ভবঘুরে - তুহিন নাথ



 

আমি হেঁটে চলেছি , প্রজন্মের পর প্রজন্ম

যেন রক্ত ছেটানো পেঁচালো কোনো ধমনীর মধ্যে দিয়ে ,

অনন্ত এক সীমায়

যতদূর চলে যায় রাস্তার ধারে টিমটিম করে জ্বলন্ত আলোর ফোয়ারা

সেই ফোয়ারায় সমান্তরাল আলোর স্ফুলিঙ্গের মাঝে পরে থাকি আমি,

শুধু শূন্য আর শূন্য

সেই কোন শূন্যের ঘরে ঘুরপাক খেলায়

আমার চলমান ঘুম ভাঙে কার্তিকের জ্যোৎস্নার আলতো স্পর্শে

সেই স্পর্শের আঘাতে খসে পড়া সিগারেটের ছাই আড়াল করে

আমার জুতোর তলার আলকাতরা

আর আমি অবুঝ বেচারা ভাবি সেই আড়ালে,

ভবঘুরে হলাম সবশেষে!

 

আমি হেঁটে চলেছি,

দূর বহুদূরে,

শত পা ফেলা পিচের তৈলাক্ত আবরণে

কতো আদরের বর্ষণ ঝরে এই শহরের,

সেই শহরের ষড়ঋতুর গা বেয়ে আসে কতো আবেগের উষ্ণতা

কোথাও থামে ,

কোথাও বা জমে যায় শহরের রক্তজমাট উপশিরায়।

আমার পোড়া শরীরে রক্তের বড়োই অভাব

চারিদিকে সব চাওয়া পাওয়ার লাশের পোড়া গন্ধ,

তারই মাঝে,

প্রত্যাখ্যানের মুচড়ানো রক্তিম গোলাপ সাথে নিয়ে

অদৃশ্য ভবঘুরে হলাম আজ।

 


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন