রুফল্যান্ডে পিকনিক - রানা জামান



এগারো বছরের সজীব জেদ ধরে আছে বাইরে না যাওয়া পর্যন্ত কিচ্ছু খাবে না!সবাই বিরক্ত করোনা ভাইরাসের কারণে এই বন্দিত্বে লকডাউন বেড়েই চলেছে।

বাড়ির বাইরে গেলেই জরিমানাকোনো কিছুর প্রয়োজন হলে ট্রিপল জিরোতে ফোন দিলেই সমস্যার সমাধান!

কিন্তু এই সমস্যার সমাধান কীধারণাটা মাথায় আসতেই সবার সাথে আলোচনা করে সজীবের কাছে এসে সদাশিব বললেনকতদিন পিকনিকে যাই নাআজ পিকনিকে গেলে কেমন হয়?

সজীব কান্না থামিয়ে বললোপিকনিকে বাবাকোথায়?

বাসার বাইরে রুফল্যান্ডেজায়গাটা চমৎকারবাগান আছেউপরে প্যান্ডেল থাকবেমেনু তোমার!

সত্যি?

ইয়েস মাই সানতুমি মেনু পছন্দ করে দিলে ফুডপান্ডায় অর্ডার করে দেবোখাবার এলে আমরা চলে যাবো রুফল্যান্ডে

সজীব রাজি হচ্ছে বুঝতে পেরে অন্যান্যরা চলে গেলো পিকনিক সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে
একটা মাঝারি সাইজের পিজ্জাফ্রাইড চিকেন দুটোসিজলিং আর কোল্ড কোক
ফাইনএগুলো তোমার জন্য অন্যদের জন্যও মেনু সিলেক্ট করে দাও!

সজীব অত্যন্ত খুশি হয়ে অন্যান্যদের জন্য মেনু ঠিক করে দিলো

এক ঘন্টায় চলে এলো খাবার সজীব নাক টেনে সুবাস নিলো

সজীব সবাইকে ড্রয়িংরুমে জড়ো করে বললোচলো এবার!


বেরিয়ে এলো বাসার বাইরে সবাই

সদাশিব মজা করার জন্য বললেনএই লিফ্টটা আমাদের নিয়ে যাবে রুফল্যান্ডে তার আগে আমাদের সবাইবকে চোখ বেঁধে নিতে হবে!

চোখ বাঁধা হয়ে গেলো সবারসদাশিব বাদে সদাশিব সবাইকে ঢুকিয়ে টিপে দিলেন লিফ্ট লিফ্ট এসে থামলো টপ ফ্লোরে

 সদাশিব সবাইকে ছাদে নিয়ে এসে বললেনআমরা পৌঁছে গেছি রুফল্যান্ডেএবার চোখের বাঁধন খুলে ফেলো সবাই!

সজীব বাঁধন খুলে বেশ অবাক হলো

উপরে সামিয়ানা টানানোনিচে টবে সাজানো বিভিন্ন ধরনের গাছে অনেক মনোরম লাগছে

সজীব চিনতে না পেরে জিজ্ঞেস করলোএটা কোথায় বাবা?

রুফল্যান্ডআমাদের ছাদ!

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন