বয়সের ভারে কুঁকড়ে গেছেন আমার বাবা। ঠিক মতো কথা বলতে গেলেও
এখন হাঁপাতে থাকেন।সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোনো অবস্থা। তাই পড়াশোনা শেষ করার পর
বেহাল সংসারের খরচ জোগাতে টিউশনি করতাম। কিন্তু লকডাউনে গৃহবন্দী হবার পর থেকে
সেটাও হারাই।
গত বছর আজকের দিনেই চাকরির মেরিট লিস্টে আমার নামটা দেখে
বাবা স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করে বলেছিল-- “যাক, এবার তোর চাকরিটা দেখে আমি নিশ্চিন্তে মরতে পারব। “
বাবার মৃতদেহের সামনে বসে হঠাৎ করেই আমার সেদিনের কথাটা মনে পড়ে গেল।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন