রাতের বুক চিরে জন্মায় ঘোলাটে নতুন সকাল
আকাশে সোনালি রোদ, বিষন্ন সময়কাল
ক্রমান্বয়ে দিন গুনে যাও ব্যতিক্রমের আশায়
নীরবতা কথা বলে ক্লান্ত চোখের ভাষায়
রান্নায় নুন বেশি হয় যত্নে মাপা ঝাল
একটি গ্রাসেই কর্তার চোখ রাগে হয় লাল
বাসটপটা খানিক দূরে ছাড়ছে স্কুলের বাস
জীবনকে মুঠোয় ভরে দৌড় রুদ্ধশ্বাস
জনজোয়ারে একলা নারীর ভাবলেশহীন চোখ
সরু চোখে মেপে নিয়েই মজা মারে ঘোগ
এক ঘণ্টার যাত্রাপথে দিশাহারা হয়রান
স্কুলের স্টপে নেমেই ধমক ভাড়া দিয়ে যান
এতোল বেতোল ভাবনার দল মাথায় জট পাকায়
অঙ্কের বইটাও নিরুত্তর নির্বাক হয়ে যায়
দিদিমণি ভুলে গেছেন অঙ্কের নিয়মরীতি
মেয়েরা বলে যোগ বিয়োগে ভুল হচ্ছে দিদি
জনসমুদ্র সাঁতরে বাড়ি ফেরে কন্যে
কর্তামশাই পথ চেয়ে হয়ে আছেন হন্যে
দিনের কাজ শেষ করে শুতে এলে যখন
ক্লান্ত দিনের সবটুকু শেষ হয়নি তখন
কৃশ দুই হাত তোমায় নিরাশ্রয় আশ্লেষে জড়ায়
বিধ্বস্ত শরীর মন নিমেষে মুক্ত হতে চায়
ব্যর্থ রতি আর আস্ফালনে হল দিন শেষ
নির্বিবাদে সইলে মনে না রেখেই বিদ্বেষ
তোমার স্বামীর মাথার ভিতর কর্কট আবাসস্থল
অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা দাম্পত্যের ক্ষেত্রফল
রাতভোর তবু তাকে ছুঁয়ে তুমি থাকবেই
সোনালি স্বপ্নের নৌকোয় তো মৃত্যুর ঠাঁই নেই।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন