রিক্তা বয়ে চলে একা একটি খেয়ায়। নিজেই দাঁড় টানে। এই টানা যে শিখিয়েছিল সে আজ বহুদূর এক অনন্ত টানে। রিক্তা সদ্য বিধবা। বয়সে খুব অল্প মাত্র বত্রিশ বছর। তার মধ্যেই তার জীবন শেষ। যদিও সবাই বলছে তাকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে। কারণ জীবন কারোর জন্য থেমে থাকে না। সে একাই আপন বৃত্তের মধ্যে ঘুরবে। পৃথিবী যেমন ভাবে ঘুরে চলে।
ভালোবেসে বিয়ে। বড় ভালো
মানুষ ছিল সুহৃদ। একেবারেই মনের মানুষ। বড় ভালোবাসা ছিল দুজনের মধ্যে। রিক্তাকে সে
সাইকেল থেকে গাড়ি চালানো শিখিয়েছিল নিজের হাতে ধরে। বন্দুক চালানো, পাহাড়ে চড়া সব কিছুই। একেবারে সাবলম্বী করে
দিয়েছিল সে। এই খেয়া চালানো তারই কৃতিত্বের। সব শেষ হল।
বিয়ে হল। সানাই থেমে গেল
হঠাৎই। হয়তো আনন্দে নয়তো উত্তেজনায় সুহৃদের জীবন সানাই থেমে গেল হার্ট এট্যাকে।
আবার সেটা কবে? একেবারে ফুলশয্যার রাতেই।
মধুর মিলনে খেদ পড়ে গেল।
রিক্তা ঘুরে দাঁড়ানোর পথই
বেছে নিল। সমাজ প্রতিবেশী এবং অল্পসংখ্যক আত্মীয়দের গ্লানি অতিক্রম করে কিছু ভালো
মানুষের আহবানে সে সাড়া দিতেই জেগে উঠতে মনস্থির করে ফেললো।
একটি বেসরকারি বয়স্ক নারী
বিদ্যালয়ে সামান্য বেতনের একটি চাকরিতে রাজি হয়ে গেল।
এযেন সুহৃদেরই আর এক
ইচ্ছা!
ধন্যবাদ জানাচ্ছি সকলকে --
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন