন্ধু মহিলা
আধার, বালসংগোপন
আনি শিক্ষা সংস্থা, পুনে।
শ্রী
মনশান্তি ছাত্রালয়, শিরুর।
বনবাসী
গোপাল কৃষ্ণ বহুউদ্দেশিয়া মন্ডল অমরাবতী।
পুরস্কার
ও সম্মান :
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ২০১৭ সালে সিন্ধুতাই সপকালকে 'নারী শক্তি পুরস্কার' প্রদান করছেন ।
২০২১ -
সমাজকর্ম বিভাগে 'পদ্মশ্রী' সম্মান লাভ করেন।
২০১৭ –
ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে 'নারী শক্তি পুরস্কার' পান।
২০১৬ -
ডক্টর ডি ওয়াই পাতিল কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, পুনে (Dr. D.Y.
Patil College of Engineering, Pune ) থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট
লাভ করেন।
২০১৬ –
ওকহার্ট ফাউন্ডেশন (Wockhardt Foundation ) থেকে 'বর্ষসেরা সমাজকর্মী পুরস্কার' পান।
২০১৪ – 'আহমদিয়া
মুসলিম শান্তি পুরস্কার' পান।
২০১৩ -
সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য 'মাদার তেরেসা পুরস্কার' পান।
২০১৩ –
আইকনিক মাদারের জন্য 'জাতীয় পুরস্কার' পান।
২০১২ – 'রিয়েল
হিরোস অ্যাওয়ার্ড' পান, যেটি সিএনএন-আইবিএন এবং রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন
প্রদান করে।
২০১২ – 'COEP গৌরব পুরস্কার পান', যেটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, পুনে প্রদান করে।
২০১০ – 'অহল্যাবাই
হোলকার পুরস্কার', যেটি মহারাষ্ট্র সরকার কর্তৃক নারী ও শিশু
কল্যাণ ক্ষেত্রে সমাজকর্মীদের দেওয়া হয়।
২০০৮– দৈনিক মারাঠি সংবাদপত্র 'লোকসত্তা' দ্বারা
প্রদত্ত বছরের সেরা
মহিলা পুরস্কার পান।
১৯৯৬ – 'দত্তক
মাতা পুরস্কার' পান, যেটি অলাভজনক সংস্থা সুনিতা কালনিকেতন
ট্রাস্ট কর্তৃক প্রদত্ত।
'সহ্যাদ্রি হিরকানি পুরস্কার' (মারাঠি: सह्याद्री हिरकणी पुरस्कार) পান।
'রাজাই পুরস্কার' (মারাঠি: राजाई पुरस्कार) পান।
'শিবলীলা মহিলা গৌরব পুরস্কার' (মারাঠি: शिवलीला महिला गौरव पुरस्कार) পান।
সিনেমাঃ
সিন্ধুতাই সপকালের সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনন্ত মহাদেবন ২০১০ সালে মারাঠি ছবি 'মি সিন্ধুতাই সাপকাল' (Mee Sindhutai Sapkal) নামে একটি বায়োপিক বানান। এই বায়োপিকটি ৫৪ তম লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ( London Film Festival ) বিশ্ব প্রিমিয়ারের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল।
পরলোক
গমনঃ
তিনি ৭৩
বছর বয়সে ৪ ঠা জানুয়ারী ২০২২ তারিখে মহারাষ্ট্রের পুনেতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে
পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে পরলোক গমন করেন।পিছনে ফেলে গেলেন তাঁর অগণিত প্রিয়জন।
মাতৃ দিবসের প্রাক্কালে আদর্শ মায়ের প্রতিমূর্তি
‘মাই’ সিন্ধুতাই সপকালের প্রতি রইল শ্রদ্ধাজ্ঞাপন।
কলমে - সোমা লাই
চিত্রঃ সংগৃহীত
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন