রতনবাবু মরণাপন্ন। ডাক্তার জবাব দিয়েছেন। শেষ ভরসা ঠাকুর
জল। সে চেষ্টা ও বিফল হয়েছে। বিধান দিবারাত্র বাবার সেবা করছে।তিন ছেলের মধ্যে
বিধান অশিক্ষিত।বুদ্ধি ছিল না এমন নয়, কিন্তু
বদসঙ্গ তাকে বিকশিত হতে দেয়নি।বাকি দুই ছেলে অবনি এবং অরিন পড়াশোনা করে ভালো চাকরি
করছে। বিধান বাড়িতে থাকে, সম্পত্তি দেখাশোনা করে। মাসান্তে
টাকা পাঠিয়ে দেয়। নিয়মিত বাবা মায়ের খোঁজ খবর নেয়। বিধান কতবার তার বাবাকে
বুঝিয়েছে সব সম্পত্তি তার নামে লিখে দিতে।বিধান মাকে লাগিয়েছিল বাবাকে বোঝানোর
জন্য। বাবা রাজি হননি। রতনবাবু জানেন তার বড় ছেলে অসৎ
চরিত্রহীন। ভাইদের পয়সা বদসঙ্গে ধ্বংস করে।সে কতবার তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে।
সে শুধু তার কাছ থেকে সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য সেবা করার নাটক করছে।
বিধান উকিল
নিয়ে এলো। বিধানবাবুর গাল গড়িয়ে চোখের জল পড়লো।বিধানবাবুর যতক্ষণ জ্ঞান রইল তিনি
কোনমতেই কাগজে সই করলেন না। বিবেকের শেষ নির্দেশে জ্ঞান হারানোর পূর্বে তিনি এমন
শক্ত করে দুহাত মুঠো করে রইলেন যে শত চেষ্টাতেও বিধান আঙ্গুলের বজ্র আঁটুনি খুলতে
পারলো না।
উকিলবাবু হেসে বললেন, এ হলো স্নেহ
সাম্যর আঁটুনি,একে খোলা সহজ নয়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন