একবিংশ শতকে দাঁড়িয়েও লিঙ্গ বৈষম্য এখনও যথেষ্ট বিতর্কিত একটি বিষয়। খাতায় কলমে নারী - পুরুষ সমান অধিকার এবং সমান সুযোগ প্রাপ্য হলেও, বিষয়টা অনেকটা 'প্রত্যাশা বনাম বাস্তবতা ' এই শিরোনামের আড়ালে ঢাকা পড়ে থাকা কিছু তত্ত্ব মাত্র, ব্যবহারিক জীবনে যার প্রয়োগ নেই বললেই চলে। জীবনের প্রতিটা ক্ষেত্রে তাই নারীদের সাফল্য অথবা অবদান কোনোটাই খুব একটা চর্চিত বিষয় নয়, বরং কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া এক একটা অধ্যায় মাত্র।
বিজ্ঞান
বা প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও এই বৈষম্য কিন্তু যথেষ্ট প্রকট। বৈজ্ঞানিক বললেই যে ভাবে আজ
সি ভি রামন, মেঘনাদ সাহা অথবা আব্দুল কালামের ছবি আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে, সেভাবে
কোনো নারী বৈজ্ঞানিকের ছবি তো দূর, নামও কি মনে করতে পারি আমরা? অথচ সেই সুপ্রাচীন
কাল থেকেই কিন্তু পুরুষের পাশাপশি দুনিয়াব্যাপী
নারীরাও সমানভাবে বিজ্ঞানের জয়োধবজা উড়িয়ে চলেছে আর আমাদের দেশের নিরিখেও
এই সংখ্যাটা কিন্তু নেহাত কম না। এমনই কিছু নারী বৈজ্ঞানিক এবং তাঁদের অবদানকে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠিয়ে এনে বর্তমানের
মাটিতে দাঁড় করানোর একটা ছোট্ট প্রয়াস করলে মন্দ কী?
কাদম্বিনী
(বসু) গাঙ্গুলি (১৮৬১ - ১৯২৩):
কাদম্বিনী ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনে থাকা পরাধীন ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা স্নাতক। এছাড়াও তিনি ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা চিকিৎসক যিনি পাশ্চাত্য চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কলকাতা মেডিকেল কলেজে মেডিসিনে অধ্যয়ন করে ১৮৮৬ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
আনন্দী
গোপাল যোশী (১৮৬৫ - ১৮৮৭)
আনন্দী গোপাল যোশী ছিলেন পরাধীন ভারতবর্ষের একমাত্র মহিলা যিনি ১৮৬৬ সালে ওয়েস্টার্ন মেডিসিনে ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার মহিলা মেডিকেল কলেজ থেকে স্নাতক লাভের সাথে সাথে বিদেশ থেকে ডাক্তারি ডিগ্রিধারী প্রথম ভারতীয় মহিলার খেতাব কুড়িয়ে নেন।
আন্না
মানি (১৯১৮ - ২০০১)ঃ
ভারতীয় পদার্থবিদ এবং আবহাওয়াবিদ আন্না মানি ছিলেন ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাবেক উপ-মহাপরিচালক। আবহাওয়া সংক্রান্ত যন্ত্রের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান ভারতীয়রা মনে রাখুন বা নাই রাখুন, ইতিহাসের পাতায় তা স্বর্ণাক্ষরে রচিত হয়ে আছে। ইম্পেরিয়াল কলেজ অফ লন্ডন থেকে তিনি আবহাওয়া সংক্রান্ত যন্ত্র সমন্ধে অধ্যয়ন করেন এবং ১৯৪৮ সালে ভারতে ফিরে আসার পর পুনেতে আবহাওয়া বিভাগে যোগদান করেন। তিনি ওজোন, সৌর বিকিরণ এবং বায়ু শক্তি পরিমাপের উপর অসংখ্য গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন। এছাড়াও ১৯৮০ সালে আন্না মানি "The Handbook for Solar Radiation data for India" এবং ১৯৮১ সালে "Solar Radiation over India" নামে দুটি বই রচনা করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ওনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে কে আর রমানাথন মেডেল দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
কল্পনা
চাওলা (১৯৬২ - ২০০৩):
প্রথম ভারতীয় - আমেরিকান নভোচরী এবং ভারতীয় মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার নাম কমবেশি সকলেই জানেন। ১৯৯৭ সালে তিনি কলম্বিয়া থেকে প্রথম মিশন বিশেষজ্ঞ এবং প্রাথমিক রোবোটিক আর্ম অপারেটর হিসেবে স্পেস শাটলে উড়েছিলেন। কল্পনা চাওলার অবিস্মরণীয় অবদানের কথা মাথায় রেখে নাসা প্রধান তাঁকে "terrific astronaut" হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন। ১ ফেব্রুয়ারী , ২০০৩ সালে, চাওলা সহ একটি সাত সদস্যের ক্রু সহ মার্কিন মহাকাশ শাটল কলম্বিয়া ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে অবতরণ করার কিছুক্ষণ আগে কেন্দ্রীয় টেক্সাসের উপর অগ্নিকাণ্ডে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়়।
রাজেশ্বরী
চট্টোপাধ্যায় ( ১৯২২ – ২০১০)ঃ
৬০ বছর আগে রাজেশ্বরী চ্যাটার্জি ছিলেন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের একমাত্র মহিলা ফ্যাকাল্টি। তিনিই প্রথম মহিলা বিজ্ঞানী যিনি ভারতে মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অ্যান্টেনা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গবেষণা শুরু করেছেন। ১৯৪৯ সালে, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান ইউনিভার্সিটি থেকে তড়িৎ প্রকৌশলে এমএস ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের ইলেক্ট্রো-কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং চেয়ারপারসন হিসাবে অবসর গ্রহণ করেন।
ডাঃ
ইন্দিরা হিন্দুজা ( ১৯৪৬):
ইন্দিরা হিন্দুজা প্রথম ভারতীয় মহিলা যিনি ভারতবর্ষের বুকে ১৯৮৬ সালে টেস্টটিউব বেবির জন্ম দেন। এছাড়াও তিনি গেমেট ইন্ট্রা ফ্যালোপিয়ান ট্রান্সফার (GIFT) পদ্ধতির পথপ্রদর্শক ছিলেন যা ১৯৮৮ সালে ভারতের প্রথম GIFT শিশুর জন্মে সাহায্য করেছিল। একজন ভারতীয় স্ত্রীরোগ, প্রসূতি এবং বন্ধ্যাত্ব বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি মেনোপজ এবং প্রিম্যাচিওর ওভারিয়ান ফেইলিওর রোগে আক্রান্ত মহিলাদের জন্য উসাইট ডোনেশন পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন।
ডাঃ
সুমন সাহাই:
ডাঃ সুমন সাহাই ভারতে জিন ক্যাম্পেইনের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি লক্ষ লক্ষ ভারতীয় কৃষকের কণ্ঠস্বর। বর্তমানে ১৭টি রাজ্যে তার কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে চলেছে। ডি সাহাই বিশ্বাস করেন যে 'প্রকৃতির প্রযুক্তি মানবতার চাহিদা মেটাতে পারে'। তিনি তাঁর কাজের মাধ্যমে ভারত সরকারকে ভারতীয় কৃষকদের প্রকৃত সমস্যার দিকে নজর দিতে বাধ্য করেন।
নিনা
টান্ডন (১৯৮০)
Epi-bone কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও নিনা ট্যান্ডন একজন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। এই কোম্পানির মূল লক্ষ্য হলো মানুষের স্কেলিটন পুনর্গঠনের জন্য অস্থি নির্মাণ। স্টেম সেল থেরাপির মূল মন্ত্রকে কাজে লাগিয়ে হাড়ের গঠনগত ত্রুটি সংশোধন করে বর্তমান চিকিৎসা বিজ্ঞানে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছে নিনা ট্যান্ডনের এই কোম্পানি। শুধু তাই নয়, একই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ল্যাবের কৃত্রিম পরিবেশে তিনি বানিয়ে ফেলেছেন স্পন্দিত হৃদপিন্ড। ওনার এই অসাধারণ কর্মকাণ্ডের জন্য foreign policy ম্যাগাজিন ২০১৫ সালে গ্লোবাল থিঙ্কার শিরোপা দিয়েছে।
তবে
শুধুমাত্র ভারতবর্ষই নয়, নারী বৈজ্ঞানিকের বিশ্বব্যাপী পরিসংখ্যানও কিন্তু যথেষ্ট
উল্লেখযোগ্য। সময়রেখা ধরে পিছনের দিকে হেঁটে গেলে দেখতে পাবো নারীরা পৃথিবীর বিভিন্ন
প্রান্তে বসে নীরবে কত যুগান্তকারী ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে প্রতিমুহূর্তে। সেই সুপ্রাচীনকাল
থেকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে নারীরা যে রাজসূয় যজ্ঞের আয়োজন করেছিলেন, তার কিছু মাত্র
অগ্নিস্ফুলিঙ্গের সাথে আজ পরিচয় করা যেতেই পারে।
ক্যাথরিন
জনসন (১৯১৮-২০২০)ঃ
শুধুমাত্র প্রথম মহিলাই নন, একজন কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান - আফ্রিকান গণিতবিদ এবং নাসা বৈজ্ঞানিক হিসাবে ক্যাথরিন জনসনের যুদ্ধটা নেহাত কম ছিল না। নাসা স্পেসক্রাফটের ফ্লাইট পথ সংক্রান্ত সমস্ত গণনার কৃতিত্বের অন্যতম ভাগীদার ক্যাথরিন। ওনার নির্ভুল গণনাই আমেরিকানদের পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাতে এবং চাঁদের মাটিতে পা রাখতে সাহায্য করে। বিজ্ঞানে ওনার অসামান্য অবদান শুধুমাত্র নাসার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থেকে, ২০১৬ সালে সেলুলয়েডের রুপোলি পর্দায় উঠে আসে "hidden figures" নামে।
মেরি
কুরি (১৮৬৭-১৯৩৪)ঃ
মেরি কুরি ছিলেন একজন পদার্থবিদ এবং রসায়নবিদ যিনি তেজস্ক্রিয়তার উপর বহু মূল্যবান গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন। তিনি দুটি নতুন রাসায়নিক উপাদান আবিষ্কার করেন: রেডিয়াম এবং পোলোনিয়াম। শুধু তাই নয়, মেরি কুরিই ছিলেন প্রথম বৈজ্ঞানিক যিনি টিউমারের এবং ক্যান্সারের চিকিৎসায় তেজষ্ক্রিয় বিকিরণের প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করেন।পরবর্তী কালে তিনি কুরি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন যা বর্তমানে প্যারিস এবং ফ্রান্সের ক্যান্সার গবেষণা এবং রেডিয়েশন থেরাপির উল্লেখ্যযোগ্য কেন্দ্র। মেরি কুরি ছিলেন একমাত্র মহিলা যিনি দু' বার, দুটি ভিন্ন বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন।
এলিজাবেথ
গ্যারেট অ্যান্ডারসন (১৮৩৬-১৯১৭)ঃ
এলিজাবেথ গ্যারেট প্রথম মহিলাদের জন্য মেডিসিনের স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। অষ্টাদশ শতকে সমাজে নারীরা যখন নিজেদের অধিকারের কথাই মুখ ফুটে প্রকাশ করতে অপারগ ছিলেন, সেই পরিস্থিতিতে এলিজাবেথ প্রথম একজন মহিলাকে তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলের স্টাফদের নেতৃত্ব প্রদানের দায়িত্ব অর্পণ করেন। পরবর্তী কালে মেডিক্যাল স্কুলের প্রথম মহিলা ডিন এবং ইংল্যান্ডের প্রথম মহিলা মেয়র হিসেবে নিযুক্ত হন তিনি।
চিয়েন-শিউং
উ (১৯১২-১৯৯৭)ঃ
চিয়েন-শিউং উ ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী একজন চীনা অভিবাসী, যিনি পদার্থবিদ্যা বিভাগে প্রথম মহিলা ফ্যাকাল্টি সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরে তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি নিয়ে ম্যানহাটান প্রকল্পে যোগ দেন, যার ফলস্বরূপ তৈরি হয়েছিল পারমাণবিক অস্ত্র। তাঁর গবেষণা প্রমাণ করেছে যে অভিন্ন কণা সবসময় একইভাবে আচরণ করে না। অবশেষে চিয়েন - শিউং উ তাঁর অসামান্য বিজ্ঞান সাধনার জন্য ১৯৭৮ সালে পদার্থবিজ্ঞানে উদ্বোধনী উলফ পুরস্কারে ভূষিত হন এবং "পদার্থবিজ্ঞানের প্রথম মহিলা" উপাধি পান।
রোজালিন্ড
ফ্র্যাঙ্কলিন (১৯২০-১৯৫৮)ঃ
ব্রিটিশ রসায়নবিদ রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন ডিএনএ, আরএনএ, ভাইরাস, কয়লা এবং গ্রাফাইটের আণবিক কাঠামো আবিষ্কারের জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এক্স-রে ক্রিস্টালোগ্রাফি নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে, তিনি ডিএনএর হেলিকাল আকৃতি প্রথম প্রকাশ করেছিলেন। অথচ এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের পরেও ওনার অবদান আজও সেরকম ভাবে স্বীকৃতি পায়নি, বরং জেমস ওয়াটসন এবং ফ্রান্সিস ক্রিককেই আজও ডিএনএ গঠনের পথিকৃত্ হিসাবে মানা হয়ে থাকে।
সুনেত্রা
গুপ্ত (১৯৬৫)ঃ
বর্তমান যুগের পলিম্যাথের জনক সুনেত্রা গুপ্ত কলকাতায় জন্মগ্রহণকারী, মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের নাগরিক। তিনি যে শুধুমাত্র অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তাত্ত্বিক এপিডেমিওলজির অধ্যাপকই নন, অন্যদিকে তিনি একজন ঔপন্যাসিক এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতার অনুবাদকও। সাহিত্য চর্চা বাদ দিয়ে সুনেত্রা গুপ্তের আগ্রহ এইচআইভি, ম্যালেরিয়া, ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মত সংক্রামক রোগের বাহক এবং তাদের বংশবিস্তার। প্যাথোজেনের বৈচিত্র্যের বিবর্তনের উপর গবেষণার জন্য তিনি ২০০৯ সালে রয়্যাল সোসাইটি রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন পুরস্কার লাভ করেন।
২০২০
সালে কোভিড-19 মহামারী চলাকালীন, সংক্রামক রোগ এবং মহামারীবিদ্যায় সুনেত্রা গুপ্তার
পারদর্শিতা এবং দক্ষতা তাঁকে সরকারী প্রতিক্রিয়ার স্পষ্ট সমালোচক করে তুলেছিল । যদিও
বিজ্ঞানে তাঁর অবদান প্রশ্ন করার কোনো অবকাশই রাখে না, তবুও সুনেত্রা গুপ্ত
সম্পর্কে সবথেকে আকর্ষণীয় বিষয় হলো বিজ্ঞান ও সাহিত্যের মধ্যে সংযোগ সম্পর্কে তাঁর
অনুসন্ধান। তাঁর উপন্যাসও তাঁর গবেষণার পাশাপাশি সমানভাবে সমাদৃত হয়েছে। সুনেত্রা
গুপ্তর সর্বশেষ উপন্যাস, 'সো গুড ইন ব্ল্যাক', ২০১১ সালে ক্লকরুট বুকস দ্বারা প্রকাশিত
হয় এবং ২০১৩ সালে দক্ষিণ এশীয় সাহিত্যের জন্য ডিএসসি পুরস্কার অর্জন করে।
সিনথিয়া
কেনিয়ন ( ১৯৫৪)ঃ
মানুষকে
অমরত্বের পথে যাত্রা করাতে অগ্রগামী এক নারী বৈজ্ঞানিক সিনথিয়া কেনিয়ন। বার্ধক্য
সম্পর্কিত তার জেনেটিক গবেষণা এমন একটি জিনকে শনাক্ত করতে সমর্থ হয়েছে যা আমাদের জীবনকে
প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘায়িত করতে পারে। বর্তমানে তিনি গুগল প্রতিষ্ঠিত ক্যালিকোতে কর্মরত
এবং তাঁর মূল লক্ষ্য মানুষের বার্ধক্যজনিত রোগ প্রশমিত করে গড় আয়ু দীর্ঘায়িত করা।
বলাই
বাহুল্য, বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে নারীর অবদান প্রসঙ্গে এই কয়েকজন মুষ্টিমেয় বৈজ্ঞানিকের
উল্লেখ নিসন্দেহে হিমশৈলের চূড়া মাত্র। তবুও অভিবাদন জানাই সেই সব ইতিহাসের পাতায়
হারিয়ে যাওয়া, স্বল্প পরিচিত নারীদের অথবা যারা আজও নিজেদের মেধা এবং জ্ঞানের আলোয়ে
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জগতে বিচ্ছুরণ ঘটিয়ে চলেছেন ক্রমাগত। কুর্নিশ সেই নারীদের সংগ্রাম,
জীবন যুদ্ধ এবং সমাজ কল্যানে উৎসর্গীকৃত তাঁদের অসংখ্য বিনিদ্র রজনীকে।
চিত্র সৌজন্যঃ আন্তর্জাল
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন