শীর্ণকায় লোকাল শরীরটা রাস্তার একপাশে,
পায়ে হাতে হাজা পড়ে থাকে আস্তাকুঁড়ের গা ঘেঁষে
ভন্ ভন্ শব্দে মাছিরা,
রোজ খবর নিতে ভুল না করলেও,
ঠিকানা একই থাকে অভ্যাস বশে।
সামনে শ্যাওলা পড়া ইঁটের দেয়ালে
আগাছা জন্মেছে বহুকাল ধরে,
জরা,জীর্ণ পলেস্তরা খসে গেছে এধারে সেধারে,
কান থাকতেও তারা বধির, রা কাড়ে না সব দেখে শুনেও;
বড় বাড়িতে রাতের চকমকি আলোয়,
ভোট জেতার সেলিব্রেশন পার্টি চলছে,
রাশি রাশি খাবারে ভর্তি হচ্ছে,
মোড়ের ডাস্টবিনটা।
এঁটো কাঁটা খাওয়া কুকুরগুলো
গা শুঁকে কাছে এসে বসে,
স্যাঁতস্যাঁতে, দুর্গন্ধ ভরা চাদরটাকে নিয়ে
তারা টানাটানি করে,
তারপর আবার ছেড়েও দেয়।
অন্যের জিনিস নেওয়া বারণ।
ওরা দু'জনেই জানে,
তবুও সকালের আলোয়,
সরকার কেন ওদেরই আগে নির্বস্ত্র করে?!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন