রূপকথা - ঝুমা দত্ত


বৃষ্টি মাসি, বৃষ্টি মাসি ঝর্ণা বেয়ে আসছো নাকি,

নীল পাহাড়ে নীল শাড়িতে রূপকথারাও সাজছে নাকি।

 

আকাশ বুকে রথে চড়ে কোন্ নগরে যাচ্ছে মানিক,

ব্যাঙ্গমা আর ব্যাঙ্গমীরা জিরিয়ে নিল ঘন্টাখানেক।

 

সোনা রুপোর কাঠিগুলো কে যে বাক্সে গুছিয়ে নিল!

রাক্ষসেদের প্রাণকৌটো আর কি কেউ খুঁজে পেল?

 

সারা রাত জেগে জেগে পরীর সাথে গল্প করি,

যায় গড়িয়ে কত প্রহর বলছে ঠাম্মির পেন্ডুলাম ঘড়ি।

 

ক্ষীরের পুতুল, ক্ষীরের সাগর দেখে নিলাম আড়াল থেকে,

দানব রাজা ঘুমিয়ে আছে খাটের নিচে এঁকে বেঁকে।

 

পক্ষীরাজের পিঠে চড়ে যায় যে রাজা তেপান্তরে,

লালকমল আর নীলকমলের পাচ্ছে হাঁচি দিঘির পাড়ে।

 

রাজকুমারীর অপেক্ষা চোখে রাজকুমার আসবে কবে!

সাপের মণি নিয়ে কুমার রওনা দিলো এইতো সবে।

 

কালো দিঘির জল রহস্য ঘুমিয়ে আছে নাকটি ডেকে,

আকাশ ভরে তারাগুলো পড়ছে দেখো থেকে থেকে।

 

চাঁদের বুড়ির সুতো কেটে হাঁটু, কোমর হচ্ছে ব্যথা,

জাদু আয়না আজও বলে সেই কন্যার গল্পকথা।

 

কাঠের পুতুল, কাঠের ঘোড়া কত রঙিন গল্পকথা,

গল্পের গরু গাছে চড়ে খাচ্ছে মিষ্টি পানের পাতা।

 

আগডুম বাগডুম ঘোড়ার সাথে খোকা জাদুর প্রদীপ হাতে,

জলপরীরা দেখছে আমায় কৌতূহলের দূরবীন হাতে।

 

রূপকথারা বলছে আমায় এসো আবার চাঁদের দেশে,

সবাই ডুবে ছোট্ট ফোনে, এখন কেউ আসে না স্বপ্নে ভেসে।

 

ঝুপ করে আমি জেগে উঠে মায়ের আঁচল জড়িয়ে ধরে,

ফেলে দিয়ে ফোন, ভিডিও গেম দিলাম রূপকথারই গল্প জুড়ে।

 

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন