তোমার আমার এক উচ্চারণে
এপিটাফের আহ্লাদ।
একাকিত্বের ঘষা কাঁচ আর
অভিমানের জংশন এই দৃশ্যে বিরল।
রুমালের অজুহাতে মুখোমুখির
গন্ধ শিকারী নজরের কার্নিশে মগ্ন,
বিশ্বাসের কপাল পাহারায়
বোনে শতক যত্নের নিমগ্নতা।
আগলে রাখা সমাজে রোদ
নামতার প্রতিজ্ঞা গুনি।
হঠাৎ, সময়ের
অসুখ দুরত্বের ঘ্রাণে
প্রতিশোধের
সন্ধ্যা নামায়।
বিচ্ছেদের বিষন্ন চোখে মন
হীন শহরের হাহাকার।
পিছুটানের কান্না দরজায়
ক্ষতের আমন্ত্রণপত্র ডাক বাক্সে জমাট করে।
জন্মান্তরের জোনাকিরা তখন
দুরের আত্মীয়।
আটলান্টিক মহাসাগর থেকে
এস্কিমোদের পিছল শুকনো হাওয়ায় সংকেত বোনে।
আক্ষেপের ঈশ্বর এলেমেলো
চন্দনে অতীত বিষের নীল দাগ মাখছে।
প্রস্থানের ঝড় অভিযোগের
সমুদ্রে গোসল করছে।
আমি জমিয়ে রাখা আড্ডায়
ব্যস্ততার উপশম খুঁজেছিলাম।
সমান্তরাল রাস্তায় তুমি
হীনা বয়কট রাজনীতি করছি।
পারস্পরিক সমাজে বেদুইন
সন্ধ্যায় চিত্রাঙ্গদা নাটকের সংলাপ অসমাপ্ত রেখেছি।
লালজল মাপছে সংকটের কনভয়।
সুখ পাখীর সমারোহ আর
চিলেকোঠা পেরিয়ে হানা দেবেনা বুঝলে,
ছোলা মুড়ি রুটির কৌটো যে
শূন্যতা পূরণে ব্যর্থ।
আমি কালো হাতে জেহাদ আঁকব
বৃষ্টি ভেজা মানুষের চক্রান্তে।
ভাঙনের কবলে কুড়িয়ে নেব
শিউলির সুর চোখের রক্তে।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন