কোথায় পেলি বাসন্তী রঙ,কোথায় পেলি শাড়ি,
কে তোকে আজ পড়িয়ে দিল গয়না ভারি ভারি।
মাথায় দেখি ফুলের মুকুট, কানজোড়া কানপাশা,
আনন্দে তোর রুদ্ধ গলা, নেইকো মুখে ভাষা।
তুই তো আমার মনের মতন, প্রাণের প্রিয়ধন-
তোর জন্য চিন্তা আমার দিনরাত অকারণ।
তুই তো আমার ছ'বছরের ছোট্ট ফুলের মালা,
ফুলের সাজে হারিয়ে গেছে,এক্কা দোক্কা খেলা।
কে দিল মা রাণীর আসন, তার নীচে আলপনা,
রঙ বেরঙের ফুলের মাঝে, মিষ্টি হাসিখানা।
ওমা! আজ কি হল মন্ত্র পাঠ, করেন পুরোহিতে-
ধূপ দীপ আর শঙ্খ ঘন্টা বাজে আচম্বিতে।
বেলপাতা আর ফুলদুব্বোয় তোর পায়ে মা পূজা -
কি করে তুই হয়ে গেলি বল,দুর্গা দশভূজা।
কে দিল মা সাজিয়ে তোকে,বসন,ভূষণ,গন্ধে ,
বেশ তো ছিলাম সুখে দুজন,আমরা ভালমন্দে।
আজকে আমি ঠিক জেনেছি,মহাষ্টমীর রাতে,
কুমারী পূজা সাঙ্গ হল,পূর্ণ হল,শুদ্ধ শাস্ত্র মতে।
আজকে আমি শুনছি মাগো উমা নাকি তোর নাম!
প্রণাম নে মা জননী আমার,পূর্ণ করিস মনস্কাম।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন