দশ নম্বর - দেবাংশু সরকার


 

সাড়ে তিন দিনেই শেষ হয়ে গেল ইডেনের টেষ্ট। বলতে গেলে বাঁহাতি স্পিনার হরিভজন সিং একাই শেষ করে দিলেন বিপক্ষকে। তার স্পিন বলের কোনো উত্তর ছিল না বিপক্ষের কাছে । 

হরিভজন বল করে ক্রিকেট দুনিয়াকে কাঁপাচ্ছেন। তিনি কেবল বল করেন। ব্যাট করতে পারেন না। দশ নম্বরে ব্যাট করতে নামেন নিয়মরক্ষার জন্য।  

 সাড়ে তিন দিনে খেলা শেষ করে, এবার তিনি মেতে উঠেছেন অন্য খেলায়। হরিভজন কেবল ক্রিকেট খেলায় মহারথী নন। প্রেমের খেলাতেও মহারথ হাসিল করেছেন। প্রেমের বাঁশি বাজিয়ে তিনি শত সহস্র রমণীর মনোহরন করেছেন। আবার অচিরেই সেই সব প্রেম ঘেঁটে গেছে। মোট কত জনের সঙ্গে তিনি প্রেমের খেলায় মেতেছেন, তিনি নিজেও বলতে পারবেন না।  

এবারে তিনি ডাকসাইটে মডেল রেশমি সিংয়ের প্রেমে মজেছেন। রেশমিও পাকা খেলোয়াড়। জমিয়ে দিয়েছেন প্রেমের খেলা। দুজনে উড়ে বেড়াচ্ছেন, ভেসে বেড়াচ্ছেন কলকাতা জুড়ে। হরিভজনকে রেশমি আটকেছেন প্রেমের চক্রব্যুহে। সেখান থেকে বেরোনোর সাধ্য নেই হরিভজনের। অগত্যা বসতে হলো বিয়ের পিঁড়িতে। 

 ধুমধাম করে হলো বিয়ে। এলো সুহাগ রাত। আস্তে আস্তে বন্ধ হলো দরজা। হাতে হাত, চোখে চোখ রেখে কাছাকাছি এলেন দুলহে রাজা, দুলহানিয়া রাণী। দৃঢ় আলিঙ্গনে বদ্ধ দুজনে। রাত বাড়ছে, কথা বাড়ছে, বাড়ছে প্রেমের নেশা। জ্যোৎস্না ছড়াচ্ছে পূর্ণিমার চাঁদ। প্রেমের কুঁড়ি ক্রমশ লাল গোলাপ হয়ে ফুটে উঠছে। প্রেমের নদীতে দুকুল ছাপিয়ে জোয়ার এসেছে। দুলহা, দুলহানিয়া প্রেমের জোয়ার ভেসে চলেছেন

প্রেমের জোয়ারে ভাসতে ভাসতে আবেগ মথিত কন্ঠে দুলহে রাজা প্রশ্ন করলেন, "ম্যায় তুমারি পহেলা প্যার হুঁ?"

সুলোলিত কন্ঠে নয়ী নভেলী দুলহানিয়া রাণী বললেন, "দশ নম্বর ব্যাটসম্যানকো ওপেনিং চান্স মিলতা হ্যায় ক্যা?"

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন