অ্যাডাম
স্মিথ প্রতিদিনের মতোই লেটারবক্সের কাছে এসে গতকালের চিঠিপত্র বার করছিলেন। তিনি
একটা ব্যক্তিগত চিঠি পেলেন। কৌতূহলী হয়ে চিঠিতে প্রেরকের নাম দেখতে গিয়ে দেখতে
পেলেন চিঠিটা পাঠিয়েছেন বিখ্যাত নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ডঃ উইলিয়াম পার্কার। ইনি তো তার
বাবা ডঃ রিচার্ড স্মিথের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সেই ঘটনার পর তো…। চিঠিটা খুললেন মি.
স্মিথ।
“ প্রিয় অ্যাডাম, চিঠিটা পেয়ে নিশ্চয়ই খুব অবাক
হচ্ছ। এই বৃদ্ধের শেষ ইচ্ছা রাখতে একবার ‘ পায়োনিয়ার ’ হাসপাতালে আসতে পারবে বাবা? - উইলিয়াম কাকা।”
অ্যাডাম
স্মিথ চিঠিটা হাতে নিয়ে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন।
পায়োনিয়ার
হাসপাতাল। শয্যাশায়ী ডঃ পার্কারের বেডের পাশে একটা চেয়ারে বসে আছেন মি. স্মিথ।
“ বাবা
অ্যাডাম,” হাঁপাতে হাঁপাতে বললেন ডঃ পার্কার “ একটা কনফেসন করবো বলে তোমাকে
ডাকলাম। তুমি জান ক্যান্সার সেলের গ্রোথ বন্ধ করার উপায় বার করেছিলাম আমি। নোবেলও
পাই সেইজন্য। তোমার বাবাও একই বিষয় নিয়ে কাজ করছিলেন। ইন ফ্যাক্ট, আমার থেকে এগিয়ে
ছিলেন তোমার বাবা। আমরা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। বন্ধু ছিল বলেই এক ঘরোয়া আড্ডায় তোমার
বাবা তার রিসার্চের কিছু গোপনীয় কাগজ আমাকে দেখায়। আমি সেইসময় একটা জায়গায় আটকে
গিয়েছিলাম। বিস্ময়ের সাথে দেখেছিলাম আমি যেই জায়গায় আটকে গেছি, রিচার্ড সেই জটিল
সমস্যাটাই সমাধান ক’রে ফেলেছিল। আমি লোভ সামলাতে পারিনি। রিচার্ড যখন রান্নাঘরে
যায় ডিনারের ব্যবস্থা করতে, আমি মোবাইলে তার রিসার্চের ছবি তুলে নিয়েছিলাম। পরিণাম
তুমি জান। আমার নোবেলপ্রাপ্তি।”
একটু
চুপ ক’রে থেকে ডঃ পার্কার আবার শুরু করলেন।
“ আমি
আর বেশিদিন নেই। সবকিছু লিখে রেখেছি এই চিঠিটাতে। এটা ছাপিও। রিচার্ড তার প্রাপ্য
সম্মান পাক”। চোখ বন্ধ করলেন ডঃ পার্কার। অ্যাডাম চিঠিটা হাতে নিয়ে হতভম্ব হয়ে বসে
রইলেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন