সেই যে পলাশপথের কথা বলেছিলাম, মনে আছে?
পদাবলী জড়ানো প্রতি পদক্ষেপে দেখেছি কি নির্বিবাদে
পথকে ভালোবাসা যায়।
সেই যখন ঘরে আলো নিভে আসছে ক্রমে,
আসলে ঘরে তো নয়,
চোখে পুরু কল্পনার চন্দ্রাতপ,
তার একটা কাঁচ গেছে ভেঙে,
সব আবছা তোমার মুখের মতো,
সেই ঘরে সেই যে নিজেকে ছুঁড়ে ফেলার এলোমেলো বিছানা
আর বাইরে আগুন ছড়ানো পথ,
সব মিলিয়ে একটা ঘোর,
একটা মায়ামৃদঙ্গ বেজে চলেছে বুকের মধ্যে,
যেমনটা হয়েছিল কয়েকযুগ আগে তোমায় খোলা চুলে দেখে।
মৃদঙ্গে সুর কি বাঁধতে পারতেন রবীন্দ্রনাথ,
নাকি নিজেই বেজে উঠতেন?
তুমি জানবে ভালো।
এক বিন্দু তুমি থেকে দ্বিধাবিভক্ত সুর ও স্রোত
আমায় ভাসিয়ে নাও নিশি, আচ্ছন্নতায়।
বুকে পাথর তোমারও আছে?
তাহলে আর আঘাতের কাছে ফিরতে স্মৃতির কাছে যেতে হবে না।
তোমার বুকে ভাসতে ভাসতে
কোনো কোনো পাথরে লেগে তৈরি হবে নতুন স্মৃতি,
খোয়াই আর এর রবীন্দ্রনাথের কুড়ানো নুড়িরা থাকুক সাক্ষী।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন