চিরাচরিত পোলাও তো আমরা বহুবার খেয়েছি। এছাড়া বাসন্তী পোলাও, চিকেন পোলাও ইত্যাদির সঙ্গেও আমরা বহুল পরিচিত। আজ জেনে নেওয়া যাক টম্যাটো গার্লিক পোলাওয়ের রন্ধন প্রণালী।
উপকরণ :
- বাসমতী চাল - ৫০০ গ্রাম
- রসুন কুচি - আধ কাপ
- পেঁয়াজ কুচি - ১ টা
- টম্যাটো কুচি - আধ কাপ
- গোটা গোলমরিচ - ৭/৮ টা
- তেজপাতা - ২ টি
- জয়িত্রীর পাপড়ি - ২ টি
- গোটা গরম মশলা
- গোটা জিরে - ১ চামচ
- সাদা তেল - আধ কাপ
- ঘি - ১ কাপ
- নুন ও চিনি স্বাদমতো
প্রণালীঃ
- চাল ধুয়ে আধ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে।
- কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে আঁচে বসাতে হবে।
- তেল গরম হলে ফোড়ন হিসাবে পড়বে গোটা জিরে, গোটা গরম মশলা, তেজপাতা, জয়িত্রী ও গোটা গোলমরিচ।
- সুগন্ধ বেরোনোর পর পেঁয়াজ দিতে হবে। পেঁয়াজ একটু নরম হলে রসুন যোগ করে এমনভাবে ভাজা ভাজা করতে হবে যাতে রসুন লালচে ভাব না নেয় এবং পুড়ে না যায়, কিন্তু সুগন্ধ বেরোয়।
- টম্যাটো দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করার পর চাল যোগ করতে হবে।
- নুন মিষ্টি দিয়ে সামান্য নেড়েচেড়ে পরিমাণ মতো জল যোগ করতে হবে। বেশি জল যোগ করা যাবে না, নয়তো পোলাও গলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।
- জল শুকিয়ে যাওয়ার পর ঘি যোগ করে আঁচ সামান্য কমিয়ে ৫-৭ মিনিট দমে বসিয়ে রাখতে হবে। চিকেন কারি বা মাটন কষার সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
মাশরুম চিকেনঃ
আলাদা আলাদা ভাবে মাশরুমের ও চিকেনের পদ রান্না করা তো বিশেষ কোনো ব্যাপারই নয়। কিন্তু এই দু'টি উপকরণ যদি একইসঙ্গে রান্নায় ব্যবহার করা যায়! সেই রেসিপিই জেনে নেবো।
উপকরণঃ
- টুকরো করা চিকেন - ৭০০ গ্রাম
- বটম মাশরুম - ২৫০ গ্রাম
- ক্যাপসিকাম - ১ টা
- মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ - ৩ টি স্লাইস করে কাটা
- আদা বাটা - দেড় চামচ
- রসুন বাটা - ২ চামচ
- গোলমরিচ গুঁড়ো - ১ চামচ
- গরম মশলা গুঁড়ো - ১ চামচ
- দুধ - আধ কাপ
- দই - ৩ চামচ
- সাদা তেল - ২ বড় চামচ
- নুন স্বাদমতো
প্রণালীঃ
- কড়াইতে তেল দিয়ে গরম হওয়ার পর পেঁয়াজ কুচি যোগ করে ভাজতে হবে যাতে পেঁয়াজ নরম হয়, কিন্তু রঙ না ধরে।
- চিকেনের টুকরো দিয়ে তার মধ্যে নুন ও রসুনবাটা যোগ করার পর ঢাকা দিয়ে ঢিমে আঁচে রান্না করতে হবে। মাঝেমধ্যে ঢাকনা খুলে নাড়াচাড়া করতে হবে। এই পদটিতে চিকেন জল ছাড়া রান্না হবে, সেই কারণে একেবারে ঢিমে আঁচে রেখেই মাংস সেদ্ধ করতে দিতে হবে।
- ৫-৬ মিনিট পর আদাবাটা ও মাশরুম দিতে হবে। আগে থেকে হালকা করে ভেজে রাখা লম্বা করে কাটা ক্যাপসিকাম যোগ করতে হবে।
- এবার গরম মশলা গুঁড়ো মিশিয়ে আরো কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে।
- তারপর যোগ করতে হবে গোলমরিচ গুঁড়ো। দুধ ও দই একত্রে ফেটিয়ে নিয়ে রান্নায় মিশিয়ে কিছুক্ষণ ফুটে ওঠার পর গ্যাস বন্ধ করে দিতে হবে।
কুলফির পায়েসঃ
এই গরমে শরীর ও মনকে শীতল করার জন্য কুলফির পায়েসের চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে!
উপকরণঃ
- মিল্কমেড - ১ টিন
- গরুর দুধ - আধ লিটার
- গাঢ় ক্রিম - আধ কাপ
- গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো - ২ চামচ
- কিশমিশ - ২ চামচ
- শোনপাপড়ি - ৪/৫ টি
- কর্ন ফ্লাওয়ার - ২ চামচ
- পেস্তা কুচি - ১ চামচ
- কিশমিশ কুচি পরিমাণ মতো
- কেওড়ার এসেন্স - ২ ফোঁটা
প্রণালীঃ
- ঠান্ডা দুধে ময়দা ও কর্ন ফ্লাওয়ার গুলে ভালো করে মিশিয়ে আঁচে বসাতে হবে। এর মধ্যে পেস্তা কুচি ও কিশমিশ কুচি যোগ করতে হবে।
- দুধ ঘন করা হয়ে গেলে ঠান্ডা করার পর ক্রিম মিশিয়ে কুলফির ছাঁচে ভরে ডিপ ফ্রিজে সারারাত জমতে দিতে হবে।
- বাকি মিল্কমেড ও দুধ চালের গুঁড়ো ও কিশমিশ কুচি মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে মাঝারি ঘন করতে হবে।
- কুলফি তৈরি হয়ে গেলে পরিবেশনের সময় প্লেটে এক হাতা পায়েস ঢেলে শোনপাপড়ি গুঁড়ো করে ছড়িয়ে পেস্তা কুচি ছড়িয়ে দিতে হবে।
- কুলফি লম্বালম্বি কেটে দু'টুকরো করে এর উপর রাখতে হবে। পরিবেশনের আগে কেওড়ার এসেন্স ছড়িয়ে দিতে হবে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন