উত্তরা – অভিমন্যু - রথীন্দ্রনাথ রায়

 


 মিতা অবাক চোখে চেয়ে থাকে মধুর দিকে ।তার একান্ত বাধ্য তথা অনুগত শিষ্য মধুর কাছ থেকে এমনতরো কথা আশা করেনি । বরং তার কথা শেষ না হতেই একান্ত অনুগত শিষ্য তা তামিল করত । মাসিমা আশ্বস্ত হয়েছিলেন । এবার বাউণ্ডুলেটা মানুষ হবে । অপরদিকে মিতা পেয়েছিল একটা সঙ্গী । বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় কাজ ছিলনা । চাকরির জন্য একদুটো দরখাস্ত করাই ছিল তার কাজ । বাবা অফিসের কাজে ব্যস্ত । মা স্কুলের কাজে । সুতরাং তার অখণ্ড অবসর বিনোদনের একমাত্র সঙ্গী ছিল মধু । কখনো গল্প করে, কখনো ব্যাডমিন্টন খেলে সময় কেটে যেত । বয়সে তার থেকে অনেকটা ছোট হলেও মধুই ছিল তার একমাত্র বন্ধু, তার একমাত্র শ্রোতা । 

আজ সেই মধুই বলল, সে নাকি সুন্দরী । 

সে সুন্দরী-- এটা অনেকবারই বলেছে তার অভিন্নহৃদয় বন্ধু কেয়া । 

কেয়ার মতে যে কোনো ছেলেই তার প্রেমে পড়তে চাইবে । তবু নিজেকে কখনো সুন্দরী বলে মনে হয়নি তার । 

মধু মাথায় বেশ লম্বা হয়েছে । একাদশ শ্রেণীর ছাত্র । বুদ্ধি শুদ্ধি যে হয়নি এটা সবাই বলে । তারও মনে হয় মধু বোকাই । তবে ওর সরল আবেদন যে কাউকে মুগ্ধ করে । মিতাকে ও করে । একদিন ও না আসলে কিচ্ছু ভালো লাগে না তার । তাই মধুর কথায় অবাক হলেও রাগ হলনা । বলল, তাই বুঝি! তোমার ভালো লাগে  ? 

মিতা ওর মুখের দিকে চেয়ে থাকে অপলক নেত্রে । ওর চোখের ভাষায় মুগ্ধতা । বেশ কিছুক্ষণ থেমে থাকার পর বলে, এই বইটা লাইব্রেরি থেকে বদলে আনবে । 

মধু বইটা নিয়ে নীরবে চলে যায় । 

কিন্তু পরপর দুদিন কেটে গেলেও সে আসেনা । ফলে সময় ও যেন কাটতে চায় না । তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় টেবিলের ওপর বইটা দেখে মিতা আশ্চর্য হয় । এমনতো কখনো হয়নি । মধু এসে তার সঙ্গে কথা না বলে চলে গেছে । 

বেশ কয়েকদিন দেখা না হওয়ায় অনেক গল্পও জমা হয়ে আছে । তবু তার একমাত্র শ্রোতা মধুর দেখা নেই । সন্ধ্যা হয়ে এসেছে প্রায় । এমনসময় মধুদের বাড়িতে এসে হাজির হল মিতা । মাসিমা খুব খুশি হলেন । কিন্তু মিতার দৃষ্টিটা শুধু একজনকেই খুঁজে ফেরে । অথচ সেই তার দেখা না পেয়ে আশা হত হল সে । বেশ কিছুক্ষণ মাসিমার সঙ্গে গল্প করার পরে ফিরে আসবে বলে ঠিক করছে এমনসময় খেলার মাঠ থেকে ফিরল মধু । ক'দিনের না দেখায় ওকে বেশ কিছুটা অচেনা বলে মনে হয় । মনে হয় এই মধুকে বুঝি সে চেনেনা । কিন্তু মধু তার সঙ্গে কথা বলল না ।সোজা ওপরের ঘরে উঠে গেল । আহত হল মিতা । কি হয়েছে মধুর? কেন সে তার সঙ্গে এমন ব্যবহার করছে  ? 

ভাবতে থাকে মিতা । 

মাসিমা বললেন  , মিতা, তুমি একটু বসো মা । আমি ঠাকুরঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালিয়ে আসি । 

মিতার সম্বিত ফেরে । সে বলে , আসুন । আমিও আসি । মাকে বলে আসিনি । 

-- সে কি, মাকে বলে আসোনি । তাহলে তো তোমার দেরি করা উচিত নয় । কিন্তু একা যেও না । মধুকে সঙ্গে নিয়ে যাও । 

-- না না, একাই পারব পর মধু এসে হাজির হল সেখানে । 

মা বললেন  , যা মিতাকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আয় । 

মায়ের কথা অমান্য করতে পারলনা মধু । মিতাকে বলল, এস। 

ওরা দুজন পথে নামল । এমনিতে বাড়ি দুটো পাশাপাশি । তবে রাস্তা দিয়ে ঘুরে যেতে হয় । তাই দূরত্বটা একটু বাড়ে । কিন্তু কেউ কারোর সঙ্গে কথা বলল না । মাথার ওপরে উজ্জ্বল চাঁদ ওদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলেছে । বাঁক ফিরতেই মোড়ের মাথায় কালভার্টের ওপরে বসে থাকা বেপাড়ার কয়েকটা ছেলে ওদের দেখে শিষ দেয়। কেউ বলে, বেড়ে জুটিয়েছে মাইরী । 

মধুর ইচ্ছে হল ওদের একটু শিক্ষা দেয় । মিতাকে বলে, একটু দাঁড়াও ।আমি আসছি । 

মিতা ওর হাত চেপে ধরে বললে, না ওদের স্বভাবই এই । 

-- তাই বলে

-- তা হোক । 

ওরা চলতে থাকে । বেশ কিছুটা এগিয়ে আসার পর মিতা বললে, তুমি পরপর তিনদিন আমার সঙ্গে দেখা করোনি কেন  ? 

মধু নির্বাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে মিতার মুখের দিকে । চাঁদের আলোয় ওকে আজ অপূর্ব সুন্দরী বলে মনে হয় ।

-- প্রতিদিন আসবে বলো  ? 

মিতা মধুর হাতটা ধরে থাকে । 

মধু কিছু বলতে পারে না । তার বুকের ভেতরে হাতুড়ি পেটার শব্দ । বেশ কিছুক্ষণ পরে বলল, তুমি চাইলে আসব । 

ঘরে ফিরে মধুকে বিদায় দিতে ইচ্ছে হলনা । 

মা বললেন, মধু এস এস । কতদিন তোমাকে দেখিনি । বেশ বড় হয়ে গেছ । 

তারপর মিতাকে বললেন মধুকে কিছু খাইয়ে তবে ছাড়তে । 

মিতা খাওয়াল । মধুর মনে হল এতখানি যত্ন বুঝি সে আগে কখনো পায়নি । 

সেদিন সারারাত ভাবল মিতা । না না, এ হয়না । মধু তার ভালোবাসার ব্যক্তি হতে পারেনা । কিন্তু ঘুমের মাঝে মধুর মুখটা বারবার তার চোখের সামনেভেসে উঠতে লাগল । 

নতুন ক্যামেরা কিনেছে মধু । তার ইচ্ছা মিতার ছবি নিয়েই শুরু হবে তার ফটোগ্রাফি । কিন্তু মিতা যদি রাজী না হয়

কয়েকদিন পরে মন্দির থেকে পূজো দিয়ে ফিরছিল মিতা । পূজারিণী বেশে মিতাকে দেখে মধুর মনে হল সে বুঝি দেবকন্যা । 

মিতাকে বলল  , মা তোমাকে ডেকেছেন । 

-- তাই বুঝি! তুমি ডাকোনি  ? 

-- না না, আমি কেন

কিন্তু ওদের বাড়িতে আসতেই দেখে বাড়িটা ফাঁকা । 

মিতা বললে, মাসিমা কোথায়  ? 

-- বাজারে ।

-- তবে যে বললে-- 

-- মিথ্যে বলেছি । আসলে তোমার এই পূজারিণী সাজের একটা ছবি নেব । তাই সত্যি বললে তো তুমি আসতে না । 

মিতা হাসল । প্রশ্রয়ের সে হাসি । 

মধু ক্যামেরা নিয়ে এসে বেশ কয়েকটা ছবি তুলল । ডিসপ্লে তে ছবিগুলো দেখে খুশি হল মিতা । বলল, এবারে তুমি খুশি তো । আজ আসি । 

ক্যামেরা কেনার পর থেকে পাড়ার অনেকেই ছবি হতে চাইল । তাদের মতে মধুর হাতও নাকি বেশ ভালো । ব্যস্ত হতে হল মধুকে ।কিন্তু মিতার মতো ওদের কাউকে সুন্দরী বলে মনে হল না ।

কল্পনাদির হবু বরের কাছে ছবি পাঠাতে হবে । ডাক পড়ল মধুর । সাজিয়ে নিতে হল মধুকে ।তার মনে হল কল্পনা কি মিতার মতো সুন্দরী  ? তা কেন হবে ? কিন্তু কল্পনার মধ্যে দিয়ে আবিষ্কার করল নারীর ভেতরের আর এক রহস্যময়ীকে । যে রহস্যের আকর্ষণে চঞ্চল হয়ে উঠল তার কৈশোর । 

  বেশ কিছুদিন পরে স্কুলের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মিতাকে আমন্ত্রণ জানাল মধু । মিতা যাবেনা ভেবেও শেষ পর্যন্ত এলো । অনুষ্ঠানে মধু অভিনয় করবে সেটাই ছিল ওর কাছে বড় আকর্ষণ । তাছাড়া ওর অভিনয় ও সবার মন জয় করল । সে অভিমন্যু । অপরদিকে নিজের অজান্তেই নিজেকে উত্তরার ভূমিকায় নিয়ে এল মিতা । উত্তরার মতো সে কি অভিমন্যুকে ভালোবাসে  ? 

এখন নাটকের শেষ অঙ্ক । অভিমন্যুর মৃতদেহ শিবিরে আনা হয়েছে ।সুভদ্রা, দ্রৌপদী এবং অন্য মায়েরা কাঁদছে । এলোলায়িতা কুন্তলা উত্তরা এল মঞ্চে । নিজের অজান্তেই কেঁদে উঠল মিতা । না , এ হতে পারেনা । অভি তার । একান্তভাবেই তার । 

কখন যেন নাটকটা শেষ হল মিতা বুঝতেই পারেনি । সমস্ত দর্শকরা চলে গেছে । সাজপোশাক খুলে অভিমন্যু ওর সামনে এসে বলে  , উত্তরা ।

-- অভি । 

কিন্তু একি বলল সে ! সে কি উত্তরা হতে চায়  ? 

-- চলো । 

নিঃশব্দে মধুকে অনুসরণ করে মিতা । রাস্তায় আলো থাকলেও তা যথেষ্ট নয় । দুপাশে ইউক্যালিপ্টাসের সারি । বেশ কিছুটা আসার পর কয়েকটি ট্রাককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় । এরকম প্রতিদিনই থাকে । হঠাৎ একজায়গায় থামে মধু । একটা ট্রাকের পাশে মিথুনরত দুজন নারী পুরুষকে দেখে মিতাকে জিজ্ঞেস করে , ওরা কি করছে

মিতা ওকে চট করে সরিয়ে আনে । বলে, ওসব দেখতে নেই । 

-- কি হয় দেখলে  ? 

-- জানিনা । 

বেশ রাগ দেখায় মিতা । 

আকাশে তখন শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ । ফাঁকা মাঠের ওপর দিয়ে পথ । কেমন যেন একটা ভয় ভয় করে মিতার । সে মধুর হাতটা চেপে ধরে । যেন পরম নির্ভরতার সে হাত । নির্ভয়ে সে হাত ধরে পথ চলা যায় । চাঁদের আলোয় ওকে আজ অপূর্ব সুন্দরী বলে মনে । মধু বেশ কিছুক্ষণ চেয়ে থাকার পর বললে, তুমি উত্তরার পাঠ করলে খুব ভালো হতো । 

-- হতো বুঝি ? কিন্তু আমি তো অভিনয় করতে পারিনা । 

-- আমি শিখিয়ে নেব । করবে তুমি অভিনয়  ?

মিতা বেশ কিছুক্ষণ থেমে থাকার পর বলে, না ।

মধু হতাশ হয় । ধীরে ধীরে মিতার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নেয় । একা একাই চলতে থাকে । মিতা কোনো কথা বলে না । শুধু মধুকে অনুসরণ করে । হঠাৎ চাঁদটা মেঘের আড়ালে চলে যেতেই বেশ কিছুটা ভয় পেয়ে যায় সে । দৌড়াতে দৌড়াতে মধুকে ধরে ফেলে । ওকে গভীর আলিঙ্গনে ধরে বলে, আমি সত্যিকারের উত্তরা হতে চাই । তুমি আমার অভিমন্যু । 

মধু দেখে এক নারীকে । উত্তরাকে । তার জীবনের প্রথম নারীকে । যার দৃষ্টিতে মায়াবী স্নিগ্ধতা ।

ঘরে ফিরে মিতা দুচোখের পাতাকে এক করতে পারেনা । এরই নাম হয়তো প্রেম । যে প্রেমের জন্য তার তৃষিত হৃদয় অপেক্ষা করছে । কিন্তু এতো অসম্ভব । তবু নিজেকে বোঝাতে পারেনা । মধুর আজকের স্পর্শ তাকে তার নিজের কাছ থেকেই বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে । 

পরপর দুদিন কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে দিয়ে কেটে যায় । দিবা রাত্রি শুধু একটাই ভাবনা । তৃতীয় দিন মধু এসেছিল কয়েকটা ছবি হাতে নিয়ে । মিতা ভেবেছিল ওকে ফিরিয়ে দেবে । কিন্তু পারলনা । 

মধু বলল, মা তোমাকে আগামীকাল যেতে বলেছেন । 

-- তুমি বলোনি  ? 

-- না মানে-- আসবে তো ?

-- হ্যাঁ ।

মিতা আজ একান্তে দেখল মধুকে । বেশ লম্বা হয়েছে । সেই সঙ্গে স্মার্টও । 

মধু ফিরে যেতেই অনেক ভাবল মিতা । এ সে কোথায় চলেছে ? এক কিশোরের ভালোবাসার প্রার্থী সে । যা অন্যায়, অসম্ভব ।স

তবু পরদিন নিজেকে নিয়ণ্ত্রণ করতে পারলনা । বিকেলের দিকে বেরিয়ে পড়ল অবুঝ প্রেমের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে । মধুদের বাড়িতে আসতেই বুঝতে পারল মাসিমা নয় মধুই নিমন্ত্রণ জানিয়েছে । বেশ দুষ্টু হয়েছে আজকাল ।

মধু বলল, আমি মিথ্যে বলেছি । 

-- কেন, কেন মিথ্যে বলেছ  ? 

-- তোমার জন্য । 

-- আমার জন্য  ?

ওর চোখদুটোর দিকে চেয়ে থাকে মিতা । 

ওর দৃষ্টিতে বোধহয় জাদু আছে । কিছুতেই সেই দৃষ্টি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে পারেনা । মিতা কোনো এক স্বপ্নের জগতে হারিয়ে যায় । যেখানে এক কিশোরের বাহুডোরের মাঝে নিজেকে সমর্পন করে । যে কিশোর গ্রহণ করে তার অনাঘ্রাত যৌবনের নৈবেদ্য । সে কিশোর আর কেউ নয়  -- তার অভি, অভিমন্যু । 

-- উত্তরা  ? 

-- অভি ।

অভিমন্যুর হাতে উত্তরা সমর্পন করে তার নারীত্বের নৈবেদ্য । 

মিতার জীবনে প্রথম পুরুষের স্পর্শ । 

মিতার চোখে জল । 

এই ঘটনার পর থেকে মিতা কেমন যেন একটা অজানা আশঙ্কায় শুকিয়ে যেতে থাকে । কারোর সঙ্গে ভালো করে কথা বলতে পারেনা । ভেতরে ভেতরে একটা ভয় ওকে কুরে কুরে খায় । সবসময় মনে হয় ' অভি ' যদি তার কাছ থেকে হারিয়ে যায় ? শেষ পর্যন্ত এক জটিল অসুখে আক্রান্ত হয় সে । কিন্তু অসুখটা যে কি সেটা ডাক্তাররাও বুঝতে পারছিলনা । 

কলকাতার মহাজাতি সদনে সারাবাংলা স্কুল ড্রামা কম্পিটিশন হবে । সেখানে উত্তরা অভিমন্যু নাটকের অভিনয় হবে । বিদায় নিতে এসেছিল মধু । মিতা ওকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে  , ফিরে এসে আর উত্তরা কে দেখতে পাবেনা  -- দেখো । 

মধু ওর মুখে হাত চাপা দিয়ে বললে, তুমি সবসময় খারাপ কথা বলো । দেখো আমরা বেঁচে থাকব আকাশে গায়ে নক্ষত্রদের মতো । 

মধু চলে যায় । মিতা চোখের জলে ভাসতে থাকে । 

সেদিন রাতে এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখল মিতা । এক মহাজাগতিক প্রাণী নেমে এল আকাশ থেকে । সেই মহাজাগতিক প্রাণী বললে, এস আমার সঙ্গে । 

-- কোথায়  ? 

-- আমি যেখানে বলব । 

-- সেখানে অভির সঙ্গে দেখা হবে  ? 

-- না । 

' তবে কেন এসেছ এখানে ? যাও, যাও এখান থেকে । ' মিতার চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল সবার । ওর মা জানতে চাইলে উত্তর দিতে পারল না । ক্রমে ঠাণ্ডা হয়ে এল ওর শরীর । ডাক্তার ডাকা হল । কিন্তু সবার প্রচেষ্টাকে থামিয়ে দিয়ে ভোরের দিকে মারা গেল সে । 

মধু কলকাতা থেকে ফিরে যখন মিতার কথা শুনল তখন উদ্গত কান্নাকে কোনোভাবে সংযত করল । নিজের ঘরে এসে মিতার ছবিটা বের করে বললে, উত্তরার মৃত্যুর তো কথা ছিলনা । 

কিন্তু অবরুদ্ধ কান্নাকে কিছুতেই আবদ্ধ রাখতে পারল না ।


চিত্র সৌজন্যঃ আন্তরজাল থেকে সংগৃহীত 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন