বললেই হতো - শম্পা সাহা


 

       

 

তুমি শুধু শরীর চেয়েছিলে!

সোজাসুজি বললেই হতো।

আমি তো ভালোবাসা ভেবেছিলাম!

নিজেকে তাই মেলে দিয়েছি আশ্বিনের উঠোনের মত,

তোমার ভালোবাসার শিশির গায়ে মাখবো বলে।

হেমন্তের পাকা ফসল ভরা মাঠের মত সোনালী আদুর গায়ে থমকে দাঁড়িয়েছি,

কবে তুমি পাকা কৃষকের মত একফালি একফালি করে আমাকে টেনে নেবে

 তোমার গোলার নিভৃত অন্তরালে!

বর্ষার খোলা নদীর মত আমাকে ভিজিয়ে যখন তুমি ঝাঁপাবে,

আমি শক্ত আলিঙ্গনে তোমায় আপন করবো বলে,

দু'হাত মেলে দাঁড়িয়েছিলাম।

 

কিন্তু তুমি প্রেমিকের মত আমার ঘোমটা তোলোনি,

চোখের সলাজ চাহনি খেয়ালও করোনি।

তোমার যে বড্ড তাড়া ছিল!

তুমি লুটে নিতে চেয়েছিলে আমায়, পান করতে চেয়েছিলে আকন্ঠ!

 

আজ আমি ফাঁকা উঠোন এক, রিক্ত গেরস্থের ভাঙা বেড়ার পাশে, 

কোনো এককালের সংসারের চিহ্ন নিয়ে।

শূণ্য, রিক্ত,খা খা মাঠে শুধু কুয়াশা উঁকি মেরে খোঁজ নিয়ে যায়।

চাষীদের আবাদ আজ অন্য গাঁয়ে।

আমার বুকে বর্ষণ হিসেবে নামোনি‌, সব জল

খাল কেটে পাঠিয়েছো ন্য ফসলি জমিতে।

আমি শুকনো নালার মত, হতবাক!

অসীম বিস্ময়ে আজও বোঝবার চেষ্টা করছি.

শরীর চাও সেটা বললেই তো হতো!

যন্ত্রনা এতটা তীব্র হতো না!

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন