এগারো বছরের সজীব জেদ ধরে আছে বাইরে না যাওয়া পর্যন্ত কিচ্ছু খাবে না!সবাই বিরক্ত করোনা ভাইরাসের কারণে এই বন্দিত্বে। লকডাউন বেড়েই চলেছে।
বাড়ির বাইরে গেলেই জরিমানা! কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে ট্রিপল জিরোতে ফোন দিলেই সমস্যার সমাধান!
কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কী? ধারণাটা মাথায় আসতেই সবার সাথে আলোচনা করে সজীবের কাছে এসে সদাশিব বললেন, কতদিন পিকনিকে যাই না, আজ পিকনিকে গেলে কেমন হয়?
সজীব কান্না থামিয়ে বললো, পিকনিকে বাবা! কোথায়?
বাসার বাইরে রুফল্যান্ডে! জায়গাটা চমৎকার! বাগান আছে, উপরে প্যান্ডেল থাকবে! মেনু তোমার!
সত্যি?
ইয়েস মাই সান! তুমি মেনু পছন্দ করে দিলে ফুডপান্ডায় অর্ডার করে দেবো।খাবার এলে আমরা চলে যাবো রুফল্যান্ডে।
সজীব রাজি হচ্ছে বুঝতে পেরে অন্যান্যরা চলে গেলো পিকনিক সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে।
একটা মাঝারি সাইজের পিজ্জা, ফ্রাইড চিকেন দুটো, সিজলিং আর কোল্ড কোক।
ফাইন! এগুলো তোমার জন্য। অন্যদের জন্যও মেনু সিলেক্ট করে দাও!
সজীব অত্যন্ত খুশি হয়ে অন্যান্যদের জন্য মেনু ঠিক করে দিলো।
এক ঘন্টায় চলে এলো খাবার। সজীব নাক টেনে সুবাস নিলো।
সজীব সবাইকে ড্রয়িংরুমে জড়ো করে বললো, চলো এবার!
বেরিয়ে এলো বাসার বাইরে সবাই।
সদাশিব মজা করার জন্য বললেন, এই লিফ্টটা আমাদের নিয়ে যাবে রুফল্যান্ডে। তার আগে আমাদের সবাইবকে চোখ বেঁধে নিতে হবে!
চোখ বাঁধা হয়ে গেলো সবার, সদাশিব বাদে। সদাশিব সবাইকে ঢুকিয়ে টিপে দিলেন লিফ্ট। লিফ্ট এসে থামলো টপ ফ্লোরে।
সদাশিব সবাইকে ছাদে নিয়ে এসে বললেন, আমরা পৌঁছে গেছি রুফল্যান্ডে! এবার চোখের বাঁধন খুলে ফেলো সবাই!
সজীব বাঁধন খুলে বেশ অবাক হলো।
উপরে সামিয়ানা টানানো, নিচে টবে সাজানো বিভিন্ন ধরনের গাছে অনেক মনোরম লাগছে।
সজীব চিনতে না পেরে জিজ্ঞেস করলো, এটা কোথায় বাবা?
রুফল্যান্ড, আমাদের ছাদ!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন