এখন সে আর আঁকতে পারে না
পালতোলা নৌকা ভাসা যৌবনের তটিনী -
রং তুলি ক্যানভাসের ড্রয়িংরুমে
কান পাতলে সে এখনও শুনতে পায়
সেদিনের বহমান ঢেউয়ের
আছড়ে পড়ার শব্দ,
তবু আর ছুঁতে পারে না
সেদিনের উত্তাল মনের অববাহিকা -
তার ঘুম কেড়ে এখন আর লুকোয় না
উপচে পড়া সে রূপলেখা নদী।
নির্লোভ ঝাপসা চোখ এখন দেখে
অভিজ্ঞতা দিয়ে - এক স্তব্ধ সময়ের ফ্রেমে।
তবে সাবধানে এখনও ভেসে চলেছে
তার অদম্য ইচ্ছের নৌকো -
ধূসর অবচেতনেও সে দেখতে চায়
ঘুমন্ত নক্ষত্রের গহীনে আলোর রোশনাই।
তার ইচ্ছে করে আরো একবার আঁকবে
নদীর গর্জনে ফেরা যৌবনের স্রোত -
নির্মম সে স্রোতে ক্ষয়ে যাবে
পাথর হয়ে যাওয়া মনের পেলবতা,
উঁকি দেবে আদিমতার জীর্ণ জীবাশ্ম
সীমাহীন অবাধ্য ইচ্ছের প্রশ্রয়ে।
আবার একটা ঘুমহীন রাত ছুটবে
অতীত খননের টাইম মেশিনে -
তন্দ্রাহীন সেই একাকীত্বের খেয়ায়
উজানের পথে এক কৃশাঙ্গ মিলবে
মনের জলছবি হয়ে ফুটে ওঠা রূপলেখায়।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন