খেতে বসেই তিন্নির বায়নায় রোজই গল্প শোনাতে হয় ঠাম্মাকে।
সেদিন মানসীদেবীর বউমা, তৃণা হঠাৎই বলল,”এতো সুন্দর সুন্দর গল্প বলেন মা তিন্নিকে রোজ, নিত্যনতুন গল্প বানিয়ে। অবসর সময়ে সেই গল্পগুলোই মনে করে লিখে ফেলুন না। সময়ও ভালো কাটবে, গল্পগুলোও হারাবে না।
ছোট থেকেই মানসীদেবীর লেখার ইচ্ছে প্রবল ছিল। ছোটবেলায় যখন যেমন মনে হতো লিখতেনও। তাই, বৌমার উৎসাহ আর অনুপ্রেরণায় সোৎসাহে তিনি ছোটোবেলার সাধ পূরণ করতে লাগলেন।
আজ মানসীদেবীর জন্মদিনে বউমার দেওয়া উপহারের মোড়ক খুলতেই চোখে জল এসে গেল তাঁর। কখন শাশুড়ি বৌমার গল্পগুজবে তৃণা মানসীদেবীর মনের হদিস পেয়ে এক অধরা স্বপ্ন পূরণ করলো আজ। তাঁর লেখা বেশ কিছু গল্প “ঠাম্মার ঝুলি” নাম দিয়ে একটা বই প্রকাশ করেছে তৃণা নিজ প্রচেষ্টায়।
মানসীদেবীর চোখের জলের বাঁধ মানছে না আজ। তখনই তিন্নি তার ঠাম্মাকে জড়িয়ে ধরে বলল, “ঠাম্মার ঝুলি”তে কিন্তু আরো গল্প চাই। এটাই তোমার হোমটাস্ক।”
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন